গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার হিরণ ইউনিয়ন যুবদলের কমিটি বাতিলের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পদ বঞ্চিত নেতাকর্মীরা।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে গোপালগঞ্জ-কোটালীপাড়া সড়কের উপজেলার তারাশী বাসস্ট্যান্ডে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।  

বিক্ষোভ শেষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে হিরণ ইউনিয়ন যুবদলের পদবঞ্চিত সভাপতি প্রার্থী ও সাবেক ছাত্রদল নেতা মহাসিন শেখ ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক দিদার বক্তব্য দেন।

আরো পড়ুন:

পাবনায় বিএনপি নেতার মুক্তির দাবিতে নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ

সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে সুবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

পদবঞ্চিত নেতা মহাসিন শেখ বলেন, ‍“গত ১১ জানুয়ারি মাঝবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে হিরণ ইউনিয়ন যুবদলের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে থানা কমিটির নেতারা কমিটি ঘোষণা না করে সম্মেলনস্থল ত্যাগ করেন। এর ১১ দিন পর রাতের আধাঁরে ঘাঘর বাজারে দলীয় কার্যালয়ে বসে মো.

হানিফ মিয়াকে সভাপতি ও মো. সাদ্দাম মৃধাকে সাধারণ সম্পাদক করে হিরণ ইউনিয়ন যুবদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই কমিটি ঘোষণার পর পদ বঞ্চিত নেতাকর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। এই কমিটি যতদিন বাতিল করা না হবে, ততদিন আমাদের আন্দোলন চলবে।”

কোটালীপাড়া উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মান্নান শেখ বলেন, “হিরণ ইউনিয়নের যুবদল যে কমিটি তা সাংগঠনিকভাবেই গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি বাতিলের কোনো সুযোগ নেই।”

ঢাকা/বাদল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

কৃষকের ৮ টাকার লেবু কয়েক হাত বদলের পর বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়

দেশের উত্তরাঞ্চলে সবজির অন্যতম বড় পাইকারি মোকাম বগুড়ার মহাস্থান হাট। পাইকারি এ বাজারে আজ সোমবার বাগানের বড় আকারের একটি লেবু বিক্রি করে চাষি দাম পেয়েছেন ৮ টাকা। ব্যাপারীর একহাত ঘুরে এই লেবু আড়তদারের গুদামে পৌঁছার পর দাম বেড়ে খরচ পড়ে ১০ টাকা। আড়ত থেকে পাইকারদের হাত ঘুরে খুচরা ব্যবসায়ীদের দোকানের পসরা পর্যন্ত যেতে এই লেবুর দাম বেড়ে হয় ১২ থেকে ১৩ টাকা।

পাঁচ হাত বদলের পর ১২ কিলোমিটার দূরে বগুড়ার শহরের ফতেহ আলী ও রাজাবাজারে এই লেবু খুচরা পর্যায়ে ক্রেতাদের কিনতে হয়েছে প্রতিটি ২০ টাকা দরে। সেই হিসাবে প্রতিটি লেবুতে মধ্যস্বত্বভোগীরা লাভ করছেন ১২ টাকা।

বগুড়ার মহাস্থান ও রাজাবাজারে লেবু বিক্রি করতে আসা কৃষক, ব্যাপারী, আড়তদার, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী-ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে লেবুর উৎপাদক পর্যায়ে থেকে শুরু করে খুচরা পর্যায় পর্যন্ত ধাপে ধাপে দাম বৃদ্ধির এই চিত্র পাওয়া গেছে।

মহাস্থান হাটে আজ সকালে গিয়ে দেখা যায়, বাগান থেকে লেবু তুলে বস্তায় ভরে হাটে বিক্রি করতে এসেছেন চাষিরা। ব্যাপারীরা চাষিদের কাছ থেকে দরদাম করে এই লেবু কিনছেন।

হাটে আসা পাইকার রিফাত হাসান বলেন, স্বাভাবিক সময়ে হাটে ১ লাখ লেবুর সরবরাহ হয়। রোজা উপলক্ষে লেবুর চাহিদা কয়েকগুণ বেড়েছে। কিন্তু এখন লেবুর মৌসুম না হওয়ায় সরবরাহ আগের মতোই আছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় লেবুর দাম এখন ঊর্ধ্বমুখী।

সদর উপজেলার কাজী নুরইল গ্রামের কৃষক ও লেবুচাষি আসহানুল কবির বলেন, তিনি এ বছর ৩ হাজার ৫০০ গাছের লেবুবাগান গড়েছেন। এক মাস পর বাগানের লেবু পুরোদমে বিক্রি করা সম্ভব হবে। এবার লেবুর ফলন খুব কম। ইতিমধ্যে বাগানের কিছু লেবু বাজারে বিক্রিও করেছেন। এবার বাগান থেকে প্রতিটি লেবু বিক্রি করে গড়ে আট টাকা দাম পেয়েছেন।

নন্দীগ্রাম উপজেলার চাকলমা গ্রামের লেবুচাষি শাহনাজ বেগম বলেন, রোজার আগে বাগানের লেবু বিক্রি করে দাম পেয়েছেন গড়ে দুই থেকে আড়াই টাকা। এখন বাগানে নতুন করে ফুল এসেছে। দেড় মাস পর বাগান থেকে লেবু বিক্রি করা শুরু হবে। এখন বাজার থেকে ১৫ থেকে ২০ টাকা দরে লেবু কিনতে হচ্ছে।

মহাস্থান হাটের আড়তদার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, চাষি ও পাইকারদের হাত ঘুরে আড়ত পর্যন্ত আসার পর একটি লেবুর খরচ পড়ে ১২ টাকা। আড়ত থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা এই লেবু কিনে নিয়ে আরও ২ থেকে ৩ টাকা লাভ করেন। আরও এক হাত বদলের পর খুচরা ব্যবসায়ীরা এই লেবু প্রতিটি ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি করছেন।

প্রতিটি লেবুতে মধ্যস্বত্বভোগীরা লাভ করছেন ১২ টাকা। আজ সোমবার বিকেলে বগুড়া সার্কিট হাউসের সামনের সড়কে

সম্পর্কিত নিবন্ধ