ফ্যানে ঝুলছিল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র, সঙ্গে ছিল চিরকুট
Published: 27th, January 2025 GMT
ঢাকার ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইশতিয়াক আহমেদ মাহিনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার জি–ব্লকের একটি ভবনের তৃতীয় তলার ভাড়া বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তার নিথর দেহ পাওয়া যায়।
মৃতের ভগ্নিপতি মির্জা হাবিবুর রহমান বলেন, ইশতিয়াক টাঙ্গাইল সদর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মাহবুব আলম চৌধুরীর ছেলে। দুই ভাই–বোনের মধ্যে তিনি ছোট ছিলেন। তিনি বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় কয়েক শিক্ষার্থীর সঙ্গে একটি মেসে থাকতেন। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার ইচ্ছা ছিল তার। ভর্তি হতে না পারায় তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। পরে তিনি দেশের বাইরে পড়তে যেতে চেয়েছিলেন। সেক্ষেত্রেও পরিবার রাজি হয়নি।
ভাটারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন হক বলেন, মেসে মৃতের কক্ষে আরও দুই শিক্ষার্থী থাকেন। ঘটনার সময় তারা বাইরে ছিলেন না। অনেকক্ষণ ধরেই তারা ফোনে কল করে ইশতিয়াককে পাচ্ছিলেন না। পরে মেসে ফিরে দরজা বন্ধ দেখতে পান। অনেক ডাকাডাকি করেও সাড়া না পাওয়ায় তাদের সন্দেহ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে। কীভাবে তার মৃত্যু হয় তা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে এ ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহের সঙ্গে পাওয়া চিরকুটে লেখা ছিল– আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’