ধামরাইয়ে মাজার ভাঙচুরের ঘটনা পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ
Published: 27th, January 2025 GMT
ঢাকার ধামরাই উপজেলার বাটুলিয়া এলাকায় ‘বুচাই পাগলার’ মাজার ভাঙচুর এবং ভবনে অগ্নিসংযোগের ঘটনার চার মাস পর পুলিশকে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলাটি তদন্ত করার জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকার ধামরাই আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো.
আরো পড়ুন: ধামরাইয়ে মাজারে হামলা-ভাঙচুর, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী
আরো পড়ুন:
চিনির দাম বেশি চাওয়ার প্রতিবাদ করায় মারধর, পাল্টা হামলা
মৌলভীবাজারে ‘ভারতীয়দের কোপে’ বাংলাদেশির মৃত্যু
আদেশে আগামী ২৯ জানুয়ারি নিয়মিত মামলা রুজু সংক্রান্ত প্রতিবেদন এবং ৬ মার্চ পিবিআইয়ের বিশেষ পুলিশ সুপার, ঢাকাকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকার ধামরাই উপজেলায় বুচাই পাগলার মাজারে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রকাশ্য দিবালোকে আমলযোগ্য অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, যা পেনাল কোড ১৮৬০ এর ২৯৫/২৯৫এ/৪৩৫/৪৪১/৪২৭/১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৩৮০/৫০৬/১০৯ ধারার অধীনে আমলযোগ্য ফৌজদারি অপরাধ। উক্তরূপে গুরুতর ফৌজদারি সংঘটিত হলেও উল্লেখিত অপরাধ সংক্রান্ত কোনো মামলা এ পর্যন্ত অত্র আদালত সিন করেনি।
সিআরপিসি, ১৮৯৮ এর ১৫৪ ধারা এবং পিআরবি, ১৯৪৩ এর ২৪৩/২৪৪ বিধি অনুযায়ী, প্রতিটি আমলযোগ্য অপরাধের সংবাদ পাওয়া মাত্রই বিলম্ব না করে ওসি কর্তৃক থানায় মামলা রুজু করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে উল্লেখিত অপরাধের ক্ষেত্রে ওসি ধামরাই কর্তৃক কোনো মামলা করা হয়নি, যা ফৌজদারি কার্যবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আদেশে আদালত এ ঘটনায় পুলিশকে নিয়মিত মামলা রুজুর নির্দেশ দেন এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঢাকা জেলার বিশেষ পুলিশ সুপারকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন।
ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অপর ধ তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’