ইসলামী আন্দোলনের নেতা মোসাদ্দেক বিল্লাহর দুঃখ প্রকাশ
Published: 27th, January 2025 GMT
ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী তার বক্তব্যর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠান বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, “গত ২৪ জানুয়ারি রাজধানীর ইনস্টিটিউশুন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে আমি ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করি। আমার সেদিনের বক্তব্য বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা ও টেলিভিশন চ্যানেলে যথাযথভাবে উপস্থাপন করা হয়নি। ফলে জনগণের মাঝে ভুল বুঝাবুঝির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আমি সম্পূর্ণরূপে কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে বক্তব্য উপস্থাপন করেছি। তদুপরি, আমার এরূপ বক্তব্য কোন বিশেষ ব্যক্তি বা মহলের মনোকষ্টের কারণ হয়ে থাকলে আমি সেজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।”
তিনি বলেন, “ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ইসলামী মূল্যবোধের প্রচার-প্রসারের পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষায় সবসময় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে আসছে। ভবিষ্যতে তাদের এ ভূমিকা অব্যাহত থাকবে, ইনশাল্লাহ।”
আরো পড়ুন:
শত প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও জাতীয় প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ থাকব: আসিফ
ফারুকীকে উপদেষ্টা করায় হেফাজতের নিন্দা
ঢাকা/এএএম/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’