আইসিসির বর্ষসেরা টেস্ট খেলোয়াড় বুমরাহ
Published: 27th, January 2025 GMT
আইসিসির বর্ষসেরা (২০২৪) টেস্ট খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন জাসপ্রিত বুমরাহ।
গেল বছরটি দারুণ কেটেছে জাসপ্রিত বুমরাহর। ঘরের মাঠে কিংবা অ্যাওয়ে সিরিজে, যেকোনো কন্ডিশনে, বল হাতে ভারতকে দারুণভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রেখেছিলেন তিনি। বিশেষ করে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে।
গেল বছর ১৩ ম্যাচ খেলে ৭১ উইকেট নিয়েছিলেন তারকা এই পেসার। তাতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিদের তালিকায় যথারীতি ছিলেন শীর্ষে। ১১ টেস্টে ৫২ উইকেট নিয়ে তার পরে ছিলেন ইংল্যান্ডের গাস অ্যাটকিনসন। শুধু তাই নয়, চতুর্থ ভারতীয় বোলার হিসেবে বুমরাহ এক বছরে ৭০+ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়েছিলেন। তার আগে রবীচন্দ্রন অশ্বিন, অনীল কুম্বলে ও কপিল দেব এক বছরে নিয়েছিলেন ৭০ উইকেট।
আরো পড়ুন:
টানা পাঁচ জয়ে রংপুরের পাশে বরিশাল
জটিলতা কাটিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ
অবশ্য টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে মাত্র ১৭ জন বোলার এক বছরে ৭০+ উইকেট শিকার করেছিলেন। সেই তালিকায় বুমরাহও হয়েছেন একজন।
২০২৪ সালে বুমরাহ ৩৫৭ ওভার বল করেছেন। সেখানে তার গড় ছিল ২.
বছর জুড়ে তার গড় ছিল ঈর্ষনীয়, ১৪.৯২। আর স্ট্রাইক রেট ছিল ৩০.১। তাতে তিনি ছাড়া আর কেউ বর্ষসেরা হওয়ার যোগ্য হননি। তার হাতেই উঠেছে সেরার পুরস্কার।
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইস স উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
জাপানে বিনিয়োগ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছেন ওয়ারেন বাফেট
বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে কোম্পানির নগদ রিজার্ভ সম্পর্কে বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করেছেন কিংবদন্তি বিনিয়োগকারী ও কোম্পানির চেয়ারম্যান ওয়ারেন বাফেট। একই সঙ্গে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে এই তহবিল কৌশলগতভাবে ব্যবহার করে ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা হবে। জাপানে বড় ধরনের বিনিয়োগ করা হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন বাফেট।
প্রতিবছর মার্চ মাসে বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে বার্ষিক চিঠি লেখেন ওয়ারেন বাফেট। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সেই চিঠিতেই তিনি কোম্পানির ৩২১ দশমিক ৪ বিলিয়ন বা ৩২ হাজার ১৪০ কোটি ডলার নগদ জমা নিয়ে শেয়ারহোল্ডারদের আশ্বস্ত করেছেন। খবর ইকোনমিক টাইমস।
অনেকেই মনে করছিলেন, এত বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ সংরক্ষিত থাকার কারণে কোম্পানির ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধি নিম্নমুখী হবে। তবে বাফেট আরও আশ্বস্ত করেছেন যে এই অর্থ অলস পড়ে থাকবে না। বড় ধরনের বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে। ফলে কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের এ নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই।
কোম্পানির নগদ সংরক্ষণ বাড়লেও বাফেট পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন যে বার্কশায়ার কোম্পানি মূলত ইকুইটি বিনিয়োগ করবে। কোম্পানির নগদ জমা বাড়লেও তার বিনিয়োগের সিংহভাগ এখনো ইকুইটি বিনিয়োগে আছে এবং ভবিষ্যতে এই কৌশল থেকে সরে যাওয়ার ইচ্ছা নেই। চলতি প্রান্তিকের আগের প্রান্তিক পর্যন্ত দেখা গেছে, টানা দুই প্রান্তিকে বাফেট স্টক বাই ব্যাক করেনি। এ ঘটনা থেকে বিশ্লেষকদের অনুমান, বাফেট মনে করছেন না যে তাঁর কোম্পানির শেয়ার অবমূল্যায়িত হচ্ছে।
বিপুল পরিমাণ নগদ জমা থেকে কোথায় বিনিয়োগ করা হবে, সে বিষয়ে কিছুটা ইঙ্গিত দিয়েছেন ওয়ারেন বাফেট। তাঁর পরিকল্পনা জাপানে আরও বিনিয়োগ করা, যদিও সেখানে ইতিমধ্যে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ আছে।
এবার জাপানের পাঁচটি বৃহৎ ট্রেডিং প্রতিষ্ঠানে এই বিনিয়োগ করবেন বাফেট। সেগুলো হলো ইতোচু, মারুবেনি, মিৎসুবিশি, মিতসুই ও সুমিতোমো। এসব কোম্পানি ভোগ্যপণ্য থেকে শুরু করে জাহাজ ও ইস্পাত পর্যন্ত বিভিন্ন পণ্যের ব্যবসা করে থাকে। এর মধ্য দিয়ে বাফেট জাপানের অর্থনীতিতে আরও সংহত হয়ে ব্যবসা করবেন বলে আশা করছেন।
সেই সঙ্গে ওয়ারেন বাফেটের ইঙ্গিত, এসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ আরও বাড়বে। ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ দেখা গেছে, এসব ট্রেডিং কোম্পানিতে বার্কশায়ারের বিনিয়োগ ছিল ২৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৩৫০ কোটি ডলার।
এদিকে ২০২৪ সালে বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে কোম্পানির বাজার মূলধন এই প্রথম এক ট্রিলিয়ন বা এক লাখ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। স্বভাবসিদ্ধভাবে ওয়ারেন্ট বাফেট এর কৃতিত্ব দিয়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। তবে গত বছর কোম্পানিটির মুনাফা প্রায় ৭০০ কোটি ডলার কমেছে।