মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত সৌদি প্রবাসী সৈকত মাহমুদ (২২) মারা গেছেন। ঘটনার ১০ দিন পর রোববার দিবাগত রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত সৈকত মাহমুদ চিত্রকোট ইউনিয়নের খালপাড় গ্রামের মৃত ফজল হকের ছেলে। 

গত ১৫ জানুয়ারি চিত্রকোট ইউনিয়নের খালপাড়া এলাকায় পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে খালপাড়া গ্রামের হেলাল বেপারীর ছেলে কাদের বেপারীর সঙ্গে একই এলাকার মৃত ফজল হকের ছেলে সৈকত মাহমুদের মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সৈকত মাহমুদকে কুপিয়ে জখম করে আহত করে প্রতিপক্ষ।

আহতের স্বজনরা ওইদিন সৈকত মাহমুদকে প্রথমে পঙ্গু হাসপাতাল পরে ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ দিন পর রোববার দিবাগত রাতে সৈকত মাহমুদ মারা যান।

নিহত সৈকত মাহমুদের বড় ভাই জহিরুল হক বলেন, আমার ভাই মাত্র ২০ দিন আগে সৌদি আরব থেকে ছুটিতে বাড়ি আসে। কাদের বেপারী দল নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার ভাইকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। 

চিত্রকোট ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল হুদা বাবুল বলেন, তাদের উভয় পক্ষের বাড়ি একই গ্রামের একই সীমানায়। পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে।

সিরাজদীখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই জহিরুল হক জহির বাদী হয়ে রোববার রাতে কাদের বেপারীকে ১ নম্বর আসামি করে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ