রাজশাহীর তানোর উপজেলায় দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো দুইজন। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে তানোর-মুণ্ডুমালা সড়কের দেবীপুর এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।

মারা যাওয়াদের মধ্যে একজনের নাম জাহিদ আলম (৪৫)। তিনি ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ। রাজশাহীর হযরত শাহমখদুম (র.

) বিমানবন্দরে কর্মরত ছিলেন তিনি। তার বাড়ি রাজশাহী নগরের শিরোইল কলোনি মহল্লায়। বাবার নাম রফিকুল ইসলাম। অপরজনের নাম মো. পলাশ (২৬)। তার বাড়ি রাজশাহী নগরের শিরোইলে। পলাশ মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন। 

আরো পড়ুন:

সাজেকে গাড়ি উল্টে ৬ পর্যটক আহত

মুন্সীগঞ্জে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় পথচারী নিহত

আহতরা হলেন- তানোর উপজেলা সদরের গোল্লাপাড়া মহল্লার ভূপেন (২৬) এবং একই এলাকার মো. রিয়াজ (৩০)। ভূপেনের বাবার নাম গোবিন্দ। রিয়াজের বাবার নাম মৃত ফয়েজ উদ্দিন।

তানোর থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, “দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মারা যান ইউএস বাংলার কর্মকর্তা জাহিদ আলম। পলাশকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতদের মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আহত দুইজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।” 

ঢাকা/কেয়া/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন আহত উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ