সিনেমার পাশাপাশি মিউজিক ভিডিওতে দেখা যায় চিত্রনায়িকা শিরিন শিলাকে। ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে ‘এমকে মিউজিক স্টেশন’-এর ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পেয়েছে ‘তোরে এক দেখাতে মনে ধরেছে’ শিরোনামে একটি গান। এ গানের ভিডিওতে জুটি বেঁধেছেন শিরিন শিলা ও হালের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সৈয়দ অমি। এটি পরিচালনা করেছেন তরুণ নির্মাতা সেলিম রেজা।
সালাউদ্দিন সাগরের কথা ও এ এন ফরহাদের সংগীত আয়োজনে গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন সৈয়দ অমি ও সানজিদা রিমি। নৃত্য পরিচালনা করেছেন চলচ্চিত্র নৃত্য পরিচালক হাবিব রহমান।
শিরিন শিলা বলেন, “এর আগেও বিভিন্ন মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেছি। কিন্তু ‘তোরে এক দেখাতে মনে ধরেছে’ মিউজিক ভিডিওতে কাজ করে ভিন্ন উপলব্ধি হয়েছে। তরুণ নির্মাতা সেলিম রেজার পরিচালনায় সুন্দর একটি রোমান্টিক গানে কাজ করতে পেরে আনন্দিত। আর এই আনন্দের মাত্রা আরো বাড়বে দর্শক যখন এটি উপভোগ করবেন।”
আরো পড়ুন:
বাদ পড়ছে ভিকি-রাশমিকার ‘আপত্তিকর নাচ’
প্রেক্ষাগৃহে আসছে ‘দায়মুক্তি’
গানটি নিয়ে কাজ শুরুর পেছনের গল্প জানিয়ে গায়ক সৈয়দ অমি বলেন, “আমার অতি পছন্দের একটি গান ‘তোরে এক দেখাতে মনে ধরেছে’। গানটির টিউন আগে রেডি করা ছিল। সেলিম ভাইকে গানটি শোনানোর পর তিনি খুব পছন্দ করেন। তাৎক্ষণিক বলেন, ‘এই গান নিয়ে আমি কাজ করব।’ আমার বিশ্বাস, আমার অন্যান্য গানের মতোই দর্শক-শ্রোতারা এটি পছন্দ করবেন।”
আশাবাদী সৈয়দ অমি বলেন, “প্রথমবারের মতো আমার সঙ্গে জুটি বেঁধে মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেছেন চিত্রনায়িকা শিরিন শিলা। এর আগে ‘দুই চাকার সাইকেল’ গানটি ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে এক সপ্তাহ পর্যন্ত শীর্ষে ছিল। পরে ‘পরি পাইছিরে’ গানটি ইউটিউবে ট্রেন্ডিংয়ে দ্বিতীয় ছিল। আশা করি, ‘তোরে এক দেখাতে মনে ধরেছে' গানটিও হিট হবে এবং সবার ভালো লাগবে।”
মিউজিক ভিডিও নিয়ে সেলিম রেজা বলেন, “অসম্ভব সুন্দর কথামালা এবং সুরের একটি গান, সিনেমাটিকভাবে চিত্রায়ণ করেছি। আশা করি, দর্শক গান এবং দৃশ্যায়ন দেখে মুগ্ধ হবেন।”
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র এক দ খ ত ক জ কর
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু
বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।
শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।
তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।
তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।