Samakal:
2025-01-31@12:12:39 GMT

সেই এডিসি বরখাস্ত

Published: 27th, January 2025 GMT

সেই এডিসি বরখাস্ত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সিলেটে পুলিশের গুলিতে সাংবাদিক নিহতের মামলায় আসামি মহানগর পুলিশের তৎকালীন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) সাদেক কাউসার দস্তগীরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন। 

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকালে গত ১৯ জুলাই সিলেট নগরীর বন্দরবাজার এলাকায় পুলিশের গুলিতে মারা যান নয়া দিগন্ত ও স্থানীয় দৈনিক জালালাবাদের সাংবাদিক এটিএম তুরাব। অভিযোগ করা হয়, সাদেক কাউসার দস্তগীরের গুলিতে মারা যান তুরাব। সরকার পতনের পর দস্তগীরকে শেরপুর ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে বদলি করা হয়। গত ১৮ ডিসেম্বর তাকে শেরপুর থেকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। এর আগে তুরাব হত্যা মামলায় ১৭ নভেম্বর রাতে আরেক আসামি পুলিশ কনস্টেবল উজ্জ্বলকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।

প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে সিলেট মহানগর পুলিশে দায়িত্ব পালনকালে যে কয়জন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দমনপীড়নের অভিযোগ উঠে তার মধ্যে দস্তগীর অন্যতম। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বরখ স ত

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্ঘটনায় আহত অভিনেত্রী খুশি, চোখের ওপর পড়েছে ১০ সেলাই

দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। বুধবার সকালে রমনা পার্ক থেকে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি আহত হন। অভিনেত্রীর ছেলে সৌম্য জ্যোতি সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বুধবার সকালে আম্মু রমনা পার্কে হাটতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় গলির মধ্যে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে আম্মু ছিটকে পড়ে যায় এবং তার ঠিক চোখের ওপর জখম হয়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি আপাতত ভালো আছেন।’

এদিকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান শাহনাজ খুশি। সেখানে তিনি বলেন, ‘বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন? চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মত শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া! এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০ টা সেলাই লেগেছে! আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করছি!’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা/বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানান প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি। কোন বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারি চালিত অসভ্য/বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। যদিও আমি গলির ভেতরের রাস্তায়, প্রাতঃ ভ্রমণ শেষে অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম! ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো জীবনের ক্ষতির তোয়াক্কা করে না! আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোন বোধশক্তি নাই!

সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবো কিনা, সেটা যদিও ফিরি রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলবো না! কাতর অবস্থায় বিছানায় পরে থেকে বারবার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম, ট্রেন-বাস, রিকশা কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই। কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ