বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে সিদ্ধিরগঞ্জে জিয়া মঞ্চের লিফলেট বিতরণ
Published: 27th, January 2025 GMT
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা লেখা সম্বলিত লিফলেট সিদ্ধিরগঞ্জে বিতরণ করা হয়েছে।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বেলা ১১ টায় সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন ওয়ার্ড এলাকায় ঘুরে নারায়ণগঞ্জ মহানগর জিয়া মঞ্চের উদ্যোগে এ লিফলেট বিতরণ করা হয়। জিয়া মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মসূচির অংশ হিসাবে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে সাধারণ মানুষের মাঝে এ লিফলেট বিতরণ করা হয়।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জিয়া মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী জামাল হোসেন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জিয়া মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটি (ঢাকা বিভাগ) সহ-সভাপতি আব্দুল হালিম, জিয়া মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সম্পাদক ও যুগ্ম সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আফজাল হোসেন প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, বর্তমান রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কার না হলে দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র ও সাম্য প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। জিয়া মঞ্চের এই ৩১ দফা দাবি জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারের কাছে জনগণের দাবি তুলে ধরতে এবং জনমত তৈরি করতে জিয়া মঞ্চের উদ্যোগে এই কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে বলে তারা উল্লেখ করেন।
এসময় কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর জিয়া মঞ্চের আহবায়ক মো: আলীনূর হোসাইন, সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক মো: উজ্জ্বল, মো: লিখন মন্ডল, মো: রুবেল, মো: ইসমাঈল, বন্দর উপজেলা আহবায়ক কাজী লিটন, সদস্য সচিব আনোয়ার প্রধান, বন্দর থানা আহবায়ক আল- আমিন, যুগ্ম আহবায়ক মো: জাফর, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ৭নং ওয়ার্ড জিয়া মঞ্চের আহবায়ক মো: মতিন, সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা জিয়া মঞ্চের নেতা সাইফুল ইসলাম সবুজ, মো: লিমন, সবুজ, হালিম প্রমুখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ ল ফল ট ব তরণ
এছাড়াও পড়ুন:
শরীয়তপুরে ডাকাতির ঘটনায় আরো এক জনকে গণপিটুনির পর পুলিশে সোপর্দ
শরীয়তপুরের কীর্তিনাশা নদীতে ডাকাতির চেষ্টার ঘটনায় আরো এক ডাকাতকে গণপিটুনি শেষে পুলিশে সোপর্দ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এসময় একটি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ হয়।
শনিবার (১ মার্চ) সকালে সদর উপজেলার তুলাসার ইউনিয়নের আড়িগাঁও এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, “ডাকাতির ঘটনায় মোট আটজনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে দুইজন মারা গেছেন।”
আরো পড়ুন:
শরীয়তপুরে গণপিটুনিতে ২ ডাকাতের মৃত্যু, গুলিবিদ্ধ ৪
টঙ্গীতে ছিনতাইকারী সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
আরো পড়ুন: শরীয়তপুরে গণপিটুনিতে ২ ডাকাতের মৃত্যু, গুলিবিদ্ধ ৪
এদিকে, ডাকাতির ঘটনায় এখন পর্যন্ত আটজনকে আটক করা হয়েছে। তারা আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের সদস্য এবং তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আটককৃতদের মধ্যে চারজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- মুন্সীগঞ্জের মহেষপুর এলাকার সানাউল্লাহ গাজীর ছেলে রাকিব গাজী (৩৮), একই জেলার কালিরচর এলাকার বাচ্চুর ছেলে রিপন (৪০), শরীয়তপুরের জাজিরার কুণ্ডেরচর এলাকার মোহাম্মদ দেওয়ানের ছেলে আনোয়ার দেওয়ান (৫০) ও মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কুতুবপুর এলাকার হারুন তালুকদারের ছেলে সজিব তালুকদার (৩০)। এদের মধ্যে রিপন ও সজিব তালুকদার গণপিটুনির শিকার হয়ে মারা গেছেন।
স্থানীয়, পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার রাতে মাদারীপুরের রাজারচর এলাকায় বাল্কহেডে ডাকাতির চেষ্টা করে ডাকাতরা। পরে তাদের ট্রলার নিয়ে ধাওয়া দেয় স্থানীয়রা। এসময় ডাকাতরা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে পালিয়ে শরীয়তপুরের তেঁতুলিয়া এলাকায় যায়। সেখানে তাদের গতিপথ বাল্কহেড দিয়ে রোধ করেন স্থানীয়রা। এসময় ডাকাতরা পুনরায় হাতবোমা ও এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে আহত হন কয়েকজন। পরে ডাকাতরা স্পিডবোট ফেলে পালানোর সময় সাতজনকে আটকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা। পরে তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আজ শনিবার সকালে আরো এক ডাকাতকে গণপিটুনি শেষে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। বর্তমানে তিনি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ওই ঘটনায় ডাকাতদের ছোড়া গুলিতে চারজন আহত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে দুইজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, “ডাকাতির ঘটনায় একটি কাটা রাইফেল ও শর্টগানসহ দুটি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।”
ঢাকা/সাইফুল/মাসুদ