ধাক্কা সামলে জয়ে ফিরল ব্রাজিল, আটকে গেল আর্জেন্টিনা
Published: 27th, January 2025 GMT
অনূর্ধ্ব-২০ দক্ষিণ আমেরিকা চ্যাম্পিয়নশিপে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ৬-০ গোলে হারের পর ব্রাজিলের পিএসজি মিডফিল্ডার মুসকার্ডো বলেছিলেন, আমরা একটা ম্যাচ হেরেছি, টুর্নামেন্ট শেষ হয়ে যায়নি। কথা মতো ঘুরে দাঁড়িয়েছে তরুণ সেলেসাওরা।
বলিভিয়ার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ২-১ গোলে জিতেছে অনূর্ধ্ব-২০ সেলেসাওরা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে আটকে গেছে উড়তে থাকা আর্জেন্টিনা। কলম্বিয়ার বিপক্ষে ১-১ গোলে সমতা করেছে তরুণ তারকায় ভরা আকাশি-সাদা জার্সির দলটি।
ম্যাচের ১৪ মিনিটে ব্রাজিলের হয়ে গোল করেন মুসকার্ডো। ২৮ মিনিটে ব্রিনো বাইডন ব্যবধান ২-০ করেন। কিন্তু ৪৭ মিনিটে গোল করে ম্যাচে ফেরার আভাস দেয় বলিভিয়া। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সমতায় ফিরতে পারেনি দলটি।
ব্রাজিলের বিপক্ষে জয় পাওয়া আর্জেন্টিনা এদিন কলম্বিয়ার বিপক্ষে শুরুতে পিছিয়ে পড়েছিল। ৩৩ মিনিটে গোল খায় আর্জেন্টিনা। ৩৬ মিনিটে ক্লদিও এচেভেরির শটে সমতায় ফেরে আর্জেন্টিনা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব র জ ল ফ টবল আর জ ন ট ন
এছাড়াও পড়ুন:
দুর্ঘটনায় আহত অভিনেত্রী খুশি, চোখের ওপর পড়েছে ১০ সেলাই
দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। বুধবার সকালে রমনা পার্ক থেকে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি আহত হন। অভিনেত্রীর ছেলে সৌম্য জ্যোতি সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বুধবার সকালে আম্মু রমনা পার্কে হাটতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় গলির মধ্যে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে আম্মু ছিটকে পড়ে যায় এবং তার ঠিক চোখের ওপর জখম হয়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি আপাতত ভালো আছেন।’
এদিকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান শাহনাজ খুশি। সেখানে তিনি বলেন, ‘বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন? চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মত শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া! এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০ টা সেলাই লেগেছে! আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করছি!’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা/বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানান প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি। কোন বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারি চালিত অসভ্য/বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। যদিও আমি গলির ভেতরের রাস্তায়, প্রাতঃ ভ্রমণ শেষে অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম! ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো জীবনের ক্ষতির তোয়াক্কা করে না! আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোন বোধশক্তি নাই!
সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবো কিনা, সেটা যদিও ফিরি রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলবো না! কাতর অবস্থায় বিছানায় পরে থেকে বারবার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম, ট্রেন-বাস, রিকশা কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই। কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা।’