ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মোবাইল চুরির অপবাদে মারধর ও কান ধরে পুরো বাজার ঘোরানো হয়েছে এক বৃদ্ধকে। রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে ভাঙ্গা উপজেলার কালামৃধা ইউনিয়নের কালামৃধা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার একটা ভিডিও আজ সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, ৭৫ বছর বয়সের এক বৃদ্ধকে কান ধরে দাঁড়িয়ে রেখে মারধর ও গালিগালাজ করছেন বাজারের কিছু লোক। কয়েক জন লোক ওই বৃদ্ধকে কান ধরিয়ে কিলঘুষি মারতে মারতে পুরো বাজারে ঘুরাতে দেখা যায়। কয়েকজনের হাতে লাঠি দিয়ে তাকে আঘাত ও চোর চোর বলে গালিগালাজ করতে শোনা যায়। 

এঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানায় সুশীল সমাজ।

কালামৃধা বাজারের ব্যবসায়ী মো.

ইব্রাহিম জানান, রোববার সকাল দশটার দিকে তরকারি বাজারে এক ক্রেতা সবজি কিনছিলেন। তখন ওই ক্রেতার মোবাইলটি ওই বৃদ্ধ লোকটি নিয়ে যান। পরে বাজারের লোকজন বৃদ্ধকে আটকে কান ধরে ওঠবস করান। পরে বৃদ্ধকে কান ধরে পুরো বাজার ঘুরিয়ে ছেড়ে দেন তারা। তবে বৃদ্ধের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তিনি শুধু বলেছেন মহিলা রোড এলাকায় তার বাড়ি। 

এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকছেদুর রহমান বলেন, আমি ভিডিওটা দেখিনি। এবিষয়ে আমার কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম রধর

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ