বাজেটে তামাক কর ও দাম বাড়ানোর দাবি
Published: 27th, January 2025 GMT
দেশে তামাকের ব্যবহার হ্রাস ও তামকজনিত ক্ষয়ক্ষতি নিরসনে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের বাজেটে তামাক-কর ও দাম বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন বক্তারা। একইসঙ্গে সিগারেটের বর্তমান চারটি স্তরকে কমিয়ে তিনটি স্তরে নামিয়ে আনা প্রস্তাব করেন তারা।
সোমবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ‘জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে, তামাকপণ্যের কার্যকর করারোপ’ শীর্ষক ইয়ুথ কনফারেন্স এমন দাবি করেন তারা। কনফারেন্সে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, একাডেমিক, গবেষক, সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, সিগারেটের বর্তমান চারটি স্তরকে কমিয়ে তিনটি স্তরে নামিয়ে আনা অর্থাৎ নিম্ন ও মধ্যম স্তরকে একত্রিত করে একটি স্তর করা এবং এ স্তরের সিগারেটের ১০ শলাকার প্যাকেটের সর্বনিম্ন মূল্য ৮০ টাকা নির্ধারণ করা; এছাড়াও সব স্তরের সিগারেটের সম্পূরক শুল্ক ৬৭ শতাংশ করার দাবি করা হয়। এছাড়া উচ্চ স্তরের সিগারেটের ১০ শলাকার প্যাকেটের সর্বনিম্ন মূল্য ১৩০ টাকা এবং প্রিমিয়াম স্তরের সিগারেটের ১০ শলাকার প্যাকেটের সর্বনিম্ন মূল্য ১৮০ টাকা কারার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
কনফারেন্সে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শেখ মোমেনা মনি বলেন, তামাকপণ্যের সহজলভ্যতা হ্রাস করতে মূল্যস্ফীতি এবং আয় বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সুনির্দিষ্ট কর আরোপ ও তা নিয়মিতভাবে বৃদ্ধি করতে হবে; সিগারেটের মূল্য স্তরগুলোর মধ্যে সম্পূরক শুল্ক ও মূল্য ব্যবধান কমিয়ে আনার মাধ্যমে সিগারেট ব্যবহারকারীর মূল্য স্তর পরিবর্তন করে কম মূল্য স্তরের সিগারেট ব্যবহারের সুযোগ সীমিত করতে হবে; পর্যায়ক্রমে একক মূল্যস্তর পদ্ধতির প্রচলন করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ড.
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক সদস্য ড. মো. সহিদুল ইসলাম বলেন, তামাক ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে কর বৃদ্ধির মাধ্যমে তামাক পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি। তবে বাংলাদেশে তামাকপণ্য অত্যন্ত সস্তা ও সহজলভ্য এবং তামাককর কাঠামো ত্রুটিপূর্ণ। এটি যুগোপযোগী করতে হবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ডিজিটাল টিকিটে সহজে ভ্রমণ
বাংলাদেশে ডিজিটাল টিকিট পরিষেবা পরিবহন ব্যবস্থাকে সমূলে বদলে দিয়েছে, যা ভ্রমণকে সহজলভ্য, কার্যকর ও চাপমুক্ত করেছে।
যাত্রীরা এখন প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা ও সুবিধাজনক উপায়ে তাদের প্রয়োজনীয় টিকিট সংগ্রহের সুবিধা নিতে পারছেন।
অনলাইন টিকিটিং প্ল্যাটফর্ম সহজ উদ্যোগে ‘টিকিটিং টু ট্রান্সফর্ম লাইভস’ শিরোনামে মতবিনিময় সভায় এমনটা জানানো হয়। মতবিনিময়ে সাংবাদিকরা অংশ নেন।
বক্তারা বলেন, কীভাবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম দীর্ঘদিনের টিকিটবিষয়ক জটিল সব সমস্যার সমাধান করছে। বিশেষ করে ঈদ, পূজা ও জাতীয় ছুটির মতো ব্যস্ত মৌসুমে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা, অনিশ্চয়তা ও শেষ মুহূর্তের দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিচ্ছে অনলাইন টিকিট।
বহু বছর ধরে উৎসব বা জরুরি ভ্রমণের প্রয়োজনে টিকিট সংগ্রহ করা ছিল বেশ দুরূহ। যাত্রীরা টিকিট সংকট, মূল্যবৃদ্ধি ও দালালের ওপর নির্ভর করতে বাধ্য হতেন। তবে অনলাইন টিকিটিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এখন লাখো মানুষ মুহূর্তে প্রয়োজনীয় টিকিট বুক করতে পারছেন। আসন খালি আছে কিনা, তা তাৎক্ষণিক জানতে পারছেন; নিরাপদ পেমেন্ট করতে পারছেন। ফলে টিকিটং ব্যবস্থা স্বচ্ছ ও সহজলভ্য হয়েছে।
বক্তারা বলেন, ডিজিটাল টিকিট পরিষেবা শুধু প্রযুক্তির প্রসারের উদাহরণ নয়, বরং এটি ক্ষমতায়ন। শহর থেকে গ্রাম, সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য সমান সুযোগ তৈরি করেছে, যাতে ভ্রমণ সহজলভ্য ও নিশ্চিন্ত হয়। শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফেরা, কর্মজীবীর প্রতিদিনের যাতায়াত বা পরিবারের সঙ্গে উৎসবে যোগ দেওয়া– অনলাইন টিকিট পরিষেবা এখন যে কোনো যাত্রাকে আগের তুলনায় সহজ ও নির্বিঘ্ন করেছে।
বাংলাদেশের আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থার অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে অনলাইন টিকিট। ভবিষ্যতে টিকিটিং ব্যবস্থা আরও কার্যকর ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে ডিজিটাল প্রযুক্তির উন্নয়ন ও বিস্তার অব্যাহত রাখা জরুরি বলে মন্তব্য করেন বক্তারা।