অনূর্ধ্ব-২০ দক্ষিণ আমেরিকা চ্যাম্পিয়নশিপে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ৬-০ গোলে হারের পর ব্রাজিলের পিএসজি মিডফিল্ডার মুসকার্ডো বলেছিলেন, আমরা একটা ম্যাচ হেরেছি, টুর্নামেন্ট শেষ হয়ে যায়নি। কথা মতো ঘুরে দাঁড়িয়েছে তরুণ সেলেসাওরা। 

বলিভিয়ার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ২-১ গোলে জিতেছে অনূর্ধ্ব-২০ সেলেসাওরা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে আটকে গেছে উড়তে থাকা আর্জেন্টিনা। কলম্বিয়ার বিপক্ষে ১-১ গোলে সমতা করেছে তরুণ তারকায় ভরা আকাশি-সাদা জার্সির দলটি। 

ম্যাচের ১৪ মিনিটে ব্রাজিলের হয়ে গোল করেন মুসকার্ডো। ২৮ মিনিটে ব্রিনো বাইডন ব্যবধান ২-০ করেন। কিন্তু ৪৭ মিনিটে গোল করে ম্যাচে ফেরার আভাস দেয় বলিভিয়া। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সমতায় ফিরতে পারেনি দলটি। 

ব্রাজিলের বিপক্ষে জয় পাওয়া আর্জেন্টিনা এদিন কলম্বিয়ার বিপক্ষে শুরুতে পিছিয়ে পড়েছিল। ৩৩ মিনিটে গোল খায় আর্জেন্টিনা। ৩৬ মিনিটে ক্লদিও এচেভেরির শটে সমতায় ফেরে আর্জেন্টিনা। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব র জ ল ফ টবল আর জ ন ট ন

এছাড়াও পড়ুন:

চীনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন না করেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে যেতে চায় ইইউ

ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে, চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন না করেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে যেতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ব্রাসেলস ও ওয়াশিংটনের মধ্যে চলমান আলোচনা প্রসঙ্গে এ কথা জানিয়েছে সংস্থাটি । চীনের সংবাদমাধ্যম সিএমজি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

সম্প্রতি ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, ৭০টির বেশি দেশের সঙ্গে শুল্ক আলোচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। বেইজিংয়ের সঙ্গে তাদের বাণিজ্য সীমিত করার একটি পরিকল্পনা চলছে।
দ্য আইরিশ টাইমস জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের চাওয়া- ইইউ যেন চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি পক্ষ বেছে নেয়। তবে ইউরোপীয় কমিশনের উপমুখপাত্র আরিয়ানা পোদেস্তা স্পষ্টভাবে বলেছেন, চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের এই আলোচনা সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমাদের চীন নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি।

তিনি জানান, চীন-ইইউ সম্পর্ক নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন কমিশন প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লায়েন। তাঁর পক্ষ থেকে বেইজিংয়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগও বজায় রাখা হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য ঝুঁকি হ্রাস করা। বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া নয়।

ইউরোপের ভ্যাট এবং টেক জায়ান্টদের বিভিন্ন নিয়মকে অন্যায্য সুবিধা মনে করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর জবাবে কমিশন বলেছে, ইউরোপের নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সুস্থতার প্রশ্নে কোনো আপস হবে না।

ভন ডার লায়েন জানান, বিশ্ব ব্যবস্থা যত অনিশ্চিত হচ্ছে, ইউরোপের পাশে দাঁড়াতে আগ্রহী দেশের সংখ্যাও বাড়ছে। অন্যদিকে, যুক্তরাজ্য ও ইইউকে বহুপক্ষীয় বাণিজ্য ব্যবস্থার পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। ব্রুগেলের সিনিয়র ফেলো আন্দ্রে সাপিরও বলেছেন, মার্কিন শুল্কের প্রতিক্রিয়ায় ইইউর একটি আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত বাণিজ্য জোট গঠন করা উচিত।

তিনি বলেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার দ্বারা প্রকাশিত উন্মুক্ত ও নিয়মভিত্তিক বাণিজ্যের জন্য ইইউ নেতাদের জি-২০ এবং জি-২০-বহির্ভূত দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ