ফরিদপুর-৪ (সদরপুর-চরভদ্রাসন) সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে চরভদ্রাসনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে স্থানীয় নানা শ্রেণি পেশার মানুষ।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় সদরপুর-চরভদ্রাসন সংসদীয় আসন পুনরুদ্ধার কমিটির আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সামনে আধাঘণ্টা ব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ মানববন্ধনে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনসহ স্থানীয় নানা শ্রেণি পেশার প্রায় ৫ শতাধিক মানুষ অংশ নেন।

সাবেক সচিব ও ফরিপুর-৪ সংসদীয় আসন পুনরুদ্ধার কমিটির আহ্বায়ক মো.

কুদ্দুস খানের সভাপতিত্বে এ আসনটি পুনর্বহালের দাবিতে বক্তব্য রাখেন কমিটির সদস্য সচিব মো. আখতারুজ্জামান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. শাহজাহান সিকদার, সাধারণ সম্পাদক মো. কুদ্দুস আলী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এজিএম বাদল আমিন, ঢাকা কলেজের সাবেক ছাত্রনেতা মো. মুঞ্জরুল হক মৃধা, এনজিও পল্লী বাংলা উন্নয়নের চেয়ারম্যান এ কে এম লুৎফর রহমান, যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক কেএম ওবায়দুল বারী দিপু, যুবদলের সভাপতি মোরাদ হোসেন মৃধা ও ছাত্র দলের আহ্বায়ক মো. সালাউদ্দিন শুভ প্রমুখ।

বক্তারা সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন বর্তমানে ফরিদপুর-৪ আসনটি (ভাঙ্গা-সদরপুর ও চরভদ্রাসন) নিয়ে গঠিত। এ আসনটি ১৯৭৯ সালের নির্বাচন ব্যতীত ১৯৭৩ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সদপুর-চরভদ্রাসন সংসদীয় আসন হিসেবে বহাল ছিল। তৎকালীন নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগকে বিশেষ সুবিধা দিতে ২০০৮ সালে ১৫৪টি সংসদীয় আসনের সীমানা কাটাছেঁড়া করেছে।

ছাত্র জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে। তাই গত ১৬ বছরের বৈষম্য দূর করে দুটি উপজেলার উন্নয়ন ও বরাদ্দের আনুপাতিক হার ঠিক রাখার পাশাপাশি বৈষম্য নিরসনে দেশের অন্যান্য সংসদীয় আসনের সঙ্গে ফরিদপুর-৪ (সদরপুর-চরভদ্রাসন) আসন-২০০১ সালের ন্যায় পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার জোর দাবি জানান তারা।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

জবি শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রদল কর্মীর নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ, প্রতিবাদে বিক্ষোভ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে দ্রুত বিচার দাবি করেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা হলেন, জবির রসায়ন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আকাশ আলী, তামান্না তাবাসসুম ও আবুল বাসার। অপরদিকে, হামলার নেতৃত্ব দেওয়া অভিযুক্ত ছাত্রদল কর্মী অনিক কুমার দাশ মার্কেটিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ।

এর আগে, গতকাল বুধবার (২৯ জানুয়ারি) জবির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মার্কেটিং বিভাগের দুই শিক্ষার্থী জুতা পায়ে উঠলে রসায়ন বিভাগের দুই শিক্ষার্থী তার প্রতিবাদ করে। এতে তাদের ওপর হামলা চালায় মার্কেটিং বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী।

এ হামলার নেতৃত্ব দেন জবি ছাত্রদল কর্মী ও মার্কেটিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী অনিক কুমার দাশ। এতে আরো যুক্ত ছিলেন, মাহফুজুর রহমান চৌধুরী মাহী, আয়ান, আরিফ, রাতুল, আসিফসহ আরো ১৫ জন।

এ হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশে আমরা আর কোন দমন-পীড়ন বরদাস্ত করব না। আর কাউকে ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠার সুযোগ দেওয়া হবে না। এর আগের হামলাগুলোর ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে আজ আমাদের এখানে দাঁড়াতে হত না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এসব ঘটনার দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করুক। আমরা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

রসায়ন বিভাগের ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থী ২০২০ -২০২১ সেশনের তামান্না তাবাসসুম বলেন, “আমরা প্রক্টরের কাছে গিয়েছিলাম। তারা আমাদের কোন সহযোগিতা করেনি। আমরা তাহলে কার কাছে যাব? আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।”

একই বিভাগের শিক্ষার্থী আকরাম হোসেন বলেন, “গতকালের ঘটনার পর আমরা প্রক্টরের কাছে যাওয়ার পর তিনি আমাদের বলেন, ২০০৫ সালের নীতিমালা পড়ার জন্য। এ বিষয়ে তারা কি পদক্ষেপ নেবে, সে ব্যাপারে তিনি আমাদের কিছু জানাতে পারেননি। বরং আমাদের বিভাগের শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। যদি এ ঘটনায় প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আমরা প্রশাসন ও যে দলের  প্রশ্রয়ে এ ঘটনা ঘটেছে, তাদের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন গড়ে তুলবে। সেই সঙ্গে আমরা ক্লাস বর্জনের ডাক দেব।”

আব্দুল কাহহার জামিল বলেন, “গতকালের ঘটনায় প্রক্টর স্যার আমাদের কোন খোঁজ নেননি। রাত ১০টার পর একজন সহকারী প্রক্টরকে পাঠান। তিনি চিকিৎসার জন্য কিছু টাকা দেন। কিন্তু প্রক্টর স্যারের সঙ্গে আমরা কথা বলতে গেলে তিনি দুর্ব্যবহার করেন। গত ১ বছরে আামদের বিভাগের শিক্ষার্থীরা তিনটি হামলার অভিযোগ করলেও সুষ্ঠু বিচার পাননি। যদি ওই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হত, তাহলে আজ আমাদের এখানে দাঁড়াতে হত না। আমরা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”

তিনি বলেন, “বিচারের নামে টালবাহানা করা হয়। আমাদের প্রক্টর অফিস থেকে ভয় দেখিয়ে অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়। এছাড়া আমাদের নানা হুমকি দিয়ে ভয় দেখনো হয়। বলা হয়, যদি ক্যাম্পাসের বাইরে কেউ হামলা করে, তাহলে সে দায় প্রক্টর অফিস নেবে না।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, “সবকিছুর জন্য সময় দরকার। রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা যেভাবে বিচার চাচ্ছে, সেটা এত দ্রুত সম্ভব না। আগের একটা কমিটি আছে, সে কমিটির কাছেই আমি এটার তদন্ত হস্তান্তর করেছি।”

তিনি বলেন, “হ্যাঁ, আমি তাদের ২০০৫ সালের নীতিমালা পড়তে বলেছি। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামীকাল ভর্তি পরীক্ষা আছে। সব মিলিয়ে ব্যস্ততার মধ্যে আছি।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফরিদপুরে পুলিশের হাত থেকে আটক ব্যক্তি ছিনতাই
  • ইমামের বিরুদ্ধে ৪ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ
  • পদ্মায় আড়াআড়ি বেড়া মাছ নেই জালে
  • ৫ দাবিতে নোবিপ্রবির ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
  • জবি শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রদল কর্মীর নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ, প্রতিবাদে বিক্ষোভ
  • সেন্টমার্টিনে পর্যটক উন্মুক্ত রাখার দাবি
  • সাদ্দা‌মের ফাঁসির দাবিতে দে‌বিদ্বা‌রে বি‌ক্ষোভ
  • ছাত্রলীগের নির্যাতনে পঙ্গু ঢাবি শিক্ষার্থী রাকিবুল, লিখলেন নৃশংসতার গল্প
  • মাছচাষিদের ‘পাওনা’ সাত কোটি টাকা, পুলিশ সদস্য লাপাত্তা