বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হকার মো. সাগরকে হত্যার অভিযোগে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলাম শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন। 

এনামুর রহমানের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মো.

মনিরুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। 

ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, “এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রানা প্লাজার দুর্ঘটনায় আহতের চিকিৎসা দিয়ে আলোচনায় আসেন ডা. এনামুর রহমান। পরবর্তী সময়ে তার মাথায় ফ্যাসিস্টের ভূত চেপে বসে। তাকে পুরস্কার হিসেবে এমপি, পরে প্রতিমন্ত্রী বানানো হয়। শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট বানাতে সহযোগিতা করেছেন এনামুর রহমান। আমরা চাই, যারা ফ্যাসিজমের পক্ষে কাজ করেছেন, তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার হোক।” 

আসামিপক্ষের আইনজীবী প্রাণনাথ ডা. এনামুর রহমানের রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, “গত সংসদ নির্বাচনে তিনি এমপি ছিলেন না। এ হত্যা মামলার সঙ্গে তিনি জড়িত না। তিনি থাকেন সাভারে, অথচ ঘটনাস্থল মিরপুর। উনি অনেক অসুস্থ ও বয়স্ক। এ বিবেচনায় তার রিমান্ড বাতিল করা হোক। প্রয়োজনে তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।”

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন।

গতকাল রোববার রাতে রাজধানীর ভাটারা থেকে ডা. এনামুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ জুলাই মিরপুর গোলচত্ত্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন হকার মো. সাগর। ওই দিন বিকেল ৪টায় তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় গত ২৭ নভেম্বর নিহতের মা বিউটি আক্তার বাদী মিরপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় শেখ হাসিনাসহ ২৪২ জন আসামি করা হয়েছে। মামলার ৩০ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি ডা. এনামুর রহমান।

ঢাকা/মামুন/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পেছালো খালেদা জিয়ার নাইকো মামলার সাক্ষ্য

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আট জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক সাহেদুর রহমানের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ছিলো। তবে তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। এজন্য আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী এ তারিখ ঠিক করেন।

এদিন মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তার পক্ষে আইনজীবী হাজিরা দাখিল করেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া জানান, মামলায় ৬৮ সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের সাক্ষ্য হয়েছে।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা  জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। গত বছর ১৯ মার্চ  একই আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির অব্যাহতির আদালত নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন।

অপর আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী,বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। এদের মধ্য প্রথম তিন জন পলাতক রয়েছেন।

ঢাকা/মামুন/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাদারীপুরে আইনজীবী সমিতির সভাপতি ইমদাদুল, সাধারণ সম্পাদক শাকিল
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবি
  • চাঁদপুরে আইনজীবী কল্যাণ সমিতির সভাপতি জহির, সম্পাদক ফয়সাল
  • ঝালকাঠি আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত
  • সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন তিন দিনের রিমান্ডে
  • সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন ৩ দিনের রিমান্ডে
  • আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের সরে দাঁড়াতে বিক্ষোভ
  • বিএনপি-জামায়াত লড়াই, বর্জন আ’লীগ-বামদের
  • সালমান এফ রহমানের আইনজীবীদের তোপের মুখে সাংবাদিকরা
  • পেছালো খালেদা জিয়ার নাইকো মামলার সাক্ষ্য