ঝিনাইদহের শৈলকুপায় এক ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে হামিদুর রহমান নামে এক যুবদল নেতাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে উপজেলা শহরের চৌরাস্তা মোড়ের জনতা ব্যাংকের সামনে থেকে অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শৈলকুপা থানার ওসি মাসুম খান।

আটক হামিদুর রহমান উপজেলার রয়েড়া গ্রামের মো.

হারুনের ছেলে। তিনি উমেদপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক।

আরো পড়ুন:

গণপিটুনি দিয়ে ৫ অপহরণকারীকে পুলিশে সোপর্দ

গোপালগঞ্জে সমন্বয়কদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আসাদুর রহমান টিপু বলেন, “টাকা তুলে আমি ব্যাংকের বাইরে আসি। তখন ওই ব্যক্তি (হামিদুর রহমান) আমার হাতে থাকা টাকার ব্যাগটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। আমার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এসে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।”

ওসি মাসুম খান বলেন, “হামিদুর রহমানের সঙ্গে ব্যবসায়ী আসাদুর রহমানের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল। হামিদুর রহমান আসাদুর রহমানের কাছে টাকা পান। সেই টাকা অনেকদিন ধরে তিনি চাচ্ছেন। ব্যবসায়ী আসাদুর রহমান টাকা দিচ্ছিলেন না। আসাদুর রহমান আজ ব্যাংক থেকে টাকা উঠান। হামিদুর রহমান টাকার ব্যাগ থেকে টাকা নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় স্থানীয়রা তাকে ধরে মারধর করে। পরে পুলিশ গিয়ে হামিদুর রহমানকে থানায় নিয়ে আসে। ব্যবসায়ী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।” 

ব্যবসায়ী আসাদুর রহমানের কাছে হামিদুর রহমান কতো টাকা পাবেন সেটা বলতে পারেননি ওসি মাসুম খান।  

এ বিষয়ে জানতে ঝিনাইদহ জেলা যুবদলের সভাপতি আহসান হাবিব রনককে ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আটক হ ম দ র রহম ন দ র রহম ন র ব যবস য় য বদল

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ