রাবিতে ওয়ালটন স্মার্ট ফ্রিজ জাতীয় বিজ্ঞান উৎসব শুরু ৩১ জানুয়ারি
Published: 27th, January 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ওয়ালটন স্মার্ট ফ্রিজ জাতীয় বিজ্ঞান উৎসব ২০২৫ আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে।
জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের সহযোগিতায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাব (আরইউএসসি) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী এ আয়োজন চলবে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় ড.
বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (টিএসসিসি) এবং এর সামনের মাঠসহ মোট সাতটি ভেন্যুতে অষ্টমবারের মতো এ উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। তিনদিনের এ আয়োজনে থাকবে ১৩টি ভিন্ন ভিন্ন বিজ্ঞান বিষয়ক প্রতিযোগিতাসহ নানা কর্মসূচি।
এর মধ্যে একক অংশগ্রহণে থাকবে সায়েন্স অলিম্পিয়াড, সায়েন্টিফিক পেইন্টিং কম্পিটিশন, সায়েন্টিফিক স্পিস কম্পিটিশন, রুবিক্স কিউব কম্পিটিশন, কেইস সলভিং এবং ফটোগ্রাফি কনটেস্ট। দলীয় অংশগ্রহণে থাকবে মোবাইল অ্যাপ আইডিয়া কম্পিটিশন, প্রোজেক্ট শো কম্পিটিশন, পোস্টার প্রেজেন্টেশন, ওয়াল ম্যাগাজিন (দেয়ালিকা) এবং এআই-বেসড বিজনেস আইডিয়া কম্পিটিশন। এছাড়া থাকবে সায়েন্টিফিক ডিবেট।
৩১ জানুয়ারি থেকে উৎসব শুরু হলেও ১ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) সকাল ১০টায় টিএসসিসিতে এর উদ্বোধনী পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। উদ্বোধন করবেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যদ্বয় অধ্যাপক মো. মাঈন উদ্দিন খান (প্রশাসন) ও অধ্যাপক মোহা ফরিদ উদ্দিন খান (শিক্ষা) এবং রাবি সায়েন্স ক্লাবের উপদেষ্টামণ্ডলী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ক্লাবের সভাপতি মাসুদ।
লিখিত বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকের জন্য থাকছে সনদ এবং প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের জন্য আকর্ষণীয় পুরস্কার ও প্রাইজমানি। এছাড়াও থাকছে টি-শার্ট, কলম, স্ন্যাক্স, স্পেশাল গিফট ব্যাগ ইত্যাদি। এ উৎসবের আহ্বায়ক হলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাবের সভাপতি মাসুদ।
এবারের সায়েন্স ফিয়েস্টায় টাইটেল স্পন্সর ওয়ালটন স্মার্ট ফ্রিজ, ব্রোঞ্জ স্পন্সর উত্তরায়ন আমানা সিটি, স্ট্র্যাটিজিক পার্টনার বিডিঅ্যাপস, স্ন্যাক্স পার্টনার বোম্বে সুইটস, লার্নিং পার্টনার ওলিন এআই, সাপোর্টিং পার্টনার সুরেন্দ্রনাথ অ্যান্ড ভাজাসুন্দরি দাস স্মৃতি তহবিল, মিডিয়া পার্টনার দ্যা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, যমুনা টেলিভিশন এবং দৈনিক দিনকাল, ম্যাগাজিন পার্টনার বিজ্ঞানচিন্তা, ইভেন্ট পার্টনার বিডিইভেন্টস, কমিউনিটি পার্টনার জেসিআই ঢাকা ওয়েস্ট, এডুকেশন পার্টনার সাইফুর'স, ফুড পার্টনার কাজলা ক্যান্টিন, ইউথ এংগেইজমেন্ট পার্টনার টিবিএস গ্র্যাজুয়েটস, ইউনেট, পাবলিকিয়ান, আরইউ ইনসাইডারস্।
২০১৬ সালে শুরু হওয়া এই সায়েন্স ফিয়েস্টা বর্তমানে বিজ্ঞানপ্রেমীদের জন্য অন্যতম জনপ্রিয় এবং প্রতীক্ষিত আয়োজন। প্রতিবছর রাজশাহী অঞ্চলের হাজারো শিক্ষার্থী ও তরুণ গবেষকরা জনপ্রিয় এ সায়েন্স ফিয়েস্টায় অংশগ্রহণ করেন।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প র টন র ব
এছাড়াও পড়ুন:
বসন্তে ভালোবাসায়
বিশ্বরঙ
বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভ্যালেন্টাইনস ডে বা ভালোবাসা দিবস উদযাপন করা হয়। ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিনেই ভালোবাসা দিবসে বাঙালি মনের ভালোবাসা প্রকাশেও হয় পবিত্র ফুলে রাঙা আর বাসন্তী মোহে মুগ্ধ। ভালোবাসা দিবসে প্রেমিক যুগলদের মনের এ উচ্ছ্বাসকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতেই ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘বিশ্বরঙ’ আয়োজন করেছে ‘ভালোবাসি, ভালোবাসি’ শীর্ষক এক প্রতিযোগিতার। যেখানে প্রেমিক যুগলরা তাদের ছবি পাঠিয়ে জিতে নেবেন আকর্ষণীয় সব পুরস্কার। ছবি পাঠানোর ঠিকানা: bishworangjugol2025@gmail.com।
দিবসভিত্তিক সব আয়োজনে ‘বিশ্বরঙ’ বরাবরই অগ্রপথিক। সেই ধারাবাহিকতায় ‘বিশ্বরঙ’-এর এবারের ভালোবাসা দিবসের আয়োজনে লাল, কমলা, সাদার মিশেলে প্রকৃতি আর ভালোবাসার বিভিন্ন সিম্বলই রয়েছে পোশাক অলংকরণে। শীতের শেষবেলায় পোশাকগুলোয় ব্যবহার করা হয়েছে সুতি ও খাদি কাপড়। ‘বিশ্বরঙ’-এর শাড়ি, থ্রিপিস, পাঞ্জাবি, টি-শার্ট, উত্তরীয়, মগ ইত্যাদিতে তুলে ধরা হয়েছে ফুল, পাতা, গাছসহ প্রকৃতিরই বিভিন্ন অনুষঙ্গ। কাজের মাধ্যম হিসেবে এসেছে টাইডাই, ব্লক, বাটিক, অ্যাপ্লিক, ক্যাটওয়াক, স্ক্রিনপ্রিন্ট ইত্যাদি। ৩০ বছরে দেশব্যাপী ‘বিশ্বরঙ’-এর শোরুমে শুভানুধ্যায়ীদের পদচারণায় মুখরিত হয়েছে বারবার। শোরুমে গিয়ে কেনাকাটার পাশাপাশি যে কেউ ঘরে বসে অনলাইনে কেনাকাটা করতে পারবেন।
রঙ বাংলাদেশ
প্রতি বছরের মতো বসন্ত উৎসবের রংকে আরও রাঙিয়ে দিতে দেশের অন্যতম ফ্যাশন হাউস ‘রঙ বাংলাদেশ’ এনেছে তাদের নতুন ডিজাইনের বৈচিত্র্যময় পোশাক। দেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে আন্তর্জাতিক মেলবন্ধনের প্রচেষ্টায় এবার বসন্ত উৎসবের পোশাক ডিজাইনে তারা থিম হিসেবে ব্যবহার করেছে ‘আমেরিকান নেটিভ পটারি’ বা আমেরিকান আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বিভিন্ন নকশাকে; যা সেই অঞ্চলে মূলত মৃৎশিল্পের নকশা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। নির্দ্বিধায় বলা যায় চিন্তাধারাটি প্রশংসাযোগ্য। হাফসিল্ক, কটন, জ্যাকার্ড কটন, মারসালাইস কটন এবং স্লাব ভিস্কাস কাপড়ে কমলা, গাঢ় হলুদ, হালকা হলুদ, অলিভ আর সাদা রঙের ব্যবহার। একই সঙ্গে আরাম ও টেকসই। রঙ বাংলাদেশে রয়েছে– শাড়ি, থ্রিপিস, সিঙ্গেল কামিজ, টপস, রেডি ব্লাউজ, সিঙ্গেল ওড়না, টিউনিক, স্কার্ট, পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট, বাচ্চাদের পোশাক, মগসহ অন্যান্য সামগ্রী।
বসন্ত উৎসবকে ঘিরে যে কোনো অনুষ্ঠানের জন্য সবাই মিলে একইরকম পোশাক সুলভ মূল্যে অর্ডার করতে পারেন। রঙ বাংলাদেশের সব আউটলেটেই পাওয়া যাচ্ছে বসন্ত উৎসবের আয়োজন। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকেও কেনা যাবে পছন্দের পণ্য।
কে ক্র্যাফট
বসন্ত উৎসব বাঙালির প্রিয় উৎসবগুলোর মধ্যে একটি। বসন্তে প্রকৃতি যেমন ফুলেল উৎসবে নতুনভাবে সেজে ওঠে, তেমনি উৎসবপ্রিয় বাঙালিও বসন্তের প্রথম দিনটি উদযাপন করে বাহারি রঙের সাজপোশাকে। পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস একই দিনে হওয়ায় সাজপোশাক নির্বাচনে একটু দ্বিধায় পড়তে হয়। সমসাময়িক মোটিফ এবং প্রিন্টের পাশাপাশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে বিশেষভাবে বাছাই করা ডিজাইন, প্যাটার্ন ও রং। এবারের আয়োজনে সুতি কাপড়কেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। নকশা ফুটিয়ে তুলতে হাতের কাজ, এমব্রয়ডারি, স্ক্রিন ও ব্লক প্রিন্ট, ডিজিটাল প্রিন্ট এবং টাইডাই মিডিয়ার ব্যবহার হয়েছে। ফ্লোরাল, আলাম, এথনিক, ট্র্যাডিশনাল, জামদানি, ইক্কত, পেইসলে, জ্যামিতিক ইত্যাদি মোটিফে তৈরি মেয়েদের পোশাকের মধ্যে রয়েছে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, লং কুর্তি, রেগুলার কুর্তি, টপস, গাউন, কাফতান, টিউনিক, টপস-স্কার্ট। ছেলেদের জন্য রেগুলার ও ফিটেড পাঞ্জাবি, শার্ট, কটি ও শিশুদের জন্য নানা আয়োজন তো থাকছেই। এ ছাড়া যুগলদের জন্য থাকবে বিশেষ পোশাক। কে ক্র্যাফটের সব আউটলেট ছাড়াও দেশ ও দেশের বাইরের যে কোনো প্রান্ত থেকে অনলাইনের মাধ্যমে ফাল্গুন-ভালোবাসা দিবসের পোশাক কিনতে পারেন বিশেষ সাশ্রয়ী মূল্যে। এ ছাড়া ফেসবুক পেজ থেকেও কেনাকাটা করার সুবিধা রয়েছে।