চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুপথযাত্রী সাংবাদিক এম সুলতান
Published: 27th, January 2025 GMT
জামালপুরে অর্থ কষ্ট আর উন্নত চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর দিনক্ষণ গুনছেন দৈনিক দি বাংলাদেশ টুডের সাংবাদিক এম সুলতান আলম। দীর্ঘ কর্ম জীবনে সংবাদের পেছনে ছুটেছেন শহর থেকে উপজেলা, ইউনিয়ন, গ্রাম ও দুর্গম চরাঞ্চলে। তার সেই ছুটে চলা প্রাণবন্ত মানুষটি এখন পড়ে আছেন ভাঙ্গাচোড়া বসতঘরে। সদা হাস্যোজ্জ্বল নিঃসন্তান সিনিয়র সাংবাদিক এম সুলতান আলমের এমন অবস্থা দেখে অশ্রু সংবরণ করা যাচ্ছে না।
ক্যান্সার আক্রান্ত সাংবাদিক এম সুলতান আলম জামালপুর শহরের লাঙ্গলজোড়া গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের সন্তান। এম সুলতান আলম স্ত্রী শাহিদা আক্তার মলিকে নিয়ে বাস করেন একটি দোচালা ঘরে। ৫৫ বছর বয়সী এ মানুষটি সাংবাদিকতায় কাটিয়েছেন ৩০টি বছর।
ভাতিজা শাহরিয়ার হাসান উল্লাস জানান, ২০২৪ সালের ১২ ডিসেম্বর এম সুলতান আলম অসুস্থ হয়ে পড়েন। পেট ব্যথা নিয়ে প্রথমে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরও কোনো সমাধান না পাওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজধানী ঢাকায় নেওয়া হয়। সেখানে বিভিন্ন হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ৩১ ডিসেম্বর গলব্লাডার ও লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন চিকিৎসকেরা। এরপর ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। উন্নত চিকিৎসার অভাব ও শারীরিক জটিলতায় নিজ বাড়িতে ধুকে ধুকে দিন পার করছেন তিনি। এখন তিনি কিছু খেতে পারেন না। আর তার কথা স্পষ্ট হচ্ছে না। একদম শুকিয়ে গেছেন।
আরো পড়ুন:
বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে দুদকের অভিযান
ফরিদপুরে হামলায় ৩ ডিবি পুলিশ আহত
স্ত্রী শাহিদা আক্তার মলি জানান, তাদের নিজস্ব অর্থ, সম্পত্তি বলতে কিছু নেই। যা সামান্য ছিল তা দিয়ে চিকিৎসা করানোর পর এখন হাত শূন্য। এখন অর্থের অভাবে তার চিকিৎসা করানো যাচ্ছে না। তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। চিকিৎসার অভাবে চোখের সামনে তিনি দিন দিন শেষ হয়ে যাচ্ছেন।
শাহিদা আক্তার মলি আরো জানান, তার চিকিৎসার জন্য ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা প্রয়োজন। সরকার বা কোনো বিত্তবান ব্যক্তি যদি পাশে দাড়ান তাহলে উপকার হয়। কেউ চাইলে ব্যাংক হিসাব বা বিকাশে টাকা দিতে পারেন। (এম সুলতানা আলম, হিসাব নং ১৫৬০১০১০৭০৬৬৬, পূবালী ব্যাংক, জামালপুর শাখা। আর বিকাশ নম্বর ০১৭১৬৫১৭৩৩৫)
প্রেস ক্লাব জামালপুরের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘‘সাংবাদিক সুলতান আলম সৎ সাংবাদিক হিসেবে আমাদের কাছে দৃষ্টান্ত। অসুস্থতার পর থেকে আমরা তার পাশে দাঁড়িয়েছি। তবে এর পরিমাণ খুবই সামান্য। কারণ তার চিকিৎসা ব্যয়বহুল। এখন সরকার আর সমাজের বিত্তশালী ব্যক্তি যদি তার পাশে না দাঁড়ায়, তাহলে অসময়ে একজন ভালো মানুষকে হারাতে হবে।’’
ঢাকা/শোভন/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শনে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক
চীনের অর্থায়নে এক হাজার শয্যার আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের লক্ষ্যে সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করেছেন রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হারুন অর রশিদ। মঙ্গলবার তিনি নীলফামারী সদর উপজেলার টেক্সটাইল মিলসংলগ্ন জায়গাটিকে ‘প্রথম পছন্দ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক সাইদুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. আব্দুর রাজ্জাক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিভাগীয় কো-অর্ডিনেটর ডা. জুবায়ের আল মামুন ও জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর সরকার উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে হাসপাতাল নির্মাণের সিদ্ধান্তের খবরের পর মানুষের মাঝে আনন্দের বন্যা নেমে এসেছে। উচ্ছ্বসিত এ জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে মিছিলও হয়েছে।
ডা. হারুন অর রশিদ বলেন, উপদেষ্টা মহোদয় রংপুর বিভাগের আশপাশে ১০ থেকে ১২ একরের মধ্যে একটি জায়গা নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এখানে ২০ থেকে ২৫ একর জমি পাওয়া যাবে। ফলে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য এটি আরও উপযোগী হয়ে উঠেছে। জেলা প্রশাসক এ জায়গাটির বিষয়ে প্রস্তাব দেন। সার্বিক দিক বিবেচনায় এটি উপযোগী স্থান। এই জায়গা নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ দ্বিমত পোষণ করেননি।
ডা. হারুন অর রশিদ আরও বলেন, নিরাপত্তার দিক থেকে উত্তরবঙ্গের মানুষ অত্যন্ত সহনশীল ও শান্তিপ্রিয়। পাশেই সৈয়দপুর বিমানবন্দর এবং সড়ক পথে অন্যান্য জেলার সঙ্গে সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা এই স্থানটিকে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য আরও উপযুক্ত করে তুলেছে।