বাংলাদেশ-সহ এশিয়া, আফ্রিকা এবং ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশ থেকে ভেড়া, ছাগল, হাঁস-মুরগি, অন্যান্য পশু এবং পশুপণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করেছে চীন। গবাদি পশুর পক্স ও পা-মুখের রোগের প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশটির জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমস এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বলে সোমবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

এর আগে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গবাদিপশু ও অন্যান্য পশুপাখির রোগের প্রাদুর্ভাবের বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করে। এরপর গত ২১ জানুয়ারি চীনের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমস একাধিক বিবৃতি জারি করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের তথ্য জানায়।

চীনের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমস বলছে, গবাদিপশু ও অন্যান্য পশুপাখির মাঝে পক্স ও পা-মুখের রোগ ছড়িয়ে পড়ায় আফ্রিকা, এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে ভেড়া, ছাগল, হাঁস-মুরগি ও অন্যান্য পশুর আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের প্রক্রিয়াজাত এবং অপ্রক্রিয়াজাত পশুপণ্যও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে।

বিশ্বের বৃহত্তম মাংস আমদানিকারক দেশ চীনের এই নিষেধাজ্ঞায় ঘানা, সোমালিয়া, কাতার, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, নাইজেরিয়া, তানজানিয়া, মিসর, বুলগেরিয়া, পূর্ব তিমুর এবং ইরিত্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এছাড়াও চীনা কর্তৃপক্ষ বলেছে, ভেড়া ও ছাগলের পক্সের প্রাদুর্ভাবের কারণে ফিলিস্তিন, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নেপাল এবং বাংলাদেশ থেকেও ভেড়া, ছাগল এবং অন্যান্য পশুপণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

পা ও মুখের রোগের প্রাদুর্ভাবের কারণে জার্মানি থেকেও শূকর ও শূকরের পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বেইজিং।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আমদ ন ন ষ দ ধ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ