রাজনৈতিক পালাবদলের পর নানা কারণে কমেছে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন। এ কারণে কমেছে বৈদেশিক অর্থ ছাড়। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে অর্থ ছাড়ের পরিমাণ গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ শতাংশ কম।
সম্প্রতি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ছয় মাসে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগীরা ছাড় করেছে ৩ দশমিক ৫৩২ বিলিয়ন ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৪ দশমিক ০৬ বিলিয়ন ডলার।
ইআরডির তথ্য অনুযায়ী, জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে ২ দশমিক ২৯৮ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬ দশমিক ৯৮৯ বিলিয়ন ডলার।
উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিশ্রুতি ও অর্থ ছাড় কমলেও আগের নেওয়া ঋণের কিস্তি পরিশোধ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। অর্থবছরের প্রথমার্ধে বাংলাদেশ বিভিন্ন ঋণের সুদ ও আসল মিলিয়ে উন্নয়ন সহযোগীদের পরিশোধ করেছে ১ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে বাংলাদেশ পরিশোধ করেছিল ১ দশমিক ৫৬৭ বিলিয়ন ডলার।
অন্যদিকে, সরকারি অর্থায়নের প্রকল্পের মতো বিদেশি ঋণের প্রকল্প বাস্তবায়নেও গতি কমেছে। মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্পের মতো বেশকিছু বৈদেশিক অর্থায়নের প্রকল্পের ঠিকাদার চলে গেছে। এ প্রকল্পের মতো অনেক প্রকল্পেই নতুন পরিচালক নিয়োগ দিতে হয়েছে। অনেক প্রকল্পে বৈদেশিক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানও চলে গেছে। আবার বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন স্থবির হওয়ার ফলেও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমেছে। এসব কারণে বাস্তবায়ন কাজও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে, উন্নয়ন প্রকল্পে বৈদেশিক অর্থছাড় কমেছে।
ঢাকা/হাসনাত/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রকল প র দশম ক
এছাড়াও পড়ুন:
মুনাফায় বেক্সিমকো ফার্মা, লোকসানে বেক্সিমকো-শাইনপুকুর
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেক্সিকো গ্রুপের তিনটি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৪) ও অর্ধবার্ষিক (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
কোম্পানিগুলো হলো- বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, বেক্সিমকো লিমিটেড ও শাইনপুকুর সিরামিক্স লিমিটেড।
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, আলোচ্য প্রন্তিকে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে। বাকি দুইটি কোম্পানির শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়েছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়।
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৪.১০ টাকা। যার পরিমাণ এর আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ৩.২১ টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ০.৮৯ টাকা বা ২৮ শতাংশ। কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৭.৮৭ টাকা। যার পরিমাণ এর আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ৬.৬৯ টাকা। এতে করে মুনাফা বেড়েছে ১.১৮ টাকা বা ১৮ শতাংশ। ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১১.৩৫ টাকায়।
বেক্সিমকো: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে (২.৫৮) টাকা। যার পরিমাণ এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ০.৮২ টাকা। এতে করে কোম্পানিটি মুনাফা থেকে লোকসানে নেমেছে। কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে (৩.৭৮) টাকা। যার পরিমাণ এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ০.০৩ টাকা। এতে করে কোম্পানিটি মুনাফা থেকে লোকসানে নেমেছে। ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮২.৫৭ টাকায়।
শাইনপুকুর সিরামিক্স: কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে (১.০১) টাকা। যার পরিমাণ এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ০.০১ টাকা। এতে করে কোম্পানিটি মুনাফা থেকে লোকসানে নেমেছে। কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে (১.৩৫) টাকা। যার পরিমাণ এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ০.০২ টাকা। এতে করে কোম্পানিটি মুনাফা থেকে লোকসানে নেমেছে। ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৯.৭৭ টাকায়।
ঢাকা/এনটি/ইভা