তদন্তে অপারগতা প্রকাশ করে সভাপতি-সদস্য সচিবের পদত্যাগ
Published: 27th, January 2025 GMT
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) সমন্বয়কদের ওপর হামলার ঘটনায় তদন্ত কাজে অপারগতা প্রকাশ করে তদন্ত কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন সভাপতি ও সদস্য সচিব। রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রারের কাছে তারা এ পদত্যাগপত্র জমা দেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ জানুয়ারি (শনিবার) পরীক্ষা শেষে বাইরে বের হন ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের কর্মী শরিফুল ইসলাম সোহাগ। এ সময় সমন্বয়করাসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করেন। তখন সোহাগের অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মীরা হামলা চালিয়ে শরিফুল ইসলাম সোহাগকে ছিনিয়ে নেয়। এ সময় দুই সমন্বয়কসহ ৪ জন আহত হন। এ ঘটনায় ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন আব্দুল্লাহ আল আসাদকে সভাপতি ও শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট শাহাবুদ্দিনকে সদস্য সচিব করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ কমিটিকে তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতেও বলা হয়।
কিন্তু তদন্ত করতে অপারগতা প্রকাশ করে রোববার রাতে রেজিস্ট্রার বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেন তদন্ত কমিটির প্রধান ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন আব্দুল্লাহ আল আসাদ ও সদস্য সচিব শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট মো.
এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির সভাপতি ও ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন আব্দুল্লাহ আল আসাদ বলেন, আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় তদন্ত করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এ কারণে আমি রেজিষ্ট্রার বরাবর কাজে অপারগতা জানিয়ে পত্র জমা দিয়েছি।
এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব ও শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট মো. শাহবউদ্দিন বলেন, আমাকে না জানিয়ে কমিটির সদস্য সচিব করে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। কিন্তু শারীরিকভাবে অসুস্থ ও পারিবারিক সমস্যা থাকায় আমার পক্ষে তদন্ত কাজে সহায়তা করা সম্ভব নয়। এ কারণে আমি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছে। বাকিটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঠিক করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার মো. এনামউজ্জামান বলেন, তদন্ত করতে অপারগতা প্রকাশ করে রোববার রাতে পদত্যাগপত্র জমা দেন তদন্ত কমিটির প্রধান ও সদস্য সচিব। বিষয়টি উপাচার্যকে জানানো হবে। তিনি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ জানুয়ারি পরীক্ষা শেষে বাইরে বের হন ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের কর্মী শরিফুল ইসলাম সোহাগ। এ সময় সমন্বয়করাসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করেন। তখন সোহাগের অনুসারী ছাত্রলীগকর্মীরা হামলা চালিয়ে শরিফুল ইসলাম সোহাগকে ছিনিয়ে নেয়। এ সময় দুই সমন্বয়কসহ ৪ জন আহত হন। এ ঘটনায় রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ফয়সাল জামান ফাহিম বাদী হয়ে শরীফুল ইসলাম সোহাগকে প্রধান আসামি করে ১৩ জনের নাম উল্লেখ ও ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে গোপালগঞ্জ সদর থানার একটি মামলা দায়ের করেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সমন বয়ক পদত য গ পদত য গ তদন ত ক এ সময়
এছাড়াও পড়ুন:
দেড় ঘণ্টায় শেষ সুলভ মূল্যের ডিম-দুধ, পাননি অনেকেই
নির্ধারিত এলাকায় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের গাড়ি পৌঁছায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। এরপর শুরু হয় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও গরুর মাংস বিক্রি। দুপুর ১২টার কিছুক্ষণ পরেই দেখা গেল গাড়িতে ডিম ও দুধ নেই। কেবল ১৬ কেজি গরুর মাংস অবশিষ্ট রয়েছে। অর্থাৎ মাত্র দেড় ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে সুলভ মূল্যে বিক্রির জন্য আনা দুধ ও ডিম।
আজ সোমবার চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী ওয়্যারলেস এলাকায় দেখা গেছে এমন চিত্র। এদিন নগরের ওয়্যারলেস ও টেক্সটাইল এলাকায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। এই কর্মসূচির আওতায় পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা ও ডিম প্রতি ডজন ১১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ প্রতিটি গাড়িতে ২০০ লিটার দুধ, ১ হাজার ৫০০ পিস ডিম ও ৭৫ কেজি করে মাংস ছিল। সে হিসেবে মাত্র দেড় ঘণ্টায় ২০০ লিটার দুধ ও ১২৫ ডজন ডিম বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। তবে দুপুর ১২টার দিকে তেমন ভিড় দেখা যায়নি সেখানে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, তাঁরা অনেকে আগে এসেও পণ্য পাননি।
এদিন অন্তত ১০ ক্রেতা দুধ-ডিম না পেয়ে ফেরত গেছেন। ডিম কিনতে আসা ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি দুপুর ১২টার দিকে এসে ডিম পাই নাই। বাসা থেকে আসতে আসতেই দেখি সব শেষ। তাঁরা নাকি দেড় হাজার ডিম আনছে। তাহলে আমরা পাই নাই কেন?’
গাড়ি থেকে এসব পণ্য কেনার জন্য প্রথমে টাকা দিয়ে স্লিপ নিতে হয়। কর্মকর্তারা জানান, একজন সর্বোচ্চ এক ডজন ডিম, এক বা দুই লিটার দুধ ও এক কেজি মাংস কিনতে পারেন। কেউ চাইলে শুধু ডিম, দুধ অথবা মাংস কিনতে পারবেন। তবে মাংসের চাহিদা তুলনামূলক কম।
দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে কর্মকর্তারা বলেন, ঢাকায় ফ্রিজার ট্রাক রয়েছে। ফলে তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য পণ্য নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু চট্টগ্রামে সে সুযোগ নেই। তাই পরিমাণ কম। আবার দ্রুত ক্রেতাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে দায়িত্বে থাকা বোয়ালখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রুমন তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সবাইকে পণ্য দেওয়া হয়েছে। মাংসের চাহিদা কম থাকায় কিছু মাংস থেকে গেছে। ডিমের চাহিদা বেশি ছিল। দেড় থেকে দুই ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে।