বিস্ফোরক মামলায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
Published: 27th, January 2025 GMT
বিস্ফোরক মামলায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের পাবনার চাটমোহর উপজেলা শাখার সাবেক সভাপতি আব্দুল আলীমকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে চাটমোহর পৌর সদরের কাজীপাড়া মহল্লার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার আলীম উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের কুমারগাড়া গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে।
আরো পড়ুন:
আসাদুজ্জামান ‘বাংলাদেশের কসাই’
সাবেক ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা
ওসি মনজুরুল আলম বলেন, “চাটমোহর উপজেলাধীন গুনাইগাছা ইউনিয়নে একটি বিস্ফোরক মামলার আসামি ছিলেন আলীম। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুপুরে তাকে পাবনা আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।”
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার মামলা
পটুয়াখালীর দুই সাংবাদিকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলাটি করেন পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল।
ট্রাইব্যুনালের বিচারক গোলাম ফারুক অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে মির্জাগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণে কামরুজ্জামান জুয়েল নিজেকে মির্জাগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক দিনকাল পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি উল্লেখ করেছেন।
আসামিরা হলেন– দৈনিক সমকালের পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি মুফতী সালাহউদ্দিন, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি এম কে রানা ও মির্জাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম সুবিদখালী এলাকার বাসিন্দা মাসুম হাওলাদার।
গত ১৬ এপ্রিল দৈনিক সমকালে ‘চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে মারধর বিএনপি নেতার’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। একই দিন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের অনলাইনে ‘মাসে ৫০ হাজার টাকা না দিলে ব্যবসা বন্ধের হুমকি বিএনপি নেতার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। মাসুম হাওলাদার তাঁর ফেসবুকে প্রতিবেদনটি শেয়ার করায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সংবাদগুলো ভিত্তিহীন, মনগড়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এগুলো বাদীর সামাজিক ও রাজনৈতিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে।
এ ব্যাপারে মুফতী সালাহউদ্দিন ও এম কে রানা জানান, কারও মর্যাদা ক্ষুণ্ন নয়, তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে প্রতিবেদন করেছেন তারা। এমন কিছু না ঘটলে রাসেল মৃধা অভ্যন্তরীণভাবে বিরোধ নিষ্পত্তি হওয়ার দাবি করে অভিযোগ প্রত্যাহারে কেন থানায় আবেদন করেছেন?
এদিকে মামলাটি নিয়ে পটুয়াখালীর সাংবাদিক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ এবং সাংবাদিকদের হয়রানি করতে এটি করা হয়েছে জানিয়ে দ্রুত মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে তারা।