বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দিনের প্রথম ম্যাচে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ১৮৭ রানের শক্তিশালী পুঁজি গড়েছে খুলনা টাইগার্স। শুরুতে নাঈম শেখের ফিফটি এবং শেষ দিকে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ১২ বলে ২৭ রানের ঝোড়ো ইনিংসে বড় স্কোর পায় দলটি।  

মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে খুলনাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান বরিশালের অধিনায়ক। ব্যাট হাতে দুর্দান্ত শুরু করে খুলনা টাইগার্স। উদ্বোধনী জুটিতে নাঈম শেখ ও মেহেদী হাসান মিরাজ মিলে তোলেন ৪৭ রান। অধিনায়ক মিরাজ ১৮ বলে ২৯ রান করে আউট হলেও পাওয়ারপ্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে খুলনা তোলে ৫৬ রান।  

পাওয়ারপ্লের পরেও নাঈম শেখের ঝোড়ো ব্যাটিং চলতে থাকে। ২৬ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন তিনি। তবে ফিফটির পর পরই থেমে যান এই ওপেনার। ২৭ বলে ৫১ রানের দারুণ ইনিংস খেলে দলীয় ৯৯ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি।  নাঈমের বিদায়ের পর রান তোলার গতি কিছুটা কমে যায় খুলনার। তবে মাঝের ওভারে অ্যালেক্স রস ১৫ বলে ২০ এবং আফিফ হোসেন ধ্রুব ২৭ বলে ৩২ রান করে স্কোরবোর্ড সচল রাখেন। উইলিয়াম বোসিস্তো শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ১৬ বলে ২০ রান যোগ করেন।  

শেষের ওভারে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে চ্যালেঞ্জিং স্কোরে পৌঁছে খুলনা। অঙ্কন মাত্র ১২ বলে ২৭ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে দলের স্কোরকে নিয়ে যান ১৮৭ রানে।  বরিশালের হয়ে ফাহিম আশরাফ সর্বোচ্চ ২ উইকেট শিকার করেন। এছাড়া জেমস ফুলার, মোহাম্মদ নবী এবং এবাদত হোসেন প্রত্যেকে নেন ১টি করে উইকেট।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

সাতকানিয়ায় ‘ডাকাত সন্দেহে’ গণপিটুনিতে নিহত ২, গুলিবিদ্ধ ৪ বাসিন্দা

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ‘ডাকাত সন্দেহে’ গণপিটুনিতে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এর আগে ওই যুবকদের গুলিতে স্থানীয় চার বাসিন্দা আহত হন। সোমবার রাতে সাতকানিয়ার এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবকদের পরিচয় তাৎক্ষণিক নিশ্চিত করতে পারেননি পুলিশ। গুলিবিদ্দ স্থানীয় চার বাসিন্দা হলেন ওবায়দুল হক (২২), মামুনুর রশিদ (৪৫), নাসির উদ্দিন (৩৮) ও আব্বাস উদ্দিন (৩৮)। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, আটটি গুলির খোসা এবং একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা জব্দ করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার রাত সাড়ে নয়টা থেকে দশটার মধ্যে চারটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে একদল যুবক ছনখোলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় গিয়ে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করতে থাকেন। এ সময় স্থানীয় মসজিদে ডাকাত পড়েছে এমন প্রচারের পর লোকজন জড়ো হয়ে অটোরিকশায় করে আসা দুই যুবককে আটক করে পিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই যুবক নিহত হন।

এক যুবকের লাশের পাশ থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। দুই যুবককে আটকের আগে গুলির ঘটনায় আহত চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম, সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাস, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দলসহ সাতকানিয়া থানা পুলিশের সদস্যরা।

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ডাকাত সন্দেহে মসজিদের মাইকে প্রচারের পর স্থানীয় বাসিন্দাদের পিটুনিতে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এখনো ওই দুই যুবকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ