আপ্লুত ফারজানা রুপা, ফিরতে চান স্বাভাবিক জীবনে
Published: 27th, January 2025 GMT
স্বামীসহ স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আদালতের কাছে আকুতি জানিয়েছেন একাত্তর টিভির সাবেক প্রধান প্রতিবেদক ফারজানা রুপা। তার স্বামী একাত্তর টিভি থেকে চাকরিচ্যুত বার্তা প্রধান শাকিল আহমেদ।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামান এর আদালতে মিরপুর থানার এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানিতে তিনি এ আকুতি জানান।
শুনানিকালে আদালতের কাছে কথা বলার অনুমতি চান ফারাজানা রুপা। বিচারক তাকে আইনের ভেতরে থেকে কথা বলতে অনুমতি দেন। অনুমতি পেয়ে ফারজানা রুপা কাঠগড়ার সামনের দিকে এগিয়ে এসে বলেন, “আমার ছোট্ট শিশু সন্তান আছে। আমি আর আমার স্বামী দুজনই কারাগারে। ৬ মাস হয়ে গেছে। আমাকে জামিন দিন। আমরা স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরতে চাই।”
শুনানি শেষে আদালত ফারজানা রুপা ও শাকিল আহমেদকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
এরআগে এদিন সকালে প্রিজন ভ্যানে করে কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয় ফারজানা রুপাকে। এরপর তাকে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানায় নারীদের সেলে রাখা হয়।
একইভাবে সকালে কেরানিগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে করে রুপার স্বামী শাকিল আহমেদকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর হাজতখানার পুরুষ সেলে রাখা হয়। আলাদা সেলে রাখায় দেখা হয়না এই সাংবাদিক দম্পতির।
কিছুক্ষণ পর মিরপুর থানার এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানিতে হাজির করতে প্রস্তুত করা হয় রুপাকে। হাতে হাত কড়া, গায়ে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও মাথায় হেলমেট পরানো হয় তাকে। এরপর রুপাকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আরিফ হাসানের সঙ্গে সারি সারি করে এজলাসে তোলা হয়।
এজলাসে ঢুকে কাঠগড়ায় ওঠার পরেই রুপা তার স্বামী শাকিল আহমেদকে খুঁজতে থাকেন। কিন্তু দেখা না মেলায় উদ্বিগ্ন দেখা যায় তাকে। কয়েক মিনিট পর সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেননের সঙ্গে হাজতখানা থেকে সাংবাদিক শাকিলকে এজলাসে তোলা হয়। শাকিল কাঠগড়ায় উঠতেই যেন প্রাণ ফিরে পান রুপা। আবেগে আপ্লুত হয়ে এই দুই দম্পত্তি নিজেদের ভিতর আলাপ করতে থাকেন। কখনো কানে কানে, কখনো হাসি মুখে গল্প করতে থাকেন তারা। কাঠগড়ায় যতক্ষণ সময় ছিলেন নিজেদের ভিতর কথা বলতে থাকেন তারা।
পরে তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করা হয়। এতে মন মরা হতে দেখা যায় ফারজানা রুপা ও শাকিল আহমেদকে। তাদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাকিল আহমেদ বলেন, “কথা বলতে মানা। মুখ বন্ধ আমাদের।”
ঢাকা/মামুন/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ক ল আহম দ মন ত র জ র কর
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রীর হাত কেটে ‘প্রতিশোধ’ স্বামীর
পরকীয়ার সন্দেহে গত বছরের ১৬ এপ্রিল স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেন স্ত্রী। চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি রাতে স্ত্রীর ডান হাত কেটে প্রতিশোধ নিয়েছেন স্বামী। এ ঘটনায় স্বামী ফিরোজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। তারা টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার বাসিন্দা।
স্বামী ফিরোজ মিয়া রাউৎবাড়ী গ্রামের মৃত শাহজাহান আলীর ছেলে এবং তার স্ত্রী জাকিয়া বেগম একই ইউনিয়নের পাশের জিগাতলা গ্রামের জামিলের মেয়ে।
গত বছর ১৬ এপ্রিল রাতে পরকীয়া সন্দেহে জাকিয়া তার স্বামী ফিরোজের পুরুষাঙ্গ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে ফেলেন। পরে ফিরোজের মা ফরিদা বেগম বাদী হয়ে জাকিয়ার বিরুদ্ধে ভূঞাপুর থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ জাকিয়াকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়। এরপর কিছুদিন পর জাকিয়া জামিন পেয়ে ঢাকার আশুলিয়া এলাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন। এদিকে স্ত্রীর চাকরির সংবাদ পেয়ে ফিরোজ মিয়া প্রতিশোধ নিতে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে আশুলিয়া গাজীরচর এলাকার বাসা ভাড়া নিয়ে আবারও সংসার শুরু করেন তারা। এরপর সুযোগ বুঝে সোমবার রাতে জাকিয়ার ডান হাত কেটে বিচ্ছিন্ন করেন ফিরোজ মিয়া। এসময় স্ত্রী জাকিয়ার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তার স্বামীকে আটক করে পুলিশকে খবর দেন এবং জাকিয়াকে উদ্ধার করে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠান। পরে পুলিশ এসে ফিরোজকে গ্রেপ্তার করে।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর আলম সিদ্দিকী জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ফিরোজকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় জাকিয়ার বাবা বাদী হয়ে ফিরোজের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন।