অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলে মন্তব্য করেছেন । 

সোমবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

আপনারা সংঘর্ষের ঘটনাকে কীভাবে দেখছেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এগুলোতো অনাকাঙ্ক্ষিত। এগুলো এভয়েড করার জন্য আমাদেরকে আরও বেশি উদ্যোগ নেওয়ার চেষ্টা করব।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যা করলে এটা রিসল্ভ হবে, সেটা করার চেষ্টা করব।

অন্যদিকে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে চলা সংঘর্ষ ধৈর্যের সঙ্গে সামাল দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো.

সাজ্জাত আলী।

তিনি জানান, পরিস্থিতি সামলাতে যতটুকু দরকার, সেই অনুযায়ী সাউন্ড গ্রেনেড এবং টিয়ারসেল ব্যবহার করা হয়েছে। না হলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারতো। আজকের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। 

এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদকে পদত্যাগ করতে ৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে রোববার দিবাগত রাতে হামলার সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিচারের দাবিও জানিয়েছেন তারা।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ত কল জ স ঘর ষ স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

এক্সপ্রেসওয়েতে অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালালেই মামলা

সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালালেই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ট্রাফিক বিভাগ মামলা দায়ের করবে।

এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা ৮০ কিলোমিটার। ১০০ কিলোমিটার অতিক্রম করলেই দেওয়া হবে মামলা। তিনবারের বেশি মামলা হলে গাড়িগুলো নিষিদ্ধ করা হবে এক্সপ্রেসওয়েতে।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় রাজধানীর খিলক্ষেতে এক্সপ্রেসওয়ের অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ফাস্ট ঢাকা লিমিটেড এক্সপ্রেসওয়ের কোম্পানি লিমিটেডের যান চলাচল সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক ক্যাপ্টেন হাসিব হাসান খান (অব:)।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ের নিরাপদ ব্যবহারে নীতিমালা নির্ধারণ করা হয়েছে। অতিরিক্ত গতি দুর্ঘটনার কারণ তাই এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল নির্ধারিত গতিসীমার মধ্যে রাখতে হবে।

ক্যাপ্টেন হাসিব হাসান খান (অব:) বলেন, ভিডিও নজরদারির মাধ্যমে গতিসীমা রেকর্ড করা হবে। নির্ধারিত গতিসীমা অতিক্রম করলে মামলা করা হবে। বেপরোয়া গতিতে যান চলাচল করলে এবং একই গাড়ি তিনবারের বেশি গতিসীমা লঙ্ঘন শনাক্ত হলে ভবিষ্যতে ওই গাড়ি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে।

তিনি বলেন, সুশৃঙ্খল ট্রাফিক কার্যক্রম বজায় রাখতে সবসময় নির্ধারিত লেনের মধ্যে গাড়ি চলাচল করতে হবে। সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া লেন পরিবর্তন করা হলে ওই গাড়ির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি থামানো বা পার্কিং করা যাবে না।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, যান চলাচলে গাড়ি বা মেশিনারিজ ত্রুটি বা অন্য যে কোনো সমস্যা দেখা গেলে জরুরি লেনে যেতে হবে এবং দ্রুত এক্সপ্রেসওয়ের নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। টোল প্লাজা, টোল সংগ্রহের বুথ, লেন এবং এর এক্সপ্রেসওয়ের অবকাঠামোগত যে কোনো ক্ষতির জন্য যানবাহনের মালিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।

এছাড়া উন্মুক্ত যান, অতিরিক্ত কালো ধোঁয়া নির্গত করে এমন যানবাহন, যাত্রীরা দাঁড়িয়ে যাতায়াত করে এমন খোলা যানবাহন, নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করে অনুপযুক্তভাবে সুরক্ষিত পণ্যবাহী যান চলাচল কর্তৃপক্ষ নিষিদ্ধ ঘোষণা করবেন।

এক্সপ্রেসওয়েতে যাত্রী নামানো সম্পূর্ণ নিষেধ। কোনো যাত্রীবাহী বাস অথবা অন্য কোনো যানবাহন যদি এক্সপ্রেসওয়েতে যাত্রী নামান তাহলে ওই গাড়ির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিটা যানবাহন একটির সঙ্গে আরেকটির নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

এক্সপ্রেসওয়েতে ২৪ ঘণ্টা টহল অফিসার এবং নিরাপত্তাকর্মী যে কোনো সহযোগিতায় নিয়োজিত থাকবেন।

বিএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ