অভিবাসীবাহী বিমান অবতরণে বাধা দিলো কলম্বিয়া
Published: 27th, January 2025 GMT
কলম্বিয়ার অভিবাসী বহনকারী দুটি মার্কিন সামরিক বিমানকে অবতরণে বাধা দিয়েছে দেশটির প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো। সোমবার বার্তাসংস্থা রয়টার্স একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
রয়টার্স বলছে, নির্বাসিত অভিবাসীদের বহনকারী দুটি মার্কিন সামরিক বিমানকে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট তার দেশে অবতরণে বাধা দেয়।
মার্কিন কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রে বিবিসির অংশীদার সিবিএস নিউজকে জানান, অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে সান দিয়েগো থেকে উড়াল দেওয়া দুটি সামরিক উড়োজাহাজ গতকাল কলম্বিয়ায় অবতরণের কথা ছিল। কিন্তু জটিলতার কারণে পরে সেটা বাতিল করা হয়েছে।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা অভিবাসীদের বহনকারী দুটি বিমান অবতরণের অনুমতি না দেওয়ায় কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি অন্যান্য প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ।
ট্রাম্প বলেছেন, এই পদক্ষেপগুলো জরুরি, কারণ কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রোর সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তাকে “ঝুঁকিতে” ফেলে দিয়েছে।
ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশালে লিখেছেন, “অভিবাসী ফেরতের পদক্ষেপগুলো শুরু মাত্র। যে অপরাধীদের তারা যুক্তরাষ্ট্রে ঠেলে দিয়েছে, তাদের ফেরত নিতে তাদের আইনগত দায়িত্ব আমরা কলম্বিয়ান সরকারকে লঙ্ঘন করতে দেব না।”
এর আগে রোববার পেট্রো বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন যতক্ষণ না পর্যন্ত একটা পদ্ধতি তৈরি করছে যেখানে অভিবাসীদের সাথে “সম্মান” দিয়ে আচরণ করা হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত তার সরকার যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা অভিবাসী বহনকারী বিমান গ্রহণ করবে না।
পেট্রো সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ দেওয়া দুটো পোস্টে এই ঘোষণা দেন, যাদের একটিতে একটি নিউজ ভিডিও ছিল, যেখানে ব্রাজিলে পাঠানো অভিবাসীদের বিমানবন্দরের টারম্যাকে ডাণ্ডা-বেড়ি পরিহিত অবস্থায় হাঁটতে দেখা যায়।
পেট্রো বলেন, “একজন অভিবাসীও অপরাধী নয় এবং একজন মানুষের যে সম্মান প্রাপ্য, তাদের সাথে সেরকম সম্মানের সাথে আচরণ করতে হবে। সেজন্য আমি কলোম্বিয়ান আভিবাসী বহনকারী যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বিমান ফেরত পাঠিয়েছি।”
পেত্রো আরও জানান, ১৫ হাজার ৬৬৬ জনের বেশি মার্কিনি অবৈধভাবে কলম্বিয়ায় অবস্থান করছেন। তবে বিবিসির পক্ষ থেকে এই সংখ্যা স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, তার দেশ থেকে অবৈধ মার্কিনিদের বিতাড়নে তিনি কখনোই ট্রাম্প প্রশাসনের মতো অভিযানের নির্দেশ দেবেন না।
যুক্তরাষ্ট্রে বাজারে আমদানি করা কফির ২০ শতাংশের জোগানদাতা কলম্বিয়া। এর বাজারমূল্য প্রায় ২০০ কোটি ডলার। এ ছাড়া কলম্বিয়া থেকে কলা, অপরিশোধিত জ্বালানি তেল, অ্যাভোকাডো, ফুলসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করে যুক্তরাষ্ট্র। এখন শুল্ক আরোপের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে এসব পণ্যের দাম বেড়ে যাবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কলম ব য় কলম ব য় র বহনক র
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁদে অবতরণের পথে দ্বিতীয় বেসরকারি মহাকাশযান ‘ব্লু ঘোস্ট’
চাঁদে অবতরণ করার পথে রয়েছে বেসরকারি মার্কিন মহাকাশযান ‘ব্লু ঘোস্ট’। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চন্দ্রপৃষ্ঠে নামতে পারে এটি। এই অভিযান সফল হলে তা হবে চাঁদে বেসরকারি কোনো মহাকাশযান যাওয়ার দ্বিতীয় ঘটনা।
এ মিশনের ডাকনাম দেওয়া হয়েছে, ‘ঘোস্ট রাইডার্স ইন দ্য স্কাই’। এক বছরের বেশি সময় আগে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে প্রথমবারের মতো চাঁদে নভোযান পাঠানো হয়। বর্তমান মিশনটি হচ্ছে এ ধরনের দ্বিতীয় অভিযান। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার অংশীদারত্বের একটি অংশ হিসেবে এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।চন্দ্রাভিযানটি পরিচালনা করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ফায়ারফ্লাই অ্যারোস্পেস’। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ব্লু ঘোস্ট মিশন ১’। যুক্তরাষ্ট্রের ইস্টার্ন সময় রোববার রাত ৩টা ৩৪ মিনিটে মহাকাশযানটির চাঁদে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
ব্লু ঘোস্টকে চাঁদের উত্তর–পূর্বের কাছাকাছি মেয়ার ক্রিসিয়াম এলাকার মনস ল্যাটরেইল নামক স্থানের কাছে অবতরণ করানোর প্রচেষ্টা চালানো হবে।
মহাকাশ প্রতিষ্ঠানটি গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছে, ‘ব্লু ঘোস্ট চাঁদে নামার পথে!’
এ মিশনের ডাকনাম দেওয়া হয়েছে, ‘ঘোস্ট রাইডার্স ইন দ্য স্কাই’। এক বছরের কিছু বেশি সময় আগে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে প্রথমবারের মতো চাঁদে নভোযান পাঠানো হয়। বর্তমান মিশনটি হচ্ছে এ ধরনের দ্বিতীয় অভিযান। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার অংশীদারত্বের একটি অংশ হিসেবে এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
সোনালি রঙের মহাকাশযান ব্লু ঘোস্ট আকারে একটা জলহস্তীর সমান। স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেটের সহায়তায় গত ১৫ জানুয়ারি এটি উৎক্ষেপণ করা হয়। চলার পথে পৃথিবী ও চাঁদের চমকে দেওয়ার মতো সব দৃশ্য ধারণ করেছে মহাকাশযানটি।
ব্লু ঘোস্ট ১০টি যন্ত্র বহন করছে। এর মধ্যে দুটি হলো, চাঁদের মাটি পরীক্ষা–নিরীক্ষা করার যন্ত্র ও তেজস্ক্রিয়তা সহনীয় একটি কম্পিউটার।
চাঁদের পূর্ণ এক দিন (পৃথিবীর ১৪ দিন) কাজ চালানোর উপযোগী করে ব্লু ঘোস্ট মিশনকে সাজানো হয়েছে। আগামী ১৬ মার্চ ব্লু ঘোস্ট চাঁদ থেকে সূর্যাস্তের দৃশ্য ধারণ করবে।
এর আগে গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে চাঁদে মহাকাশযান পাঠায় যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি ‘ইনটুইটিভ মেশিনস’। ১৯৭২ সালে অ্যাপোলো ১৭ মিশনের পর চাঁদে মহাকাশযান পাঠানোর প্রথম ঘটনাও ছিল এটি।
আরও পড়ুনচাঁদের উদ্দেশ্যে যাত্রা করল প্রথম বেসরকারি মহাকাশযান১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪আরও পড়ুন৫০ বছর পর চাঁদে অবতরণ করল মার্কিন মহাকাশযান২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪