প্লে-অফের আশা এখনও বাঁচিয়ে রেখেছে খুলনা টাইগার্স। তবে টিকে থাকতে হলে নানা সমীকরণ মেলাতে হবে দলকে। এমন অবস্থায় ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল।  

ম্যাচের শুরুতেই ব্যাট হাতে খুলনাকে দারুণ সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাইম শেখ। তবে তাদের মধ্যে আক্রমণাত্মক ভূমিকায় ছিলেন মিরাজ। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে মোহাম্মদ নবির বলে একটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকিয়ে ১৩ রান তোলেন তিনি। এরপর পঞ্চম ওভারে ফাহিম আশরাফকে টানা দুই বলে দুই ছক্কা হাঁকিয়ে ঝড় তোলেন খুলনার অধিনায়ক। তবে সেই ঝড় বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। এবাদত হোসেনের বলে মিরাজের পায়ে আঘাত লাগার পর বল স্ট্যাম্প ভেঙে দেয়। ১৮ বলে ২৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে থামেন মিরাজ।  

কিন্তু মিরাজের জন্য বিপত্তি শুরু হয় আউট হওয়ার পর। পায়ের ব্যথায় দাঁড়াতে না পেরে মাঠেই বসে পড়েন তিনি। অবস্থা গুরুতর মনে হলে ডাকা হয় স্ট্রেচার, আর সেটিতেই মাঠ ছাড়তে হয় মিরাজকে। মিরাজের ইনজুরি খুলনার জন্য বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দলটির প্লে-অফের স্বপ্ন পূরণে তার দ্রুত সেরে ওঠা জরুরি।

এই ম্যাচে বরিশাল দলে আনা হয়েছে দুটি পরিবর্তন। একাদশে ফিরেছেন পেসার এবাদত হোসেন ও স্পিনার তানভির ইসলাম। বাদ পড়েছেন রিপন মন্ডল ও তাইজুল ইসলাম। অন্যদিকে, খুলনা টাইগার্স দলে একটি পরিবর্তন দেখা গেছে। মোহাম্মদ নাওয়াজের জায়গায় খেলছেন আমের জামাল।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

ভারত-পাকিস্তানকে ‘সর্বোচ্চ ধৈর্য’ ধরতে বললেন জাতিসংঘ মহাসচিব

কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তৈরি হওয়া উত্তেজনার মধ্যে দেশ দুটিকে ‘সর্বোচ্চ ধৈর্য’ ধরার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এ নিয়ে ‘খুবই উদ্বিগ’ বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আন্তোনিও গুতেরেসের এ বার্তা সাংবাদিকদের জানান। খবর আল-জাজিরার

স্টিফেন ডুজারিক সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব ‘খুবই উদ্বিগ্ন’। সার্বিক পরিস্থিতিতে ‘খুব নিবিড়ভাবে নজর’ রাখছেন তিনি।

জাতিসংঘের পক্ষ থেকে ভারত ও পাকিস্তানকে ‘সর্বোচ্চ ধৈর্য’ ধরার আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন, সাম্প্রতিক পাল্টাপাল্টি বেশ কিছু পদক্ষেপের ফলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপের দিকে না যায় এ জন্য দেশ দুটিকে সর্বোচ্চ ধৈর্য্য ধরার অনুরোধ করছেন তিনি।

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যেকোনো সমস্যা অর্থবহ আলোচনা ও পারস্পরিক সম্পৃক্ততার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা সম্ভব বলে আমরা বিশ্বাস করি এবং এটাই হওয়া উচিত।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ