সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক চার মন্ত্রী, তিন সাংবাদিক এবং সাবেক দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। 

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান ওই ১০ জনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এর আগে তারা বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন।

নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো সাবেক চার মন্ত্রী হলেন—আনিসুল হক, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন ও জুনাইদ আহমেদ পলক; তিন সাংবাদিক হলেন—সাকিল আহমেদ, ফারজানা রুপা ও মো.

আরিফ হাসান এবং সাবেক দুই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন—চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ইফতেখার মাহমুদ।

আজ সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। আদালত তা মঞ্জুর করেন। 

মিরপুর থানাধীন গোলচত্বর এলাকায় আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারীকে গুলি করে হত্যার মামলায় সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ও হাসানুল হক ইনুকে এবং সাংবাদিক ফারজানা রুপা ও সাকিল আহমেদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। 

যাত্রাবাড়ী থানার দুই মামলায় সালমান এফ রহমানকে এবং যাত্রাবাড়ী থানার অপর তিন মামলায় চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অনিক কুমার দাশকে হত্যার চেষ্টার মামলায় দেশ টিভির এমডি আরিফ হাসানকে, যাত্রাবাড়ী থানার তিনটি ও সূত্রাপুর থানার একটি মামলায় আনিসুল হককে, যাত্রাবাড়ী থানার অপর এক মামলায় জুনাইদ আহমেদ পলককে এবং কাফরুল থানার মামলায় সহকারী পুলিশ সুপার ইফতেখার মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

ঢাকা/মামুন/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মন ত র আহম দ

এছাড়াও পড়ুন:

মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ল

মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ালো ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। সামরিক অভ্যুত্থানের চার বছর পূর্তির একদিন আগে এ ঘোষণা এলো। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাতে রয়টার্স এ তথ্য জানায়।

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সুচির সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতাসীন হয়। এরপর থেকে দেশটি গৃহযুদ্ধের কবলে পড়ে। সম্প্রতি বিদ্রোহীরা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বড় ধরনের জয় পাচ্ছে। দেশের অনেক এলাকা এখন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণে।

এদিকে জান্তা বাহিনী এ বছর নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। সমালোচকরা বলছেন, প্রক্সির মাধ্যমে জেনারেলদের ক্ষমতায় রাখার জন্য একটি প্রহসন হতে পারে এ নির্বাচন। কারণ, সেনাবাহিনী ক্ষমতা ধরে রাখতে বহুবার জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়িয়েছে। নির্বাচন সামনে রেখে আবারও মেয়াদ বাড়ানো পরিস্থিতির ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার চেষ্টার ইঙ্গিত দেয়।

রাষ্ট্র পরিচালিত এমআরটিভি তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে জরুরি অবস্থা বৃদ্ধির ঘোষণা প্রচার করে বলেছে, সাধারণ নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য এখনো আরও অনেক কাজ বাকি আছে। বিশেষ করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রয়োজন।

নির্বাচনের জন্য কোনো তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। তবে জান্তা সরকার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। যদিও তারা দেশের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার লড়াইয়ে ক্লান্ত। কারণ, তারা একাধিক ফ্রন্টে সশস্ত্র বিদ্রোহকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর শাসন শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটি গভীর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এক সময় মিয়ানমারের অর্থনীতি আন্তর্জাতিক বাজারে একটি প্রতিশ্রুতিশীল শক্তি হিসেবে দেখা হলেও এখন তা ব্যাপক চাপে রয়েছে। সামরিক বাহিনী একাধিক ফ্রন্টে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই করছে এবং দেশটির জনগণের ওপর চাপ দিন দিন বাড়ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ