ছয় দাবি আদায়ে আল্টিমেটাম দিলেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা
Published: 27th, January 2025 GMT
স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদ ও নিউ মার্কেট থানার ওসিসহ হামলায় জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের পদত্যাগসহ ছয়টি দাবি জানিয়েছেন ঢাবির অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এসব দাবি পূরণে তারা ৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংবাদ সম্মেলনে এ আল্টিমেটাম ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার শায়না। তিনি বলেন, “সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ঢাবিসহ সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে করেছেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রাখার পরে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এমন আচরণ কামনা করি না। ঢাকা কলেজসহ সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘাতের দায় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ক্ষমা চাইতে হবে এবং প্রো-ভিসি মামুন আহমেদকে পদত্যাগ করতে হবে।”
সুমাইয়া আক্তার শায়না বলেন, “ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর নিউ মার্কেট থানা পুলিশের ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনায় এসি, ওসিসহ জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করে তদন্তসাপেক্ষে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। ইডেন কলেজ ও বদরুন্নেসা কলেজসহ সাত কলেজের নারী শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য এবং অশালীন অঙ্গভঙ্গির সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।”
“ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সাত কলেজের একাডেমিক এবং প্রশাসনিক সম্পর্কের চূড়ান্ত অবসান ঘটিয়ে চার ঘণ্টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে।”
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, “প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা, শিক্ষার্থী উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, ইউজিসির সদস্য ও ঢাবির ভিসির সঙ্গে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদলের বৈঠকের মাধ্যমে উদ্ভুত সংকট সমাধান করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট এলাকায় সিটি কর্পোরেশনের রাস্তা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে।”
সাত কলেজকে নিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে গঠিত কমিটির সদস্য ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মো.
ঢাকা/রায়হান/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ত কল জ র শ ক ষ র থ কল জ র শ ক ষ র থ দ র সদস য ও ঢ
এছাড়াও পড়ুন:
জিনদের আবাস
হাদিসে আছে, মহানবী (সা.) ‘কার’-বিশিষ্ট ভূমিতে প্রবেশ করতে নিষেধ করছেন। কারণ সেটা জিনদের আবাসস্থল। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলো, ‘কার’ কি? তিনি বলেন, ঘন ঝাড়-জঙ্গল, গাছপালা ঘেরা নিম্নাঞ্চল। এ ছাড়া জনবসতির শৌচাগার, গোসলখানা, নোংরা ও অপবিত্র স্থান, আবর্জনার স্তূপ এবং কবরস্থানে দুষ্ট জিন-শয়তান বিচরণ করে। তিনি বলেছেন, ‘নিশ্চয় শৌচাগারে দুষ্ট জিন-শয়তান উপস্থিত থাকে। তাই তোমরা যখন সেখানে প্রবেশ করবে তখন বলবে, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিলান খুবুসি ওয়াল খবাইস।’ অর্থাৎ, আমি আল্লাহর কাছে যাবতীয় দুষ্ট পুরুষ ও নারী জিন ও শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।’ (আবু দাউদ, হাদিস: ৬)
হাদিস অনুযায়ী শৌচাগার হলো, যেখানে নাপাক থাকে বা শরীর বস্ত্রহীন করতে হয়, সেসব জায়গায় শয়তানের আনাগোনা থাকে। মানুষকে বিবস্ত্র করা শয়তানের অন্যতম একটি কাজ। কারণ আল্লাহর এবং বান্দার মধ্য আবরণ হলো লজ্জা। আদম ও হাওয়া (আ.) যখন আল্লাহর আদেশ অমান্য করেছিলেন, প্রথমেই তাদের শরীর থেকে জান্নাতের পোশাক খুলে গিয়েছিল।
আরও পড়ুনইবলিস কি জিন নাকি ফেরেশতা১৬ মার্চ ২০২৫নবীজি (সা.) মাটির গর্তে প্রস্রাব করতে নিষেধ করেছেন। এতে জিনদের বসবাসের স্থান।’ (আবুদাউদ, হাদিস: ২৯)
কবরস্থানে জিনেরা সাধারণত মানুষের মতোই যাতায়াত করে। আবার কখনো অবস্থান করে দীর্ঘদিন। ভালো-মন্দ সব ধরনের—এমনকি সেখানে দুষ্ট প্রকৃতির জিন-শয়তানরাও অবস্থান করে।
একটা ভুল ধারণা লোকসমাজে প্রসিদ্ধ আছে, ‘বদকারদের কবরের আজাবের ভয়ে জিনেরা কবরস্থানে থাকে না।’ অথচ নবীজি বলেছেন, ‘অতঃপর তার জন্য লোহার বিশাল হাতুড়িধারী একজন অন্ধ ও বধির ফেরেশতা নিযুক্ত করা হয়। সেই ফেরেশতা ওই হাতুড়ি দিয়ে অবিশ্বাসীকে এমন জোরে আঘাত করে; যার আওয়াজ মানুষ ও জিন ছাড়া পূর্ব-পশ্চিমের সব সৃষ্টি শুনতে পায়।’ (আবু দাউদ, ৪,৭৫৩)
এ ছাড়া বাজার ও দোকানপাটে দুষ্ট জিন-শয়তানের আনাগোনা বেশি থাকে। আল্লাহর রাসুল (সা.) জানিয়েছেন, ‘বাজারে শয়তান তার যুদ্ধের পতাকা উত্তোলন করে।’ (মুসলিম, হাদিস: ২,৪৫১)
আরও পড়ুনএকদল জিন পবিত্র কোরআন শুনে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন২০ নভেম্বর ২০২৩