৩৪ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে উইন্ডিজের টেস্ট জয়
Published: 27th, January 2025 GMT
মুলতান টেস্টে ৩৪ বছরের খরা কাটিয়ে পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট জয়ের স্বাদ পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুই ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তানকে ১২০ রানে হারিয়ে সিরিজে ১-১ সমতা আনল ক্যারিবিয়ানরা।
পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট জয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেষ স্মৃতি ১৯৯০ সালে। এবার সেই স্মৃতি নতুন করে উজ্জ্বল করল ক্যারিবিয়ানরা। তবে পাকিস্তানের জন্য এটি ঘরের মাঠে আরও একটি বিব্রতকর হার। প্রথম টেস্টে দাপুটে জয় পেলেও দ্বিতীয় টেস্টে তাদের গড়ে তোলা স্পিন উইকেটই কাল হলো স্বাগতিকদের।
স্পিনারদের সহায়ক মুলতান পিচে বলের দাপট ছিল পুরো ম্যাচজুড়ে। প্রথম দিনে ২০ উইকেট এবং দ্বিতীয় দিনে ১৪ উইকেট পড়ায় ধারণা করা হচ্ছিল, তৃতীয় দিনেই ম্যাচ শেষ হয়ে যাবে। ঠিক তাই হলো। তৃতীয় দিন সকালে ৪ উইকেটে ৭৬ রান নিয়ে দিন শুরু করা পাকিস্তান দ্রুত ধসে পড়ে।
সকালের সেশনে প্রথমে বিদায় নেন সৌদ শাকিল। ৩০ বলে ১৩ রান করা শাকিলের বিদায়ের পর বেশি সময় টিকতে পারেননি কাশিফ আলীও। ১২ বলে মাত্র ১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। ৭৬ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় পাকিস্তান।
মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সালমান আগা কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ৩৩ বলে ১৫ রান করা সালমানকে ফিরিয়ে দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনার জোমেল ওয়ারিকান। দলের হয়ে শেষ ভরসা হয়ে ছিলেন রিজওয়ান। তবে তিনিও ৬২ বলে ২৫ রান করে ওয়ারিকানের শিকারে পরিণত হন।
এরপর দ্রুতই পাকিস্তানের বাকি ব্যাটাররা গুটিয়ে গেলে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৩৩ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। ওয়ারিকান একাই শিকার করেন ৫ উইকেট। তার বোলিং নৈপুণ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১২০ রানের বড় জয় তুলে নেয়।
এই জয়ে টেস্ট ইতিহাসে আরেকটি দারুণ অধ্যায় যুক্ত হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের। তাদের এই জয় বাংলাদেশকেও এনে দিয়েছে সুবিধা। আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ৭ম স্থানে থেকে এই চক্র শেষ করল বাংলাদেশ। পাকিস্তান জিতে গেলে বাংলাদেশের অবস্থান নেমে যেতে পারত ৮ম স্থানে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বিএসইসি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ
শেয়ারবাজারের টানা দরপতনের প্রতিবাদে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শেয়ারবাজারের বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা।
রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান ফটকের সামনে আজ বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে এই বিক্ষোভ করেন বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা। বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনসহ কয়েকটি সংগঠনের ব্যানারে এই বিক্ষোভ করেন তাঁরা।
বিক্ষোভকারীরা শেয়ারবাজারের পতনের জন্য বিএসইসির ব্যর্থতাকে দায়ী করে কমিশনের অপসারণের দাবিতে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। প্রায় ৩০ মিনিট বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যালয়ের সামনে এই বিক্ষোভ চলে। বিক্ষোভ শেষে বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে একটি মিছিলও বের করেন। মিছিলটি মতিঝিল থেকে শুরু হয়ে ইত্তেফাক মোড় ঘুরে মতিঝিলের ডিএসই ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে তাঁরা বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের কুশপুত্তলিকাও দাহ করেন।
বিক্ষোভকালে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইকবাল হোসাইন তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘গত আট মাসে পুঁজিবাজারের সূচক শুধু নিচেই নেমেছে, ওপরে উঠে নাই। এই সময় সূচক প্রায় নয় শ পয়েন্ট কমেছে। টানা এই দরপতনে প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকার মূলধন হারিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। দীর্ঘদিন ধরে শেয়ারবাজারে পতন চলতে থাকায় বাজারে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ১৮ লাখ থেকে কমে ৭ লাখে নেমে এসেছে। বিনিয়োগকারীদের অনেকে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ পুঁজি হারিয়েছেন।’
বিক্ষোভকালে বিনিয়োগকারীরা বিএসইসি চেয়ারম্যানের অপসারণে আলটিমেটামও ঘোষণা করেন। বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা জানান, ৩০ এপ্রিলের মধ্যে যদি বিএসইসি চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা না হয়, তাহলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
অনুষ্ঠানে বিনিয়োগকারীরা জানান, বিএসইসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা আমলের সুবিধাভোগীরাও বিএসইসিতে সম্পৃক্ত আছেন, তাঁদেরও অপসারণ করতে হবে।