আগের ম্যাচে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ৬-০ গোলে উড়ে গিয়েছিল ব্রাজিল। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে যে কোন স্তরের ফুটবলে যা ছিল সেলেসাওদের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার। দুঃস্বপ্নের সেই রাত পেছনে ফেলে জয়ের মুখ দেখেছে তারা। দক্ষিণ আমেরিকা অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে রোববার (২৬ জানুয়ারি, ২০২৫) রাতে বলিভিয়াকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে আগের ম্যাচে বড় হারার জ্বালা ভুলেছে ব্রাজিল।

এই ম্যাচে ব্রাজিল জিতলেও প্রাধান্য বিস্তার করেছে বলিভিয়া। খেলায় ৫৭ শতাংশ বলের দখল রেখেছিল তারা। এমনকি ব্রাজিলের সফল ১৯৪টি পাসের বিপরীতে বলিভিয়া সফল পাস করেছে ২৭৭টি। তবে সোনার হরিণ গোলটা সেলেসাওফেরই বেশি।

গ্যাব্রিয়েল মোসকারদোর গোলে লিড নেয় ব্রাজিল। পিএসজির এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার ম্যাচের ১৪ মিনিটে লিড এনে দেন। ব্রাজিলের হয়ে পরের গোলটাও করেন একজন মিডফিল্ডার। করিন্থিয়ান্সের ব্রেনো বিদন ম্যাচের ২৮ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। বিরতির পর বলিভিয়া এক গোল শোধ করলেও শেষ পর্যন্ত ব্রাজিলের জয় ঠেকাতে পারেনি।

আরো পড়ুন:

লজ্জার ইতিহাস গড়ে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় পরাজয়!

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ 
ব্রাজিলিয়ানদের কাঁধে চড়ে নক আউটে রিয়াল মাদ্রিদ

আগামী শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ভোরে ব্রাজিল পরের ম্যাচ খেলবে ইকুয়েডরের বিপক্ষে। আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ বলিভিয়া।

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল আর জ ন ট ন

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ