সাইফের ওপরে হামলার অভিযোগে আটক, বিয়ে ভাঙল সেই যুবকের
Published: 27th, January 2025 GMT
বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের ওপরে হামলার অভিযোগে সন্দেহভাজন হিসেবে আকাশ কৈলাশ কানোজিয়া নামে এক যুবককে আটক করেছিল মুম্বাই পুলিশ। পুলিশের ভুলে সেই যুবক চাকরি হারিয়েছেন এবং বিয়ে ভেঙেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
হিন্দুস্তান টাইমসকে আকাশ কৈলাশ বলেন, “আমি পুলিশকে বলেছিলাম, সাইফ আলী খানের ওপর হামলার সঙ্গে আমার কোনো যোগ নেই। তাদেরকে আমার আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কথা বলার প্রস্তাবও দিয়েছিলাম। তাদের সন্দেহ পরিষ্কার করার জন্য আমার বাড়ির কাছে লাগানো সিসিটিভি ফুটেজও পরীক্ষা করতে বলেছিলাম। কিন্তু তারা আমার কোনো কথায় কর্ণপাত করেননি। বরং তারা আমার ছবি তুলে গণমাধ্যমে প্রচার করে দাবি করে, আমিই হামলাকারী।”
১৯ জানুয়ারি ভোরে মুম্বাই পুলিশ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ ওরফে বিজয় দাসকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ দাবি করে, তিনিই ডাকাতির উদ্দেশ্যে সাইফ আলী খানের বাড়িতে ঢুকেছিলেন। পরের দিন সকালে পুলিশ কর্মকর্তারা কৈলাশকে ছেড়ে দেয়।
আরো পড়ুন:
সাইফের ওপরে হামলা নাকি অভিনয়, প্রশ্ন মন্ত্রীর
সেই অটোচালককে বুকে জড়িয়ে ধরলেন সাইফ আলী খান
পুলিশের কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে কৈলাশ তার মাকে ফোন করেন। এ তথ্য স্মরণ করে তিনি বলেন, “মুক্তি পাওয়ার পর মায়ের সঙ্গে (মুম্বাইয়ে) কথা বলি, তখন তাকে খুব চিন্তিত দেখাচ্ছিল। কারণ সমস্ত নিউজ চ্যানেলে আমার ছবি দেখানো হয়েছিল। আমাকে অবিলম্বে বাড়ি ফিরে যেতে বলেন মা। পরের দিন, আমি আমার বসকে ফোন করি, তখন তিনি বলেন, ‘আপনি আইনি ঝামেলায় জড়িয়েছেন, আপনার কারণে সমস্যায় পড়তে চাই না।’ আমি তাকে বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তিনি আমার কথা শুনতে রাজি ছিলেন না।”
এরপর কৈলাশকে তার দাদি ফোন করেন। তিনি জানান, টিভিতে খবর দেখে তার হবু বউয়ের পরিবার বিয়ে ভেঙে দিতে চেয়েছে। জবাবে কৈলাশ বলেছিলেন, “যা ঘটেছে তাতে আমি নিশ্চিত নই যে, ভবিষ্যতে বিয়ে করতে পারব কি না।”
মুম্বাইয়ে পশ্চিম রেলওয়েতে কর্মরত একটি ট্যুর সংস্থায় গাড়িচালক হিসেবে কাজ করতেন কৈলাশ। গত ১৭ জানুয়ারি মুম্বাই থেকে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন ছত্তিশগড়ের পৈত্রিকবাড়িতে যাওয়ার জন্য। কারণ তার দাদি অসুস্থ। তা ছাড়াও এ যাত্রায় কৈলাশের তার হবু বউয়ের পরিবারের সঙ্গে দেখা করারও কথা ছিল। কিন্তু যাত্রা পথে আটক হন কৈলাশ। পুলিশের এক ভুলে কৈলাশের সবই আজ দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’