বঙ্গোপসাগরের দুবলার চরের জেলে পল্লিতে হামলা ও জেলেদের জিম্মি করার সময় তিন ভারতীয় জলদস্যুকে গণধোলাই দিয়েছে জেলেরা। পরে ওই তিন দস্যুকে অস্ত্র ও গুলিসহ আটক করে দুবলার চরের কোস্টগার্ড স্টেশনে হস্তান্তর করা হয়। রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে। 

দুবলার চর ফিশারম্যান গ্রুপের সভাপতি কামাল উদ্দিন আহম্মেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রোববার রাত ১১টার সময় সুন্দরবনের দুবলার চরে একটি ফিশিং ট্রলারে করে ১০ থেকে ১২ জনের ভারতীয় দস্যুদের একটি দল দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে জেলেদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় বেশ কয়েকজন জেলেকে তারা জিম্মি করে। এরপর দস্যুদের একটি গ্রুপ দক্ষিণ দিকে চলে যায়। অন্য গ্রুপটি পাঁচজন জেলেকে জিম্মি করে রাখে। পরে জিম্মি জেলেদের চিৎকারে অন্য জেলেরা ছুটে এসে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে তারা তিন দস্যুকে গণধোলাই দেন। এসময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় একটি অস্ত্র ও গুলিসহ ভারতীয় কিছু কাগজপত্র উদ্ধার করে জেলেরা। পরে ওই তিন দস্যুকে অস্ত্রসহ কোস্ট গার্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে জানান তিনি। 

এ বিষয়ে কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের মিডিয়া কর্মকর্তাকে কয়েক দফা ফোন দিলেও তিনি রিসিভ না করায় কোস্টগার্ডের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তাদের একটি সূত্র জানিয়েছে, এ ঘটনায় অভিযান চলছে। পরে বিস্তারিত জানা যাবে। 

বন বিভাগের দুবলার চর জেলে পল্লি টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরেস্টার মো.

খলিলুর রহমান বলেন, ৩ ভারতীয় দস্যুকে জেলেরা অস্ত্রসহ আটক করে কোস্টগার্ডের হাতে সোপর্দ করেছে, এমন খবর তারা জেনেছেন। বিষয়টির খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।
 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ