মধু ও লবঙ্গ একসঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
Published: 27th, January 2025 GMT
মধু শরীরের জন্য কতটা উপকারী তা কমবেশি সবারই জানা। অন্যদিকে মসলা হিসেবে পরিচিত লবঙ্গও স্বাস্থ্যেন জন্য বেশ উপকারী। আয়ুর্বেদ মতে, মধু এবং লবঙ্গে পাওয়া সমস্ত পুষ্টিকর উপাদান স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। এ কারণে কেউ যদি দুটি জিনিস একসাথে সঠিক পরিমাণে খাওয়া শুরু করেন, তাহলে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যার খপ্পরে পড়া এড়াতে পারবেন। এই দুটি উপাদান সঠিক উপায়ে ব্যবহার করার পদ্ধতি জেনে নিন। যেমন-
এক চামচ মধুর সঙ্গে এক চিমটি লবঙ্গের গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে হবে। এই দুটি উপাদানের সংমিশ্রণ নিয়মিত গ্রহণ করলে আপনার স্বাস্থ্যকে শক্তিশালী করতে পারেন। বুকে জমে থাকা কাশি বা কফ থেকে মুক্তি পেতে এভাবে মধু ও লবঙ্গ একসঙ্গে খেতে পারেন।
ডায়েট প্ল্যানে মধু এবং লবঙ্গ অন্তর্ভুক্ত করে আপনি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকাংশে বাড়িয়ে তুলতে পারেন। বারবার অসুস্থ হওয়া এড়াতে আপনাকে অবশ্যই এই সংমিশ্রণটি চেষ্টা করতে হবে। মুখের আলসার থেকে মুক্তি পেতে মধু এবং লবঙ্গ একসাথে খাওয়া যেতে পারে।
মধুতে ভিটামিন বি, ক্যালসিয়াম, দস্তা, আয়রন এবং তামা সহ প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে। সেই সঙ্গে লবঙ্গে রয়েছে ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, ফোলেট, ফাইবার, ভিটামিন, পটাশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সুস্থ থাকতে তাই নিয়মিত এই দুটি উপাদান একসঙ্গে খান।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপক র
এছাড়াও পড়ুন:
শাবিপ্রবির সাংগঠনিক সপ্তাহে নবীনদের উচ্ছ্বাস
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) চলছে সাংগঠনিক সপ্তাহ। সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর টেন্টে জমেছে নবীনদের ভিড়। নিজেদের প্রতিভা বিকাশ ও অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত নবীন শিক্ষার্থীরা।
গত ২৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ সাংগঠনিক সপ্তাহের মূল কার্যক্রম শুরু হয় ২৬ জানুয়ারি থেকে। এবারের আয়োজনের বিশেষত্ব হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যান্ডবল গ্রাউন্ডে ৩৭টি সংগঠন একসঙ্গে অংশগ্রহণ করছে, যেখানে আগে অর্জুন তলায় দুই সপ্তাহে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে এ কার্যক্রম পরিচালিত হতো।
এ আয়োজনকে ঘিরে ক্যাম্পাস জুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। বিভিন্ন সংগঠনের টেন্ট ঘুরে শিক্ষার্থীরা নিজেদের আগ্রহ অনুযায়ী সদস্য হতে ফর্ম সংগ্রহ করছেন। কেউ সংগীত, কেউবা বিতর্ক বা ফটোগ্রাফি নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী।
বাংলা বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী তানভীর বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে বুঝলাম, পড়াশোনার বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে। আমি ফটোগ্রাফি ও বিতর্ক নিয়ে কাজ করতে চাই। তাই এ দুই সংগঠনে সদস্যপদ নিতে ফর্ম নিয়েছি।”
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া জাহান বলেন, “আমি ছোটবেলা থেকেই সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলাম। এখানে এসে দেখলাম, অনেক সংগঠন সাংস্কৃতিক চর্চা করে। গানের প্রতি ভালোবাসা থেকেই একটি সংগঠনে সদস্য হয়েছি। পাশাপাশি, একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনেও যোগ দিয়েছি, যাতে মানুষের জন্য কিছু করতে পারি।”
সরেজমিনে দেখা যায়, সংগঠনগুলোর সদস্যরাও ব্যস্ত সময় পার করছে। কেউ নতুনদের ক্যাম্পাস ও সংগঠনের নিয়ম জানাচ্ছে, কেউ সাংগঠনিক কার্যক্রমের বিবরণ দিচ্ছে। বিভিন্ন সংগঠন ব্লাড গ্রুপিং, ফটোগ্রাফি ওয়ার্কশপসহ নানা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যারা জানিয়েছেন, সাংগঠনিক সপ্তাহ শুধু সদস্য সংগ্রহের অনুষ্ঠান নয়, এটি শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিকাশেরও বড় সুযোগ। নতুনদের উচ্ছ্বাস ও অংশগ্রহণই প্রমাণ করে, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠনগুলোর অংশ হতে কতটা আগ্রহী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, “আগের বছরগুলোর মতো আলাদা ধাপে সাংগঠনিক সপ্তাহ না করে এবার একসঙ্গে আয়োজন করা হয়েছে। যাতে সব সংগঠন সমানভাবে সদস্য সংগ্রহের সুযোগ পায় এবং নবীন শিক্ষার্থীরাও একসঙ্গে সব ক্লাবের সঙ্গে পরিচিত হতে পারে।”
ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী