পাকিস্তানে গ্যাসের ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণে নিহত ৬
Published: 27th, January 2025 GMT
পাকিস্তানের একটি এলাকায় এলপিজি গ্যাসের ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণে অন্তত ছয় জন নিহত এবং ৩১ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে দেশটির বাণিজ্যিক রাজ্য মুলতানের হামিদপুর কানোরা এলাকায় এ দুর্ঘটনায় ভয়াবহ আগুন ধরে যায়। বিস্ফোরণ এতটাই শক্তিশারী ছিল যে, ট্যাঙ্কারটি মুর্হূতেই ছিন্নভিন্ন হয়ে আবাসিক এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে। খবর জিও নিউজের
উদ্ধারকারী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট অংশগ্রহণ করে।
ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণে শুরুতে পাঁচ জন নিহত হন। পরবর্তীতে এ ঘটনায় আহত আরও একজন মারা যায়। নিহতদের মধ্যে দুই নারী ও একটি মেয়ে শিশু রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্যাসের ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণের ঘটনায় আশেপাশের ২০টি বাড়ি পুরোপুরিভাবে পুড়ে ধ্বংস হয়ে গেছে এবং ৭০টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মুলতানের পুলিশ অফিসার সিদ্দিক বলেন, ভয়াবহ আগুনের ফলে একাধিক বাড়ি পুরোপুরিভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া গবাদিপশুও পুড়ে মারা গেছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’