গোলোৎসবে দুমাস পর জয়ের ধারায় বার্সালোনা
Published: 27th, January 2025 GMT
লা লিগায় রিয়াল বেতিস, লেগানেস, অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের ও হেতাফে, এই চার দলের বিপক্ষে টানা পয়েন্ট হারিয়েছিল বার্সালোনা। তার মাঝে লেগানেস ও অ্যাতলেটিকোর বিপক্ষে তো হেরে মাঠে ছাড়তে হয়েছিল। তাই রোববার (২৬ জানুয়ারি, ২০২৫) রাতে অবনমন অঞ্চলে থাকা ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে জয়ের বিকল্প ছিল না বার্সার। দেয়ালে পিঠ থেকে যাওয়াতেই কিনা এই ম্যাচে জলে উঠল হ্যান্সি ফ্লিকের দল। গোল উৎসব করে ভ্যালেন্সিকে ৭-১ ব্যবধানে উড়িয়ে দিল।
ঘরের মাঠ এস্তাদিও অলিম্পিকে রোববার বদলি নামার ছয় মিনিট পর জালের দেখা পান বার্সা স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানদোভস্কি। যা ছিল চলতি মৌসুমে বার্সেলোনার শততম গোল। চলতি মৌসুমের শুরুতে বার্সার ম্যানেজারের দায়িত্ব নেওয়ার পর ফ্লিকের অধীনে এটি ক্লাবটির শততম গোল।
জার্মান ম্যানেজারের অধীনে এখন পর্যন্ত ৩২ ম্যাচে বার্সা পেয়েছে ১০১ গোল, যা ক্লাবটির ইতিহাসে এক মৌসুমের দ্বিতীয় দ্রুততম গোলের ‘সেঞ্চুরি’। কেবলমাত্র ১৯৫০-এর দশকে হেলেনিও হেরেরার বার্সেলোনা মাত্র ৩১ ম্যাচে এই সংখ্যায় পৌঁছেছিলেন। তবে ফ্লিক পেছনে ফেলে দিয়েছেন লুইস এনরিকে, তিতো ভিলানোভা, ডোমেনেক বালমানিয়া, লাডিস্লাও কুবালা এবং জোসেপ গার্দিওলাদের মতো কোচদের।
এদিন তিন মিনিট যেতেই ফ্রাঙ্কি ডি ইয়াং ডান পায়ের শটে জাল খুঁজে নিয়ে গোল উৎসবের শুরটা করেন। পাঁচ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফেরান তোরেস। ১৫ মিনিট যেতেই প্রতিপক্ষের রক্ষণের ভুলে স্কোর ৩-০ করেন রাফিনিয়া। প্রথমার্ধেই চতুর্থ ও পঞ্চম গোলটি আসে ফের্মিন লোপেসের পা থেকে।
ম্যাচের ৫৯ মিনিটে ভ্যালেন্সিয়ার হয়ে এক গোল শোধ করেন হুগো দুরো। ৬৬তম মিনিটে আবারও পাঁচ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। লোপেসের কাছ থেকে বল পেয়ে আড়াআড়ি শটে জাল খুঁজে নেন লেভানদোভস্কি। ৭৫তম মিনিটে আত্মঘাতী গোল হজম করে ৭-১ গোলের ভাপে পিষ্ট হয় ভ্যালেন্সিয়া।
এই জয়ের ফলে ২১ ম্যাচে ১৩ জয় ও তিন ড্রয়ে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে ফিরেছে বার্সেলোনা। সমান ম্যাচে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে চূড়ায় রিয়াল মাদ্রিদ,। আর ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে অ্যাতলেটিকো।
চার ম্যাচ পর জয়ে ফিরে বার্সার কোচ হ্যান্সি ফ্লিক বলেন, “আমি জয়ের জন্য এই ক্ষুধা থাকাটা আমার পছন্দের এবং যেভাবে সেটা প্রকাশ করেছে (ফুটবলাররা) সেটাও। ম্যাচটা ২-০ বা ৩-০তে শেষ হয়ে যায়নি। আমরা খুব দারুণভাবে ম্যাচটা শুরু করেছিলাম। ঘরের মাঠে পরের ম্যাচটাতেও আমাদের এভাবেই এগিয়ে যেতে হবে।”
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বসন্তে ভালোবাসায়
বিশ্বরঙ
বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভ্যালেন্টাইনস ডে বা ভালোবাসা দিবস উদযাপন করা হয়। ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিনেই ভালোবাসা দিবসে বাঙালি মনের ভালোবাসা প্রকাশেও হয় পবিত্র ফুলে রাঙা আর বাসন্তী মোহে মুগ্ধ। ভালোবাসা দিবসে প্রেমিক যুগলদের মনের এ উচ্ছ্বাসকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতেই ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘বিশ্বরঙ’ আয়োজন করেছে ‘ভালোবাসি, ভালোবাসি’ শীর্ষক এক প্রতিযোগিতার। যেখানে প্রেমিক যুগলরা তাদের ছবি পাঠিয়ে জিতে নেবেন আকর্ষণীয় সব পুরস্কার। ছবি পাঠানোর ঠিকানা: bishworangjugol2025@gmail.com।
দিবসভিত্তিক সব আয়োজনে ‘বিশ্বরঙ’ বরাবরই অগ্রপথিক। সেই ধারাবাহিকতায় ‘বিশ্বরঙ’-এর এবারের ভালোবাসা দিবসের আয়োজনে লাল, কমলা, সাদার মিশেলে প্রকৃতি আর ভালোবাসার বিভিন্ন সিম্বলই রয়েছে পোশাক অলংকরণে। শীতের শেষবেলায় পোশাকগুলোয় ব্যবহার করা হয়েছে সুতি ও খাদি কাপড়। ‘বিশ্বরঙ’-এর শাড়ি, থ্রিপিস, পাঞ্জাবি, টি-শার্ট, উত্তরীয়, মগ ইত্যাদিতে তুলে ধরা হয়েছে ফুল, পাতা, গাছসহ প্রকৃতিরই বিভিন্ন অনুষঙ্গ। কাজের মাধ্যম হিসেবে এসেছে টাইডাই, ব্লক, বাটিক, অ্যাপ্লিক, ক্যাটওয়াক, স্ক্রিনপ্রিন্ট ইত্যাদি। ৩০ বছরে দেশব্যাপী ‘বিশ্বরঙ’-এর শোরুমে শুভানুধ্যায়ীদের পদচারণায় মুখরিত হয়েছে বারবার। শোরুমে গিয়ে কেনাকাটার পাশাপাশি যে কেউ ঘরে বসে অনলাইনে কেনাকাটা করতে পারবেন।
রঙ বাংলাদেশ
প্রতি বছরের মতো বসন্ত উৎসবের রংকে আরও রাঙিয়ে দিতে দেশের অন্যতম ফ্যাশন হাউস ‘রঙ বাংলাদেশ’ এনেছে তাদের নতুন ডিজাইনের বৈচিত্র্যময় পোশাক। দেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে আন্তর্জাতিক মেলবন্ধনের প্রচেষ্টায় এবার বসন্ত উৎসবের পোশাক ডিজাইনে তারা থিম হিসেবে ব্যবহার করেছে ‘আমেরিকান নেটিভ পটারি’ বা আমেরিকান আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বিভিন্ন নকশাকে; যা সেই অঞ্চলে মূলত মৃৎশিল্পের নকশা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। নির্দ্বিধায় বলা যায় চিন্তাধারাটি প্রশংসাযোগ্য। হাফসিল্ক, কটন, জ্যাকার্ড কটন, মারসালাইস কটন এবং স্লাব ভিস্কাস কাপড়ে কমলা, গাঢ় হলুদ, হালকা হলুদ, অলিভ আর সাদা রঙের ব্যবহার। একই সঙ্গে আরাম ও টেকসই। রঙ বাংলাদেশে রয়েছে– শাড়ি, থ্রিপিস, সিঙ্গেল কামিজ, টপস, রেডি ব্লাউজ, সিঙ্গেল ওড়না, টিউনিক, স্কার্ট, পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট, বাচ্চাদের পোশাক, মগসহ অন্যান্য সামগ্রী।
বসন্ত উৎসবকে ঘিরে যে কোনো অনুষ্ঠানের জন্য সবাই মিলে একইরকম পোশাক সুলভ মূল্যে অর্ডার করতে পারেন। রঙ বাংলাদেশের সব আউটলেটেই পাওয়া যাচ্ছে বসন্ত উৎসবের আয়োজন। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকেও কেনা যাবে পছন্দের পণ্য।
কে ক্র্যাফট
বসন্ত উৎসব বাঙালির প্রিয় উৎসবগুলোর মধ্যে একটি। বসন্তে প্রকৃতি যেমন ফুলেল উৎসবে নতুনভাবে সেজে ওঠে, তেমনি উৎসবপ্রিয় বাঙালিও বসন্তের প্রথম দিনটি উদযাপন করে বাহারি রঙের সাজপোশাকে। পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস একই দিনে হওয়ায় সাজপোশাক নির্বাচনে একটু দ্বিধায় পড়তে হয়। সমসাময়িক মোটিফ এবং প্রিন্টের পাশাপাশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে বিশেষভাবে বাছাই করা ডিজাইন, প্যাটার্ন ও রং। এবারের আয়োজনে সুতি কাপড়কেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। নকশা ফুটিয়ে তুলতে হাতের কাজ, এমব্রয়ডারি, স্ক্রিন ও ব্লক প্রিন্ট, ডিজিটাল প্রিন্ট এবং টাইডাই মিডিয়ার ব্যবহার হয়েছে। ফ্লোরাল, আলাম, এথনিক, ট্র্যাডিশনাল, জামদানি, ইক্কত, পেইসলে, জ্যামিতিক ইত্যাদি মোটিফে তৈরি মেয়েদের পোশাকের মধ্যে রয়েছে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, লং কুর্তি, রেগুলার কুর্তি, টপস, গাউন, কাফতান, টিউনিক, টপস-স্কার্ট। ছেলেদের জন্য রেগুলার ও ফিটেড পাঞ্জাবি, শার্ট, কটি ও শিশুদের জন্য নানা আয়োজন তো থাকছেই। এ ছাড়া যুগলদের জন্য থাকবে বিশেষ পোশাক। কে ক্র্যাফটের সব আউটলেট ছাড়াও দেশ ও দেশের বাইরের যে কোনো প্রান্ত থেকে অনলাইনের মাধ্যমে ফাল্গুন-ভালোবাসা দিবসের পোশাক কিনতে পারেন বিশেষ সাশ্রয়ী মূল্যে। এ ছাড়া ফেসবুক পেজ থেকেও কেনাকাটা করার সুবিধা রয়েছে।