খানিকটা সময় নিয়েই এখন সিনেমার কাজ করছেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। গত এক বছর ধরে তার নতুন সিনেমা ‘কিং’ নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। এ সিনেমায় সহশিল্পী হিসেবে কাজ করছেন তার কন্যা সুহানা খান।
পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দ এবং সুজয় ঘোষের সঙ্গে বহুবার বৈঠক করেছেন শাহরুখ। এজন্য এতদিন নিশ্চিত হওয়া যায়নি ‘কিং’ সিনেমা কে পরিচালনা করবেন। অবশেষে শাহরুখ নিজেই এ বিষয়ে মুখ খুললেন। এ-ও জানালেন, ‘কিং’ রূপে আবারো ফিরছেন তিনি।
দুবাইয়ের একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে শাহরুখ খান বলেন, “আমি এখন সিনেমাটির শুটিং করছি; আগামী কয়েক মাস তা চলবে। আমার পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দ খুবই কঠোর। তিনি ‘পাঠান’ সিনেমাও নির্মাণ করেছেন। আমরা কী করছি, তা প্রকাশ করতে বারণ করেছেন তিনি। সুতরাং আমি কিছু বলতে পারছি না। তবে এটা নিশ্চিত করছি যে, এটা বিনোদনমূলক; আপনি এটা উপভোগ করবেন।”
আরো পড়ুন:
সাইফের ওপর হামলাকারী শাহরুখের বাড়িতেও রেকি করেছিল?
শাহরুখের স্ত্রী কি ধর্মান্তরিত হলেন, ভাইরাল ছবির সত্যতা কতটা?
নতুন সিনেমায় নিজের চরিত্রের বিষয়েও ইঙ্গিত দেন শাহরুখ। তার মতে, “এর আগে আমরা সিনেমার বেশ কিছু নাম দিয়েছিলাম। আমাদের কাছে যত ভালো নাম ছিল, সেসব ফুরিয়ে গেছে। শাহরুখ খানকে ‘কিং’ হিসেবে দেখা যাবে। যদিও এটা নিজেকে জাহির করা। যেহেতু আমরা দুবাইয়ে আছি, তারা সবাই জানেন, রাজা সবসময় রাজাই থাকেন। আমি কঠোর পরিশ্রম করছি। সিদ্ধার্থ ও তার টিম কঠোর পরিশ্রম করছেন। ইনশাআল্লাহ, আমরা বড় একটি সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছি।”
দীর্ঘ ৪ বছর পর ২০২৩ সালে রাজকীয়ভাবে বড় পর্দায় ফিরেন শাহরুখ খান। একই বছর তিনটি ব্লকবাস্টার হিট সিনেমা উপহার দেন তিনি। এগুলো হলো— ‘পাঠান’, ‘জওয়ান’ ও ‘ডাঙ্কি’। এরপর শাহরুখের আর কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি। যার ফলে, প্রিয় তারকার নতুন সিনেমার জন্য মুখিয়ে আছেন ভক্ত-অনুরাগীরা। ‘কিং’ সিনেমা কবে মুক্তি পাবে সে বিষয়ে সঠিক তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। তবে চলতি বছরে এটি মুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি
হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে স্মারকলিপি দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা–কর্মচারী।
বৃহস্পতিবার ২৮ হাজার ৩০৭ কর্মীর সই করা এক হাজার ৪২৮ পৃষ্ঠার এই স্মারকলিপি উপদেষ্টার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, সংস্কার দাবির কারণে মাঠপর্যায়ে কোনো কর্মসূচি না থাকা সত্ত্বেও গত ১৬ অক্টোবর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ১০ জন কর্মকর্তাকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করে। একই দিন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরদিন সকাল থেকে শুরু হয় কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার এবং আরও ১৪ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এই ঘটনায় সমিতির কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দেয়, যার ফলে কিছু এলাকায় সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।
স্মারকলিপি আরও বলা হয়, আরইবি এখনও মামলা, চাকরিচ্যুতি, বদলি, সাসপেন্ড বিভিন্ন হয়রানিমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। শুধু স্মারকলিপিতে সই দেওয়ার কারণেও সম্প্রতি মাদারীপুর ও রাজশাহীর কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সংযুক্ত করে তদন্তের নামে হয়রানি ও শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। চাকরি হারিয়ে, মামলা ও জেল-জুলুমের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্তদের ছেলেমেয়ের পড়াশোনাও চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি সমিতির ৩০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর সই করা স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
স্মারকলিপিতে মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে।