নাটোর জেলা পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা সোহরাব হোসেন সোহাগকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে যুবদলকর্মী রুপচান ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) নলডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। সোহরাব হোসেন সোহাগ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

সোহরাব হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘‘গতকাল দুপুরে নলডাঙ্গা বাজারে শ্বশুরের দোকানে যাচ্ছিলাম। নলডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে যুবদলকর্মী রুপচান ও তার সহযোগীরা পিটিয়ে আমার হাত ভেঙে দেয়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে রাজশাহীর তাহেরপুরে একটি ক্লিনিকে ভর্তি করে।’’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে যুবদলকর্মী রুপচানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এদিকে, সোহরাব হোসেন সোহাগের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান।

তিনি বলেন, ‘‘জেলার বিভিন্ন জায়গায় প্রতিনিয়ত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এগুলো দেখার যেন কেউ নেই।’’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নলডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘‘এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।’’

ঢাকা/আরিফুল/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

দোকানে বসেছিলেন যুবদলকর্মী ইব্রাহিম, তিনটি অটোরিকশায় এসে বুকে-মাথায় গুলি

চট্টগ্রামের রাউজানে মুহাম্মদ ইব্রাহিম (৩০) নামে এক যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার গাজীপাড়া গ্রামের বাজারের একটি দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তিনটি অটোরিকশায় করে ১০-ে১২ জনের একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তার মাথায় ও বুকে গুলি করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

এ সময় তার বাবা মুহাম্মদ আলম ও চাচা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হালিমকে লক্ষ্য করেও গুলি ছোড়া হয়। গায়ে গুলি না লাগলেও পালাতে গিয়ে পড়ে তারা আহত হয়েছেন।

নিহত ইব্রাহিম রাউজান সদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের শমশের নগর গাজীপাড়ার মোহাম্মদ আলমের ছেলে। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী।

পুলিশ জানায়, ইব্রাহিমের মাথায় ও বুকে গুলি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা উদ্ধার করেছে পুলিশ। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ দুপুরে ইব্রাহিম বাড়ির দেড় কিলোমিটার দূরে একটি দোকানের সামনে বসেছিলেন। এ সময় হঠাৎ একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তিনটি অটোরিকশায় এসে কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার মাথা ও বুক লক্ষ্য করে গুলি করতে থাকে। এ সময় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তার মাথার একদিকে গুলি ঢুকে অন্য দিক দিয়ে বের হয়ে যায়। হত্যাকাণ্ডের পর অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে করে সন্ত্রাসীরা এলাকা ত্যাগ করে।

নিহতের চাচা আবদুল হালিম বলেন, ‘ইব্রাহিমকে আমার সামনেই গুলি করে সন্ত্রাসীরা। এগিয়ে গেলে আমাকে লক্ষ্য করেও তিন চারটি গুলি ছোড়া হয়। আমি ও আমার বড় ভাই কোনো রকমে পালিয়ে বেঁচে গেছি।’

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর দুর্বৃত্তরা পালিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ফিরে বিস্তারিত জানাব।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দোকানে বসেছিলেন যুবদলকর্মী ইব্রাহিম, তিন অটোরিকশায় এসে বুকে-মাথায় গুলি
  • দোকানে বসেছিলেন যুবদলকর্মী ইব্রাহিম, তিনটি অটোরিকশায় এসে বুকে-মাথায় গুলি
  • অটোরিকশা ছিনতাইয়ের সময় যুবদলকর্মী গ্রেপ্তার, অস্ত্র-বোমা উদ্ধার