Samakal:
2025-03-03@23:18:30 GMT

এসএমসির হাফসেঞ্চুরি

Published: 27th, January 2025 GMT

এসএমসির হাফসেঞ্চুরি

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে পথচলার ৫০ পূর্ণ করেছে এসএমসি। বিভিন্ন উদ্ভাবনী পণ্যের বিপণন ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মাধ্যমে গত পাঁচ দশকে নানা সাফল্য অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

এক প্রেস বার্তায় এসএমসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সকল অংশীজনদের নিরলস প্রচেষ্টার ফসল হিসেবে বাংলাদেশ এখন পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। দেশের আধুনিক পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতির প্রায় অর্ধেক ব্যবহারকারী এসএমসি ব্র্যান্ডের গর্ভ-নিরোধক পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে। আশির দশকে ডায়রিয়া ছিল শিশু মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। এসএমসি ব্রান্ডের ওরস্যালাইন দেশজুড়ে সহজলভ্য করার ফলে ডায়রিয়াজনিত মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে এসএমসি মা ও শিশু, কিশোর-কিশোরী এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্য বিভিন্ন স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।

এসএমসি ২০১৪ সালে এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড নামে একটি সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান গঠন করে। এই প্রতিষ্ঠানটির সফল কার্যক্রমের ফলে সমাজের নারী, শিশু ও পরিবারের সবার জন্য একটি টেকসই জনস্বাস্থ্য কার্যক্রম বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মসূচি বাস্তবায়নের সাথে সাথে এসএমসি বিভিন্ন ধরনের জনস্বাস্থ্য পণ্য বাজারজাত করছে। এগুলোর মধ্যে- ওরাল স্যালাইন, অনুপুষ্টি পাউডার, ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংক, কৃমিনাশক ট্যাবলেট, স্যানিটারি ন্যাপকিন, বেবি ডায়াপার, ফর্টিফাইড বিস্কুট অন্যতম।

এসএমসির পথচলার এই ৫০ বছর পূর্তিকে স্মরণীয় করে রাখতে গত শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেল ৫টায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকায় প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, দেশি-বিদেশি গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, মিডিয়া ও জনস্বাস্থ্য ব্যক্তিত্ব এবং শুভানুধ্যায়ীদের নিয়ে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড.

সালেহউদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ও স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব যথাক্রমে সাইদুর রহমান, সারওয়ার বারী ও আন্তর্জাতিক সোশ্যাল মার্কেটিং অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর জেফ ফ্রেন্স।

এছাড়াও সম্মানিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন এসএমসির পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ, এসএমসি ও এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ওয়ালিউল ইসলাম, এসএমসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তছলিম উদ্দিন খান এবং এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েফ নাসির, কূটনৈতিক মিশনের সদস্য, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ, বিশিষ্ট জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং সুশীল সমাজের সদস্যবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এসএমসি বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে সুদীর্ঘ ৫০ বছর সাফল্যের সাথে বিভিন্ন স্বাস্থ্য কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। এই ৫০ বছরের শুভলগ্নে আমি এসএমসিকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জনস ব স থ য পর ব র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ‘প্রত্যাখ্যাত’ ইউক্রেন রক্ষায় হচ্ছে নতুন জোট

যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রত্যাখ্যাত ইউক্রেনকে সুরক্ষা দিতে নতুন জোট গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। এ জোটে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ছাড়াও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থাকবে। পাশাপাশি তারা ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াতে যুক্তরাষ্ট্রকে অন্তর্ভুক্ত করারও চেষ্টা করবে। ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ও রাশিয়ার হাত থেকে ইউক্রেনকে রক্ষায় চার দফা কর্মপরিকল্পনাও ঘোষণা করেন স্টারমার। লন্ডনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় অন্য নেতাদের সঙ্গে এক ঐতিহাসিক সম্মেলনের পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন। 

সম্মেলনে স্টারমার বলেন, ‘আমরা আজ ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে।’ জেলেনস্কি বলেন, তিনি ‘শক্তিশালী সমর্থন’ অনুভব করছেন। এ সম্মেলনে ‘সর্বোচ্চ পর্যায়ের ইউরোপীয় ঐক্য দেখা গেছে, যা অনেক দিন ধরে দেখা যায়নি।’ হোয়াইট হাউসে জেলেনস্কির সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাগ্বিতণ্ডার দুই দিন পর এ সম্মেলন হলো। জেলেনস্কি বলেন, ‘একটি সত্যিকার শান্তি ও নিশ্চিত নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তি খুঁজতে আমরা ইউরোপে সবাই একযোগে কাজ করে যাচ্ছি।’ 

সোমবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এদিন স্টারমার পাঁচ হাজার আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র কেনার জন্য ইউক্রেনকে অতিরিক্ত দুই বিলিয়ন ডলারের সহায়তা ঘোষণা করেন। এর আগে রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদের মুনাফা থেকে ২ দশমিক ২ বিলিয়ন পাউন্ডের সামরিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছিল যুক্তরাজ্য। স্টারমার বলেন, ‘আমাদের অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে। আমরা এমন কোনো দুর্বল চুক্তি গ্রহণ করতে পারি না, যা রাশিয়া সহজেই লঙ্ঘন করতে পারে। চুক্তি হতে হবে শক্তিশালী।’ 

ইউক্রেনের সুরক্ষায় প্রস্তাবিত জোট বা ‘কোয়ালিশন অব উইলিংয়ে’ যোগ দিতে কোন কোন দেশ সম্মত হয়েছে, তা স্টারমার জানাননি। তিনি জানান, যারা অঙ্গীকার করেছেন, তারা জরুরি ভিত্তিতে কাজ করবেন। যুক্তরাজ্য তার অঙ্গীকার রক্ষা করবে। তিনি বলেন, এ সমঝোতায় যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন প্রয়োজন হবে এবং রাশিয়াকেও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তবে মস্কোকে কোনো শর্ত নির্ধারণের সুযোগ দেওয়া হবে না। ট্রাম্প ও জেলেনস্কির বাগ্বিতণ্ডা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গত শুক্রবার যা ঘটেছে, সেটি কেউ দেখতে চায়নি। কিন্তু আমি মনে করি না যে, যুক্তরাষ্ট্র অবিশ্বস্ত সহযোগী।’ 

সম্মেলনে যোগ দেওয়া দেশগুলোর মধ্যে আছে– ফ্রান্স, পোল্যান্ড, সুইডেন, তুরস্ক, নরওয়ে, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, রোমানিয়া, ফিনল্যান্ড, ইতালি, স্পেন ও কানাডা। ছিলেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লিয়েন। তিনি বলেন, ইউরোপকে ফের অস্ত্রে সজ্জিত করার জরুরি প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। একই মত দেন ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুট্টেও। 

রয়টার্স জানায়, ইউক্রেনে কিছু ক্ষেত্রে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য এক মাসের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে। এ যুদ্ধবিরতির অনুকূলে বিমান, সাগর ও জ্বালানি স্থাপনায় আক্রমণ বন্ধ থাকবে। তবে স্থলভাগে যুদ্ধ চলতে থাকবে। সোমবার ফরাসি প্রধানমন্ত্রী ইমানুয়েল মাখোঁ ও তাঁর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানান। ফরাসি মন্ত্রী জিন-নোয়েল ব্যারট বলেন, এ ধরনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির ফলে এটা নিশ্চিত হওয়া যাবে যে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আস্থার সঙ্গে কাজ করবেন কিনা বা চুক্তির প্রতি তাঁর অঙ্গীকার আছে কিনা। 

ইউক্রেন তার ভূমি ছাড় দেবে না: জেলেনস্কি
ওভাল অফিসে বাকবিতণ্ডার পরও যুক্তরাষ্ট্রে সঙ্গে সমস্যার সমাধান করতে পারবেন বলে রোববার জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে রুদ্ধদ্বার আলোচনা প্রয়োজন। তিনি বলেন, কোনো চুক্তিতে ইউক্রেন তার ভূমি ছাড় দেবে না। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খনিজ সম্পদ নিয়ে চুক্তিতে সম্মতির কথাও জানান জেলেনস্কি। 

পুতিনের সঙ্গে কথা হয়েছে: ট্রাম্প
চলমান প্রেক্ষাপটে আবারও রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সাফাই গেয়েছেন ট্রাম্প। সোমবার সিএনএন জানায়, ট্রাম্প বলেছেন, রুশ নেতার সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে, তিনি (পুতিন) যুদ্ধের সমাপ্তি চান। ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি, তিনি যুদ্ধ বন্ধ করতে চান। আমরা আবারও কথা বলেছি।’ 

সম্পর্কিত নিবন্ধ