বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে পথচলার ৫০ পূর্ণ করেছে এসএমসি। বিভিন্ন উদ্ভাবনী পণ্যের বিপণন ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মাধ্যমে গত পাঁচ দশকে নানা সাফল্য অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এক প্রেস বার্তায় এসএমসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সকল অংশীজনদের নিরলস প্রচেষ্টার ফসল হিসেবে বাংলাদেশ এখন পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। দেশের আধুনিক পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতির প্রায় অর্ধেক ব্যবহারকারী এসএমসি ব্র্যান্ডের গর্ভ-নিরোধক পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে। আশির দশকে ডায়রিয়া ছিল শিশু মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। এসএমসি ব্রান্ডের ওরস্যালাইন দেশজুড়ে সহজলভ্য করার ফলে ডায়রিয়াজনিত মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে এসএমসি মা ও শিশু, কিশোর-কিশোরী এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্য বিভিন্ন স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
এসএমসি ২০১৪ সালে এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড নামে একটি সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান গঠন করে। এই প্রতিষ্ঠানটির সফল কার্যক্রমের ফলে সমাজের নারী, শিশু ও পরিবারের সবার জন্য একটি টেকসই জনস্বাস্থ্য কার্যক্রম বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মসূচি বাস্তবায়নের সাথে সাথে এসএমসি বিভিন্ন ধরনের জনস্বাস্থ্য পণ্য বাজারজাত করছে। এগুলোর মধ্যে- ওরাল স্যালাইন, অনুপুষ্টি পাউডার, ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংক, কৃমিনাশক ট্যাবলেট, স্যানিটারি ন্যাপকিন, বেবি ডায়াপার, ফর্টিফাইড বিস্কুট অন্যতম।
এসএমসির পথচলার এই ৫০ বছর পূর্তিকে স্মরণীয় করে রাখতে গত শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেল ৫টায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকায় প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, দেশি-বিদেশি গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, মিডিয়া ও জনস্বাস্থ্য ব্যক্তিত্ব এবং শুভানুধ্যায়ীদের নিয়ে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড.
এছাড়াও সম্মানিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন এসএমসির পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ, এসএমসি ও এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ওয়ালিউল ইসলাম, এসএমসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তছলিম উদ্দিন খান এবং এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েফ নাসির, কূটনৈতিক মিশনের সদস্য, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ, বিশিষ্ট জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং সুশীল সমাজের সদস্যবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এসএমসি বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে সুদীর্ঘ ৫০ বছর সাফল্যের সাথে বিভিন্ন স্বাস্থ্য কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। এই ৫০ বছরের শুভলগ্নে আমি এসএমসিকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জনস ব স থ য পর ব র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু
বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।
শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।
তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।
তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।