কখনো তারকাখচিত ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ, কখনো উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ- বিপিএল ছিল বাংলাদেশের গর্বের জায়গা। বাংলাদেশের এ টি২০ লিগে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বৈশ্বিক তারকা ক্রিকেটারও খেলেছেন। দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের সম্মানী নিয়ে টুকটাক অভিযোগ থাকলেও বিসিবি সহজেই সমাধান করতে পেরেছে। এবারের বিপিএলে কোনো নিয়মই কাজ করছে না।

সবচেয়ে বড় ধাক্কা এসেছে দুর্বার রাজশাহীর ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা প্রতিষ্ঠান ভ্যালেন্টাইন গ্রুপের এমডি শফিকুর রহমানের কর্মকাণ্ড থেকে। ক্রিকেটারদের ঠিকমত সম্মানী পরিশোধ না করছেন না তিনি। খেলোয়াড়দের জার্সিও দেওয়া হয়নি ঠিকভাবে। কিট ব্যাগ পাননি ইয়াসির আলী রাব্বিরা। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে যা বিশ্বের কাছে নত করেছে বলে মনে করেন ক্রিকেটাররা।

পারিশ্রমিক না পাওয়ায় রাজশাহীর দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে চরম অসন্তোষ তৈরি হয়। গুঞ্জন ছিল, গতকাল খেলোয়াড়রা রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে মাঠে নামবেন না। শেষ পর্যন্ত দেশি ক্রিকেটাররা চেক বুঝে পেয়ে মাঠে নামলেও বিদেশি ক্রিকেটাররা হোটেলের দরজা বন্ধ রাখেন। ফলে ১১ জন দেশি ক্রিকেটার নিয়েই মাঠে নামে রাজশাহী। তবে এমন অবস্থাতেও তারা শীর্ষে থাকা রংপুর রাইডার্সকে ২ রানে হারিয়ে চমক দেখিয়েছে।  

খেলা হলেও, এই ঘটনায় বিসিবি চরম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে। বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘এটি অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত। দল নিয়ে যা ঘটছে তা মেনে নেওয়া কঠিন। বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করছি এবং দ্রুত সমাধান খুঁজে বের করব। তবে বিপিএলের মর্যাদা রক্ষা করতে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’  

মিঠু আরও বলেন, ‘বিপিএল বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডের একটি সম্পদ। এর মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হতে দেওয়া যাবে না। চুক্তি অনুযায়ী সব পক্ষকে নিয়ম মেনে চলতে হবে। কিন্তু রাজশাহী ফ্র্যাঞ্চাইজি সেই বিশ্বাস রাখতে পারেনি। এখন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।’  

টুর্নামেন্টের বৃহত্তর স্বার্থে অনেক ছাড় দেওয়া হলেও ভ্যালেন্টাইন গ্রুপের এমন আচরণ মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। মিঠু বলেন, ‘আমরা সবকিছু ছাড় দিয়ে টুর্নামেন্টটি সচল রেখেছি। কিন্তু প্রতিদিন নতুন নতুন সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি আমরা আর সহ্য করব না। সময় এসেছে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ