ইংরেজি না জানা শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করতে অভিবাসন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) কর্মকর্তাদের তার স্কুলে অভিযান চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন টেক্সাসের ফোর্ট ওয়ার্থ ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্কুলের একজন অস্থায়ী শিক্ষক। তার ছাত্ররা ‘ইংরেজি বলতে জানে না’ এই অভিযোগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট দেওয়ার পর তিনি বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছেন।

গত ২৩ জানুয়ারি ইংরেজি না জানা শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়ে ওই শিক্ষক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আইসিই-এর এক পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় মন্তব্য করেন। টেক্সাসের ফোর্ট ওয়ার্থ ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্কুল ডিস্ট্রিক্টের কর্মকর্তারা এ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন।

ডালাস মর্নিং নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই শিক্ষককে এখনও  প্রকাশ্যে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নিভ কিন্তু তিনি এক্স-এ @Hookem232 নামটি ব্যবহার করছিলেন। আইসিই'র এজেন্টদের উদ্দেশে তিনি লিখেছেন ‘টেক্সাসের নর্থসাইড ফোর্ট ওয়ার্থ ইন্ডিপেন্ডেন্ট হাই স্কুলে আসুন।’

পোস্টটিতে আরও বলা হয়, ‘আমার অনেক ছাত্রছাত্রী আছে যারা ইংরেজি পর্যন্ত বলতে জানে না এবং তারা দশম-একাদশ শ্রেণিতে পড়ে। আমার সঙ্গে তাদের যোগাযোগ করতে আইফোনের ট্রান্সলেটর ব্যবহার করতে হয়। মার্কিন শিক্ষা বিভাগ পরিচালিত টেক্সাসের আমাদের স্কুল ব্যবস্থাকেও পুরোপুরি পুনর্গঠন করা উচিত।’

এ বিষয়ে স্কুল বোর্ডের সভাপতি রক্সান মার্টিনেজ অভিভাবকদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন, আইসিই আমাদের স্কুল ডিস্ট্রিক্টকে লক্ষ্য করবে কিনা সে বিষয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই।

তিনি বলেন, আপনারা নিশ্চিত থাকতে পারেন যে আমরা এই পরিস্থিতিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি এবং যত দ্রুত সম্ভব এটি সমাধানের জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ফোর্ট ওয়ার্থ পাবলিক স্কুলের দুই-তৃতীয়াংশ ছাত্রছাত্রী হিস্পানিক এবং প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন ইংরেজি দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে শিখছে। এদিকে, কর্মকর্তারা ওই অস্থায়ী শিক্ষকের নাম প্রকাশ করেননি যিনি পোস্টটি করেছিলেন। তবে তারা জানিয়েছেন যে পোস্টগুলির তদন্ত চলাকালীন ওই শিক্ষক আর পড়াবেন না।

এটি প্রথমবার নয় যে ফোর্ট ওয়ার্থ আইএসডি-এর কোনো শিক্ষক অভিবাসনবিরোধী মনোভাবের জন্য সমালোচনার মুখে পড়েছেন। তদন্ত চলাকালীন অস্থায়ী শিক্ষককে ক্যাম্পাসে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না বলে উল্লেখ করেন কর্মকর্তারা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আইস ই

এছাড়াও পড়ুন:

সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্তে সময় বাড়ানো হলো আরও ৬ মাস

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলা তদন্তে আরও ৬ মাস সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ। রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শিশির মনির।

এর আগে গত ২৩ অক্টোবর হাইকোর্টের নির্দেশে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্তে পিবিআই প্রধানকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে অ্যাডিশনাল ডিআইজি পদমর্যাদার নিচে নয় পুলিশের একজন প্রতিনিধি, সিআইডির একজন প্রতিনিধি ও র‌্যাবের একজন প্রতিনিধিকে রাখা হয়েছে। গত ১৭ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে টাস্কফোর্স গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্তে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তাদেরকে ছয় মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে বলা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। বিভিন্ন বাহিনীর অভিজ্ঞ তদন্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে টাস্কফোর্স গঠন করতে বলা হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক। মামলার বাদীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির ও রিটের পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ শুনানি করেন।

এর আগে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্ত থেকে র‌্যাবকে সরিয়ে দিতে সম্পূরক আবেদন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এ আবেদন করা হয়।

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ পর্যন্ত ১১৩ বার সময় বাড়ানো হয়েছে। পরবর্তী শুনানির জন্য ১৫ অক্টোবর দিন ধার্য রয়েছে।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরোয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দিনাজপুরে সাপের কামড়ে সাপুড়ের মৃত্যু
  • আগের মতোই নোংরা-পচা ঢাকা লিগ
  • বৈরুতে ইসরায়েলি হামলা, ইসলামপন্থী নেতা নিহত
  • নেতৃত্বশূন্য পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ কী
  • পদ্মাপাড়ের মাটি বিক্রি করছেন সাবেক ছাত্রদল নেতা, হুমকিতে পুলিশ একাডেমিসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা
  • যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীও মনে করেন, ট্রান্স নারী মানেই নারী নন
  • সিটি কলেজের স্থাপনায় হামলা পুলিশ দাঁড়িয়ে দেখেছে: ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ
  • মহানবীকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে মহাখালী-সাতরাস্তা সড়ক অবরোধ
  • শাশুড়িকে নারীর চোখে ‘দানব’ বানায় কে
  • সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্তে সময় বাড়ানো হলো আরও ৬ মাস