সোনার চামচসহ এস কে সুরের লকারে ৫ কোটি টাকার সম্পদ
Published: 27th, January 2025 GMT
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার (এস কে) সুর চৌধুরীর গোপন লকার থেকে সোনার চামচ, শার্টের স্বর্ণের বোতামসহ ৫ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানের নেতৃত্বে সংস্থাটির একটি দল বাংলাদেশ ব্যাংকে তল্লাশি করে এসব সম্পদ জব্দ করে। পরে তা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, এস কে সুরের তিনটি লকারে অভিযান চালিয়ে এক কেজি স্বর্ণ, এক লাখ ৬৯ হাজার মার্কিন ডলার, ৫৫ হাজার ইউরো এবং ৭০ লাখ টাকার এফডিআর পেয়েছে দুদক। সবমিলিয়ে যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
রবিবার বেলা ১১ টায় এসকে সুরের লকার খুলতে দুদকের ৭ সদস্যের একটি টিম বাংলাদেশ ব্যাংকে যায়। রাত সাড়ে ৯টায় দুদকের অভিযান শেষ হয়।
লকারে যে সব মূল্যবাদ জিনিস পাওয়া গেছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- ২৩টি সোনার চেইন যার ওজন ১৭৬.
কাজী সায়েমুজ্জমান বলেন, “দুদকের অনুমোদন ক্রমে এস কে সুরের জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদের তথ্য থাকায় তার সম্পদের হিসাব দেওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি হিসাব জমা দেননি। এজন্য আমরা তার সম্পদ অনুসন্ধানের জন্য তার বাসায় অভিযান চালাই। অভিযানে তথ্য পাওয়া যায় তার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লকারে মালামাল রয়েছে। তার ভিত্তিতে আদালতের অনুমোদনক্রমে বাংলাদেশ ব্যাংকের লকারে তল্লাশি চালানো হয়।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা যা পেয়েছি তার ২২ পাতার একটি জব্দ তালিকা তৈরি করেছি। সোমবার আদলতে উপস্থাপন করব। যে সম্পদ পাওয়া গেছে তা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জিম্মায় রাখা হয়েছে। আদালত পরবর্তীতে যে ধরনের নির্দেশ দেবেন সেভাবে কাজ করব। এছাড়া, পরবর্তীতে বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখা হবে এসব বৈধ আয়ের অন্তর্ভুক্ত কি-না।”
গত ১৯ জানুয়ারি অভিযান চালিয়ে রাজধানীর ধানমন্ডিতে এস কে সুরের বাসা থেকে ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা জব্দের সময় তার নামে বাংলাদেশ ব্যাংকে ভল্ট থাকার তথ্য পায় দুদক।
আলোচিত প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের আর্থিক কেলেঙ্কারিতে নাম আসায় ২০২২ সালে এস কে সুর চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুদক অনুসন্ধান শুরু করে। ওই বছরের মার্চ মাসে দুদকে তলব করা হয় তাকে। ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে ডেপুটি গভর্নরের পদ থেকে অবসরে যান এস কে সুর চৌধুরী।
ঢাকা/এনএফ/ইভা
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আরও একটি বিশ্বকাপে খেলার বিষয়ে যা বললেন কোহলি
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন বিরাট কোহলি। এরপর থেকেই গুঞ্জন ছড়ায় হয়তো ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর ওয়ানডে ক্রিকেট থেকেও বিদায় নিতে পারেন তিনি। তবে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, আপাতত ওয়ানডে ক্রিকেট ছাড়ার কোনো পরিকল্পনা নেই তার। বরং ২০২৭ সালের বিশ্বকাপ জয়ের লক্ষ্য নিয়েই এগিয়ে যেতে চান তিনি।
৩৬ বছর বয়সী কোহলি ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপের অন্যতম ভরসা। তরুণদের সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে অনেক আলোচনা হলেও, এখনই সরে দাঁড়ানোর কোনো ইঙ্গিত দেননি তিনি। আইপিএল চলাকালীন এক অনুষ্ঠানে তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘‘পরবর্তী ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতার চেষ্টা করব। সেটাই আমার বড় লক্ষ্য।’’
কোহলির এই মন্তব্য ইঙ্গিত দেয় যে, তিনি ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলা চালিয়ে যেতে চান।
আরো পড়ুন:
দুই টেস্ট খেলেই অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে কনস্টাস
অশ্বিনীর বোলিং তোপে ১১৬ রানেই অলআউট কলকাতা
ভারত ২০১১ সালে সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছিল। এরপর ২০১৫ ও ২০১৯ সালে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেয় দলটি। আর ২০২৩ সালে ঘরের মাঠে ফাইনালে উঠে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে রানার্স-আপ হয়। সেই হার কোহলির জন্য ছিল অত্যন্ত কষ্টদায়ক, যা তিনি প্রকাশও করেছিলেন। তবে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের মাধ্যমে কিছুটা হলেও সেই দুঃখ মিটেছে।
২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়ায়। তখন কোহলির বয়স হবে ৩৮ বছর। তবে তার ফিটনেস ও মানসিক দৃঢ়তা বিবেচনায় নিয়ে বলা যায়, বয়স তার জন্য বড় কোনো বাধা হবে না। তিনি এখন থেকেই নিজেকে প্রস্তুত করছেন পরবর্তী বিশ্বকাপের জন্য।
ঢাকা/আমিনুল