কুষ্টিয়া পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে মশালমিছিল
Published: 27th, January 2025 GMT
কুষ্টিয়া পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়ে মশালমিছিল করেছেন ‘পদবঞ্চিত’ নেতাকর্মীরা। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে মিছিলের নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক প্যানেল মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ ও সদস্যসচিব জাকির হোসেন সরকার স্বাক্ষরিত ৩১ সদস্যবিশিষ্ট পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি প্রকাশ করা হয়। কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয় শওকত হাসানকে এবং সদস্যসচিব করা হয় এ কে বিশ্বাসকে।
শওকত পৌর বিএনপির ১১ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সাবেক সভাপতি ও এ কে বিশ্বাস পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ঘোষণার পর থেকে আহ্বায়ক কমিটির বিরোধিতা করে আসছে বিএনপির একাংশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কমিটি বাতিলের দাবিতে রবিবার সন্ধ্যায় মশালমিছিল বের করেন মহিউদ্দিন চৌধুরীর সমর্থক নেতাকর্মীরা। মিছিলটি শহরের পায়রা চত্বর থেকে শুরু হয়ে এনএস রোড হয়ে থানা মোড়ে এসে শেষ হয়।
সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘‘জেলার আহ্বায়ক কমিটিতে আমাকে যেমন অবহেলা করা হয়েছে, ঠিক তেমনি শহরের আহ্বায়ক কমিটিতেও অবহেলা করা হলো। আমি এবং আমরা দলের জন্য যে সংগ্রাম করেছি বা এখনো করছি, সেটার কিঞ্চিত পরিমাণ মূল্যায়ন পেলাম না।’’
মহিউদ্দিন চৌধুরী অভিযোগ করেন, জেলা এবং পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে যেসব লোককে পদে রাখা হয়েছে, তাদের অধিকাংশকেই মানুষ চেনেন না। অথচ তাদের বড় বড় পদে রাখা হয়েছে। আর সংগ্রামী নেতাদের পদবঞ্চিত করা হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মহিউদ্দিন চৌধুরীকে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে সদস্য ও শহর কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্যসচিব জাকির হোসেন সরকার বলেন, ‘‘আমার মনে হয় না, এর থেকে সুষ্ঠু কমিটি এর আগে হয়েছে। সবাইকে কমিটিতে রাখা হয়েছে।’’
ঢাকা/কাঞ্চন/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে হামলা, গ্রেপ্তার ৬
রাজধানীর চকবাজারে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন কারখানায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান চলাকালে হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির ডিবি ও চকবাজার থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন– মো. হুমায়ুন কবির (২৮), মো. আরিফুল ইসলাম (৪০), আনোয়ার হোসেন খোকন (৪৮), মো. শাহাবুদ্দিন (৪৫), মো. নাজমুল আলম উজ্জ্বল (৩৬) ও মো. সুমন (২৬)।
মঙ্গলবার ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গতকাল ও আজ চকবাজার থানাধীন বিভিন্ন স্থানে পৃথক অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করে ডিবি ও চকবাজার থানা পুলিশের যৌথ টিম।
গত ২৬ জানুয়ারি পুলিশ, র্যাবের সহযোগিতায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিবেশ অধিদপ্তরের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফয়জুন্নেছা আক্তারের নেতৃত্বে একটি দল চকবাজার এলাকায় সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে। অভিযানে পশ্চিম ইসলামবাগের মো. কবির হোসেন ও মো. ইলিয়াছ সরদারের ভাড়া করা বাসা থেকে মোট ৪০ বস্তা (৪০ মণ, যার আনুমানিক মূল্য দুই লাখ ৬৮ হাজার ৭০৩ টাকা) নিষিদ্ধ পলিথিন উদ্ধার করা হয়।
পরে সেসব পলিথিন একটি পিকআপে উঠিয়ে ফেরার পথে ১৫০-২০০ জন ব্যক্তি লাঠি, ইট, লোহার রড ইত্যাদি দিয়ে তাদের পথরোধ করে এবং সঙ্গে থাকা পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট উইংয়ের পরিচালক (উপসচিব) মো. শওকত আলীকে এলোপাথাড়ি মারধর করে গুরুতর আহত করে। পরে তারা পিকআপে থাকা জব্দ করা নিষিদ্ধ ৪০ বস্তা পলিথিন ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং পিকআপটি ভাঙচুর করে। হামলায় আহত পরিচালক মো. শওকত আলীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় ২৬ জানুয়ারি পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. মোতাহের হোসেন বাদী হয়ে এজাহারনামীয় ছয়জনসহ অজ্ঞাতনামা ১৫০-২০০ জনের বিরুদ্ধে ডিএমপির চকবাজার মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়।
মামলা হওয়ার পর গত রাতে ডিবি ও থানা পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে চকবাজার থানা এলাকা থেকে মো. হুমায়ুন কবির ও মো. আরিফুল ইসলাম নামে দুইজনকে এবং আজ চকবাজার থানাধীন বিভিন্ন স্থানে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে খোকন, শাহাবুদ্দিন, মো.নাজমুল হাসান উজ্জ্বল ও মো. সুমন নামে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।