পাকিস্তানে গিয়ে কেন বিয়ে করতে চান রাখি?
Published: 27th, January 2025 GMT
বলিউডের বির্তকিত অভিনেত্রী রাখি সাওয়ান্ত। বছরজুড়েই বিতর্কিত মন্তব্য ও কর্মকাণ্ড করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন। এবার ভারতের শত্রুদেশ পাকিস্তানে গিয়ে সেখানকার নাগরিককে বিয়ে করার কথা জানালেন রাখি। ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার শর্তপূরণ না করলে এ ঘটনা ঘটানোর হুমকি দেন এই অভিনেত্রী।
রাখি সাওয়ান্ত তার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করেছেন। এ ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “মোদিজি, আমার ভীষণ মন খারাপ। ভারতে ফটাফট টিকটক চালু করে দেন। সারা বিশ্বের মানুষ টিকটক থেকে আয় করছে। আপনার ভারতেও টিকটক চালু করা উচিত। তা নাহলে আমি পাকিস্তান যাচ্ছি। আমি পাকিস্তানে স্থায়ী হতে যাচ্ছি, সেখানকার একজন নাগরিককে বিয়ে করব।”
পাকিস্তানের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে রাখি সাওয়ান্ত বলেন, “আমি কখনো কাউকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কিছু বলতে দেব না। তারা আমার প্রশংসা করে, আমাকে সমর্থন করে, আমাকে ভালো অর্থ দেয়। আমি সবসময় আমার পাকিস্তানি ভক্তদের সমর্থন করব।”
আরো পড়ুন:
সিনেমায় অভিনয়ের কথা কল্পনাও করতে পারি না: মমতা কুলকার্নি
যে তারকারা পাচ্ছেন পদ্ম পুরস্কার
টিকটক অ্যাপ নির্মাতা চীনের বাইটড্যান্স টেকনোলজি। চীনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতের জের ধরে ২০২০ সালের মাঝামাঝি টিকটকসহ বহু চীনা অ্যাপ বন্ধ করে দেয় ভারত। টিকটকের আন্তর্জাতিক বাজারগুলোর মধ্যে ভারত উল্লেখযোগ্য হওয়ায় ভারতে ফেরার অনেক চেষ্টা করেছে তারা। এমনকি ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে হাত মেলানোর চেষ্টাও করেছে। তবে ভারত সরকার নিজেদের অবস্থানে অনড়।
২০১৯ সালে ব্যবসায়ী রীতেশের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার কথা জানান রাখি। যদিও অনেকেই ধারণা করেছিলেন, বিয়ের বিষয়টি বানিয়ে বলেছেন এই অভিনেত্রী। ভক্তদের অনুরোধে ২০২১ সালে ‘বিগ বস’ রিয়েলিটি শোয়ে সর্বপ্রথম স্বামীকে প্রকাশ্যে আনেন। পরবর্তীতে এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেন রাখি সাওয়ান্ত।
২০২৩ সালে আদিল ডুরানিকে বিয়ে করেন বলিউডের ড্রামা কুইন রাখি সাওয়ান্ত। প্রিয় মানুষকে বিয়ে করার জন্য ধর্মান্তরিত হন। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নিজের নাম বদলে রাখেন— ফাতিমা। কিন্তু বিয়ের এক বছরের মধ্যে ভেঙে যায় তাদের সংসার। এ নিয়ে কাদাছোড়াছুড়ি কম হয়নি। রাখির দায়েরকৃত মামলায় জেলও খাটতে হয়েছে আদিলকে। আপাতত রাখি সিঙ্গেল।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’