বলিউডের বির্তকিত অভিনেত্রী রাখি সাওয়ান্ত। বছরজুড়েই বিতর্কিত মন্তব্য ও কর্মকাণ্ড করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন। এবার ভারতের শত্রুদেশ পাকিস্তানে গিয়ে সেখানকার নাগরিককে বিয়ে করার কথা জানালেন রাখি। ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার শর্তপূরণ না করলে এ ঘটনা ঘটানোর হুমকি দেন এই অভিনেত্রী।

রাখি সাওয়ান্ত তার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করেছেন। এ ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “মোদিজি, আমার ভীষণ মন খারাপ। ভারতে ফটাফট টিকটক চালু করে দেন। সারা বিশ্বের মানুষ টিকটক থেকে আয় করছে। আপনার ভারতেও টিকটক চালু করা উচিত। তা নাহলে আমি পাকিস্তান যাচ্ছি। আমি পাকিস্তানে স্থায়ী হতে যাচ্ছি, সেখানকার একজন নাগরিককে বিয়ে করব।”

পাকিস্তানের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে রাখি সাওয়ান্ত বলেন, “আমি কখনো কাউকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কিছু বলতে দেব না। তারা আমার প্রশংসা করে, আমাকে সমর্থন করে, আমাকে ভালো অর্থ দেয়। আমি সবসময় আমার পাকিস্তানি ভক্তদের সমর্থন করব।”

আরো পড়ুন:

সিনেমায় অভিনয়ের কথা কল্পনাও করতে পারি না: মমতা কুলকার্নি

যে তারকারা পাচ্ছেন পদ্ম পুরস্কার

টিকটক অ্যাপ নির্মাতা চীনের বাইটড্যান্স টেকনোলজি। চীনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতের জের ধরে ২০২০ সালের মাঝামাঝি টিকটকসহ বহু চীনা অ্যাপ বন্ধ করে দেয় ভারত। টিকটকের আন্তর্জাতিক বাজারগুলোর মধ্যে ভারত উল্লেখযোগ্য হওয়ায় ভারতে ফেরার অনেক চেষ্টা করেছে তারা। এমনকি ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে হাত মেলানোর চেষ্টাও করেছে। তবে ভারত সরকার নিজেদের অবস্থানে অনড়।

২০১৯ সালে ব্যবসায়ী রীতেশের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার কথা জানান রাখি। যদিও অনেকেই ধারণা করেছিলেন, বিয়ের বিষয়টি বানিয়ে বলেছেন এই অভিনেত্রী। ভক্তদের অনুরোধে ২০২১ সালে ‘বিগ বস’ রিয়েলিটি শোয়ে সর্বপ্রথম স্বামীকে প্রকাশ্যে আনেন। পরবর্তীতে এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেন রাখি সাওয়ান্ত।

২০২৩ সালে আদিল ডুরানিকে বিয়ে করেন বলিউডের ড্রামা কুইন রাখি সাওয়ান্ত। প্রিয় মানুষকে বিয়ে করার জন্য ধর্মান্তরিত হন। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নিজের নাম বদলে রাখেন— ফাতিমা। কিন্তু বিয়ের এক বছরের মধ্যে ভেঙে যায় তাদের সংসার। এ নিয়ে কাদাছোড়াছুড়ি কম হয়নি। রাখির দায়েরকৃত মামলায় জেলও খাটতে হয়েছে আদিলকে। আপাতত রাখি সিঙ্গেল।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট কটক

এছাড়াও পড়ুন:

ছাত্রলীগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগে ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগে ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে টঙ্গী কলেজগেট এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে।

অভিযুক্ত মাহমুদুল হাসান মিরণ গাজীপুর মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। তাঁর বিরুদ্ধে স্থানীয় ছাত্রদল নেতাকর্মীর অভিযোগ, মহানগর ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে মিরণের গোপন যোগাযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যে গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতিসহ একাধিক ছাত্রলীগ নেতার সঙ্গে ছাত্রদল নেতা মিরণের একাধিক ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। একই সঙ্গে ‘নিজের গ্রুপের বা নিজস্ব বলয় ছাড়া’ কাউকে পদ-পদবি না দেওয়ার ব্যাপারে তাঁর সিদ্ধান্তের একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। এসব ঘটনায় ছাত্রদল নেতাকর্মীর মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে পৃথক বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে টঙ্গী পশ্চিম, টঙ্গী পূর্ব থানা, টঙ্গী সরকারি কলেজ শাখা এবং গাছা থানা ছাত্রদল।

টঙ্গী পূর্ব থানা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আল রাব্বি, গাজীপুর মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হৃদয় মাহমুদ শুভ, রাকিবুল ইসলাম রাকিব, ইয়াসির খানের নেতৃত্বে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী কলেজগেট থেকে চেরাগআলী মার্কেট পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। টঙ্গী পশ্চিম থানা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক পারভেজ, হৃদয় হোসেন ও রাফির নেতৃত্বে একই মহাসড়কের চেরাগআলী মার্কেট থেকে পাইলট স্কুল মার্কেট পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। টঙ্গী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি পদপ্রার্থী সৌরভ হোসেন, গাজীপুর মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সদস্য আদিল মাহমুদ নিপুন ও সৈকতের নেতৃত্বে কলেজগেট এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। এ ছাড়া নগরীর গাছা থানা ছাত্রদলের সভাপতি পদপ্রার্থী আতিক উল্লাহ খান, গাছা থানা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক সদস্য গোলাম রাব্বানী ও নাজমুল ইসলামের নেতৃত্বে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বড়বাড়ি এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। এসব সমাবেশে বক্তারা ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে গাজীপুর মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মিরণকে অবিলম্বে বহিষ্কারের দাবি জানান।

অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মিরণের মোবাইল ফোন একাধিকবার কল করে ও খুদে বার্তা পাঠিয়েও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ