সাবেক সেনাপ্রধান কে এম সফিউল্লাহ মারা গেছেন
Published: 27th, January 2025 GMT
মুক্তিযুদ্ধে ৩ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার, দেশের প্রথম সেনাপ্রধান, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল কে এম সফিউল্লাহ (বীরউত্তম) মারা গেছেন। গতকাল রোববার রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। তিনি তিন মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন।
কে এম সফিউল্লাহর মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড.
কে এম সফিউল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, থাইরয়েডে জটিলতা, ফ্যাটি লিভার, ডিমেনশিয়াসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। দীর্ঘদিন তাঁর চলাফেরা ছিল স্ট্রেচারে। সর্বশেষ গত ২ জানুয়ারি তিনি সিএমএইচে ভর্তি হন।
গতকাল জোহর নামাজের পর জন্মস্থান নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কাজী আবদুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কে এম সফিউল্লহার প্রথম এবং আসর নামাজের পর ঢাকা সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা হয়। সন্ধ্যায় বনানী সামরিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়েছে। জানাজার আগে তাঁকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এ সময় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা এবং সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১৯৭১ সালে সফিউল্লাহ ছিলেন জয়দেবপুরে দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের দ্বিতীয় প্রধান। তাঁর নেতৃত্বেই ওই রেজিমেন্টের বাঙালি সৈন্যরা বিদ্রোহ করেন। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে সফিউল্লাহ ছিলেন ৩ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার। পরে তিনটি নিয়মিত আর্মি ব্রিগেড (ফোর্স নামে পরিচিত) গঠিত হলে ‘এস’ ফোর্সের নেতৃত্বে আসেন। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ‘বীরউত্তম’ খেতাব পান।
কে এম সফিউল্লাহ সেনাপ্রধানের দায়িত্ব ছাড়ার পর মালয়েশিয়া, কানাডা, সুইডেন, ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। ১৯৯৫ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং ১৯৯৬ সালে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে নারায়ণগঞ্জ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য হন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
ঈদের সুবাদে সকল ভেদাভেদ ভুলে, মানবতার কল্যাণে কাজ করতে হবে : সাখাওয়াত
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বার্তায় নারায়ণগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষ দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক মোবারক জানিয়ে সকলের মঙ্গল কামনা করেছেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘ এক মাস পবিত্র সিয়াম সাধনার মধ্য দিয়ে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের পয়গাম নিয়ে মাহে রমজান এসেছিল। তার পর আনন্দের বার্তা নিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর এসেছে।
পবিত্র রমজান সকলকে হিংসা-বিদ্বেষ, মারামারি, পরনিন্দা ছেড়ে দিয়ে আত্মসংযম অর্জন করতে শিখায় এবং আল্লাহর ভয় অর্জনের শিক্ষা দেয়। ঈদ ধনী-গরীব নির্বিশেষে সকলের জীবনে আনন্দের বার্তা বয়ে আনে। ঈদুল ফিতরে সবার জীবনে বয়ে আসুক অনাবিল আনন্দ ও সুখ-শান্তি।
সাখাওয়াত হোসেন খান আরও বলেন, ঈদের অনাবিল আনন্দে প্রতিটি মানুষের জীবন হাসি-খুশি ও পূর্ণতায় ভরে উঠুক। এই সুবাদে সকল ভেদাভেদ ভুলে, সকলকে মানবতার কল্যাণে কাজ করতে হবে।
এছাড়াও সাখাওয়াত ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ সহ দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত রাজনৈতিক সহযোদ্ধাসহ সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।