মুক্তিযুদ্ধে ৩ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার, দেশের প্রথম সেনাপ্রধান, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল কে এম সফিউল্লাহ (বীরউত্তম) মারা গেছেন। গতকাল রোববার রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। তিনি তিন মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন। 

কে এম সফিউল্লাহর মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড.

মুহাম্মদ ইউনূস, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীরপ্রতীক, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। এ ছাড়া বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), সেক্টর কমান্ডারস ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি পৃথক বিবৃতিতে শোক জানিয়েছেন।
কে এম সফিউল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, থাইরয়েডে জটিলতা, ফ্যাটি লিভার, ডিমেনশিয়াসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। দীর্ঘদিন তাঁর চলাফেরা ছিল স্ট্রেচারে। সর্বশেষ গত ২ জানুয়ারি তিনি সিএমএইচে ভর্তি হন। 

গতকাল জোহর নামাজের পর জন্মস্থান নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কাজী আবদুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কে এম সফিউল্লহার প্রথম এবং আসর নামাজের পর ঢাকা সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা হয়। সন্ধ্যায় বনানী সামরিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়েছে। জানাজার আগে তাঁকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এ সময় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা এবং সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

১৯৭১ সালে সফিউল্লাহ ছিলেন জয়দেবপুরে দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের দ্বিতীয় প্রধান। তাঁর নেতৃত্বেই ওই রেজিমেন্টের বাঙালি সৈন্যরা বিদ্রোহ করেন। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে সফিউল্লাহ ছিলেন ৩ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার। পরে তিনটি নিয়মিত আর্মি ব্রিগেড (ফোর্স নামে পরিচিত) গঠিত হলে ‘এস’ ফোর্সের নেতৃত্বে আসেন। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ‘বীরউত্তম’ খেতাব পান। 

কে এম সফিউল্লাহ সেনাপ্রধানের দায়িত্ব ছাড়ার পর মালয়েশিয়া, কানাডা, সুইডেন, ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। ১৯৯৫ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং ১৯৯৬ সালে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে নারায়ণগঞ্জ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য হন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

রূপগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

রূপগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে জসিম উদ্দিন ওরফে জসিম রানা (৩০) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক হুমায়রা তাসমিন আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। 

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জসিম উদ্দিন ওরফে রানা বরগুনার পাথরঘাট এলাকার আব্দুল জলিল হাওলাদারের ছেলে। তিনি মাদারিপুরের মো. দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে সুরভী আক্তারকে বিয়ে করে রূপগঞ্জের কাঞ্চন এলাকার ভাড়াটিয়া বাসায় বসবাস করতেন।

কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় তার স্বামীকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময়ে আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলো। 

আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সামছুল আরেফিন টুটুল বলেন, ২০২০ সালের ৫ মার্চ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি ভাড়া বাসায় পারিবারিক নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে জসিম উদ্দিন ওরফে জসিম রানা তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। সেই সাথে তার স্ত্রী সুরভী আক্তার পরিবারের সদস্যদের আত্মহত্যার কথা জানিয়ে আসার কথা বলে পালিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে সুরভী আক্তারের পরিবারের সদস্যরা এসে তার লাশ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় সুরভী আক্তারের বাবা মো. দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার বিচার কার্যক্রম শেষে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আ’লীগের ঝটিকা মিছিলের প্রতিবাদে জাকির খানের মিছিল ও সমাবেশ
  • আরসা প্রধান আতাউল্লাহসহ পাঁচ সহযোগী রিমান্ড শেষে কারাগারে  
  • বিশেষ শিশুদের পাশে নারায়ণগঞ্জ ডিসি ‘ভিন্নতা নয়, সম্ভাবনার প্রতীক অটিজম’
  • রিমান্ড শেষে কারাগারে আরসা প্রধান আতাউল্লাহ ও ৫ সহযোগী
  • বিশেষ শিশুদের পাশে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ‘ভিন্নতা নয়, সম্ভাবনার প্রতীক অটিজম’
  • আট দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে আরসার প্রধান আতাউল্লাহ ও পাঁচ সহযোগী
  •  জেলা প্রশাসনকে সহযোগীতা করবে হেফাজতে ইসলাম
  • আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পেটানোর নির্দেশ দিলেন টিপু
  • নারায়ণগঞ্জে আন্দোলিব রহমান পার্থের জম্মদিনে দোয়া 
  • রূপগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড