মাইকে ঘোষণা দিয়ে দু’পক্ষে গোলাগুলি নিহত ২, আহত ১৫
Published: 27th, January 2025 GMT
নরসিংদীর রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষে সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে ২ জন নিহত হয়েছে। সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। গতকাল রোববার সকাল পৌনে ৮টার দিকে উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। ফজরের পর মাইকে ঘোষণা দিয়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
নিহতরা হলেন আলমগীর হোসেন আলম (১৯) ও আলি আহম্মেদ (২৩)। এ ঘটনার পরই ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশন্স) সিদ্দিকুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি সিরাজুল হক সরকারের ছেলে আশরাফুল হক সরকার ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো.
নরসিংদী ১০০ শয্যা জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জানান, সকালে আমাদের হাসপাতালে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আনা হয়। গুরুতর আহত আলি আহম্মেদকে আমরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাই। আরেকজনকে ঢাকায় নিয়ে যান স্বজনরা।
রায়পুরা থানার ওসি আদিল মাহমুদ বলেন, বাঁশগাড়ীতে সংঘর্ষের ঘটনায় ২ জন নিহত হয়েছে বলে শুনেছি। তবে রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানার দাবি, দুই আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেন রাতুল ও আশরাফুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলি ও টেঁটাযুদ্ধ হয়। এতে রাতুল সমর্থিত ২ জন ও আশরাফুল সমর্থিত ১ জন নিহত হয়েছে বলে শুনেছি। তবে তথ্যটির ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত নন।
ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশন্স) সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় তাৎক্ষণিক সব তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে সংঘর্ষে নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
টিকটক করতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে তরুণের মৃত্যু
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় টিকটক ভিডিও তৈরি করতে বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে সাকিব আহমদ নামে এক তরুণ মারা গেছেন। বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে দক্ষিণ সুরমার ধরাধরপুর এলাকায় একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
সাকিব দক্ষিণ সুরমার কামালবাজার ইউনিয়নের কুড়িগ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে। তিনি ধরাধরপুর এলাকায় ছাদেক মিয়ার কলোনিতে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন তিনি। একটি দোকানে কাজ করতেন সাকিব।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকেলে সাকিব ও তার তিন বন্ধু মিলে টিকটক ভিডিও করতে একটি বাড়ির দু’তলার ছাদে উঠেন। ভিডিও করার সময় পা ফসকে নিচে পড়ে যান। ওই বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
দক্ষিণ সুরমা থানার পরিদর্শক মো. মারফত আলী সমকালকে জানিয়েছেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতালে রাখা হয়েছে।