সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ শিক্ষার্থীদের
Published: 26th, January 2025 GMT
জামালপুরে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মিছিলের প্রতিবাদে শহরের দয়াময়ী চত্বরে সাড়ে ৩ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। গতকাল রোববার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা।
আন্দোলনরতরা জানান, ৫ আগস্টের পর থেকে জামালপুরের বিভিন্ন স্থানে মিছিল করে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এর প্রতিবাদে শহরের দয়াময়ী চত্বরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার না করা ও আসামিদের দ্রুত জামিনের প্রতিবাদ জানান তারা। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতাসহ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগও দাবি করেন। প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা শহরের প্রধান সড়ক অবরোধ করে রাখায় যানজটের কারণে ভোগান্তি পোহাতে হয় পথচারীদের। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা সন্দেহে একজনকে আটক করে পুলিশ। পরে জেলা প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় ধাপের ৬৫৩১ জনের নিয়োগপত্র আগামীকাল, জেলায় যোগদান ১২ মার্চ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে সুপারিশ পাওয়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগপত্র জারি, যোগদান ও পদায়নের বিষয়ে প্রশাসনিক অনুমোদন দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে আগামীকাল মঙ্গলবার নিয়োগপত্র জারি এবং ১২ মার্চ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে তাঁদের যোগদান করার ব্যবস্থা করতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
আজ সোমবার বিকেলের পর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এক আদেশে অধিদপ্তরকে এই নির্দেশ দেয়। এর আগে ওই ৬ হাজার ৫৩১ জনের প্রকাশিত ফল বাতিলসংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।
আদেশের পর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আইনজীবী মুনতাসির উদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘হাইকোর্টের রায় স্থগিত করা হয়েছে। লিভ মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ। ৬ হাজার ৫৩১ জনের যোগদানে আর কোনো অসুবিধা রইল না।’
এরপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সময়সূচি উল্লেখ করে অধিদপ্তরকে প্রশাসনিক অনুমোদন দিয়ে নির্দেশনাপত্র পাঠায়। এতে বলা হয়, নির্বাচিত প্রার্থীদের মধ্যে যাঁরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে অন্যান্য কাগজপত্র জমা দিয়েছেন তাঁদের অনুকূলে আগামীকাল ৪ মার্চ নিয়োগপত্র জারি করতে হবে। এরপর নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যোগদান করতে হবে ১২ মার্চ। আর ১৩ মার্চের মধ্যে প্রার্থীদের পূরণ করা পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম জেলা পুলিশ সুপার (এসবি) বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে পাঠাতে হবে। একই দিনে শিক্ষকদের পদায়নের আদেশ জারি করতে হবে। তারপর নির্ধারিত সময়ে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত কোনো প্রার্থীর অনুকূলে নিয়োগপত্র জারি না হলে, জেলা কার্যালয়ে যোগ না দিলে বা পদায়িত বিদ্যালয়ে যোগ না দিলে কারণসহ সেই তালিকা ২০ মার্চ অধিদপ্তরে পাঠানোর ব্যবস্থা করার কথা রয়েছে মন্ত্রণালয়ের অফিস আদেশে।
২০২৩ সালের ১৪ জুন এই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপর ৬ হাজার ৫৩১ প্রার্থীকে নির্বাচন করে গত বছরের ৩১ অক্টোবর নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গত ১১ নভেম্বরের এ-সংক্রান্ত আদেশ অনুসারে নির্বাচিত প্রার্থীদের অনুকূলে ২০ নভেম্বর নিয়োগপত্র ইস্যু করার কথা ছিল। কিন্তু বিষয়টি আদালতে গড়ায়। ওই নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা অনুসরণের অভিযোগ তুলে ফলাফল প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগবঞ্চিত কয়েকজন প্রার্থী নভেম্বরে রিট করেছিলেন।
প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন এবং চূড়ান্ত ফলাফল ও নিয়োগপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্তের কার্যক্রম স্থগিত করেন। রুলে ৩১ অক্টোবরের ফলাফল প্রকাশের বিজ্ঞপ্তি ও নিয়োগের বিষয়ে ১১ নভেম্বরের নির্দেশনা-সংবলিত স্মারক কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
আরও পড়ুনসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬৫৩১ জনের যোগদানের পথ খুলল৯ ঘণ্টা আগেচূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল যথাযথ (অ্যাবসলিউট) ঘোষণা করে গত ৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে ৬ হাজার ৫৩১ জনকে নিয়োগ দিতে প্রকাশিত চূড়ান্ত ফলাফল ও নির্বাচিত ব্যক্তিদের অনুকূলে নিয়োগপত্র ইস্যুর সিদ্ধান্ত আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হয়।
হাইকোর্টের রায়ের পর বাতিল হওয়া নিয়োগ ফিরে পাওয়ার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে ২৫ দিন ধরে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন নিয়োগ বাতিল হওয়া ৬ হাজার ৫৩১ জনের একাংশ। গতকাল আপিল বিভাগের আদেশের পর তাঁরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।