করাচি যাচ্ছে বাংলাদেশি জাহাজ ‘সমুদ্র জয়’
Published: 26th, January 2025 GMT
আন্তর্জাতিক ফ্লিট রিভিউতে অংশ নিতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ ‘বানৌজা সমুদ্র জয়’ চট্টগ্রাম নেভাল জেটি ছেড়েছে। ৭ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের করাচিতে ‘এক্সারসাইজ আমান-২০২৫’ এ অংশ নেবে জাহাজটি।
চট্টগ্রাম ছাড়ার সময় নৌবাহিনীর রীতি অনুযায়ী সুসজ্জিত বাদক দল বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে সমুদ্র জয়কে বিদায় জানান। এ সময় স্থানীয় পদস্থ নৌ কর্মকর্তা, জাহাজে গমনকারী কর্মকর্তা ও নাবিকদের পরিবার উপস্থিত ছিল।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) রোববারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিদায়ী অনুষ্ঠানে কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চল রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতায় কর্মকর্তা ও নাবিকদের দিকনির্দেশনা দেন।
এক্সারসাইজ আমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি, পর্যবেক্ষক, সমরবিশারদ এবং বিভিন্ন দেশের নৌবাহিনীর জাহাজ অংশগ্রহণ করে। বানৌজা সমুদ্র জয়ের অধিনায়ক ক্যাপ্টেন শাহরিয়ার আলমের নেতৃত্বে ৩৩ কর্মকর্তা, ৫৮ প্রশিক্ষণার্থী কর্মকর্তাসহ মোট ২৭৪ নৌ-সদস্য ফ্লিট রিভিউতে অংশ নেবেন।
বাংলাদেশ নৌবাহিনী বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর সঙ্গে নিয়মিত আন্তর্জাতিক মহড়া, প্রশিক্ষণ এবং যৌথ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে আঞ্চলিক সংহতির প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিভিন্ন ‘মাল্টি ন্যাশনাল এক্সারসাইজ’-এ অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনী সমুদ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত, মানবিক সহায়তা ও দুর্যোগ মোকাবিলায় বৈশ্বিক সহযোগিতার মাইলফলক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় নৌবাহিনী জাহাজ ‘বানৌজা সমুদ্র জয়’ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্যে পাকিস্তান গমনকালে শ্রীলঙ্কার কলম্বো এবং মালদ্বীপের মালে বন্দরে শুভেচ্ছা সফর করবে।
২০০৭, ২০০৯ ও ২০১৩ সালেও বাংলাদেশ নৌবাহিনী এক্সারসাইজ আমানে অংশগ্রহণ করে পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি: পেঁপে ছাড়া ৫০ টাকার নিচে নেই কোনো সবজি
সরবরাহ কমের অজুহাতে বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। অধিকাংশ সবজি কিনতে গুণতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। সেই সঙ্গে দাম বেড়েছে মাছেরও। এতে অস্বস্তিতে পড়ছেন ক্রেতারা।
কয়েকজন ক্রেতা জানান, শীত মৌসুমের সবজি নিয়ে যে স্বস্তি ছিল, তা এখন আর নেই। বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম ৬০ টাকার ওপরে। কোনো কোনটির দাম একশো পেরিয়েছে।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি পটল, ঢ্যাঁড়স, ঝিঙা, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এর চেয়ে কমে শুধু পেঁপে পাওয়া যাচ্ছে, তাও ৫০ টাকা কেজিতে। এছাড়া, করলা, বেগুন, বরবটি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।
সবচেয়ে বেশি দাম দেখা গেছে কাঁকরোলের। গ্রীষ্মকালীন এই সবজিটি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। সজনে ডাঁটা ১২০ থেকে ১৪০ টাকা।
তবে ব্রয়লার মুরগি, ডিম ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় মুদি পণ্যের দাম আগের মতোই আছে। পেঁয়াজের দামও কয়েক সপ্তাহ বেড়ে এখন ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় আটকে আছে।
এদিকে, মাছের বাজারেও বাড়তি দাম দেখা গেছে। মা ইলিশ সংরক্ষণে নদীতে মাছ ধরা বন্ধ ও চাষের মাছের সরবরাহ কম থাকায় দাম কিছুটা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। এর মধ্যে, সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ইলিশ ও চিংড়ির দাম।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ প্রতি পিস ২ থেকে ৩ হাজার টাকা দাম হাঁকা হচ্ছে। অন্যদিকে, প্রতিকেজি চাষের চিংড়ি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, নদীর চিংড়ি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা জানান, স্বাভাবিক সময়ে এসব মাছের দাম কেজিতে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত কম থাকে। এছাড়া কই, শিং, শোল, ট্যাংরা, চাষের রুই, তেলাপিয়া,পাঙাশ ও পুঁটি মাছও আগের চেয়ে কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে।
ঢাকা/সুকান্ত/রাজীব