কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) সল্যুশনের মাধ্যমে উদ্ভাবনকে এগিয়ে নিতে বৈশ্বিক প্রযুক্তি ব্র্যান্ড এরিকসন বাংলাদেশে কাজ করছে। অংশীজন হয়েছে দেশের অপারেটর গ্রামীণফোন। কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বিশ্বমানের পরিষেবা নিশ্চিত করাই অংশীজনের লক্ষ্য, যা গ্রাহকের নিত্যনৈমিত্তিক পরিবর্তনশীল চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে বলে উদ্যোক্তারা জানান।
আগামী ছয় বছর এআই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আরও দ্রুতগতিতে উদ্ভাবনী পরিষেবা চালু, পরিচালন দক্ষতা বৃদ্ধি, সেবার মান সমৃদ্ধ করা ও দেশের ডিজিটাল রূপান্তরকে গতিশীল করতে কাজ করবে অপারেটরটি,
যা গ্রাহক অভিজ্ঞতা ও চাহিদাকে পূর্ণতা দেবে।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান এবং বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও মালয়েশিয়ার হেড অব এরিকসন ডেভিড হেগারব্রো সম্মিলিত উদ্যোগের কথা জানান।
সারাবিশ্বে ক্যাটালগভিত্তিক চার্জিং ও মিডিয়েশন সিস্টেম বাস্তবায়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কাজ করবে উদ্যোক্তারা। এরিকসনের সফল মিডিয়েশনের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা ব্যবস্থা, যা ডিজিটাল অপারেটরের প্রতিদিনের ৬০০ কোটির বেশি ডেটা প্রসেসে সক্ষম। উল্লিখিত ব্যবস্থার মাধ্যমে অপারেটর নিজেদের ব্যবসা ও অপারেশন সাপোর্ট সিস্টেমের (ওএসএস/বিএসএস) সক্ষমতা বাড়াতে পারবে। নতুনভাবে যুক্ত হবে অর্ডার কেয়ার ও ক্যাটালগ ম্যানেজারের মতো সল্যুশন, যা গ্রাহকসেবার মানকে আধুনিকীকরণ ও ফাইভজি সেবার বাস্তবায়নে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে। অপারেটরের নিরবচ্ছিন্ন কার্যক্রম সক্রিয় রাখতে আইটি ম্যানেজড পরিষেবা নিশ্চিত হবে। অর্থাৎ এআই পরিচালিত কার্যক্রম সমৃদ্ধ করতে অপারেটরের কাজের দক্ষতা আগের তুলনায় সমৃদ্ধ হবে।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তি সার্বিক কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করবে প্রযুক্তি ব্র্যান্ড এরিকসন, যা ত্বরান্বিত করবে ডিজিটাল রূপান্তর প্রক্রিয়াকে। বিশ্বমানের সেবাদানে গ্রাহকের কাছে ক্ষমতায়ন দৃশ্যমান করবে। সংযুক্তির ভবিষ্যৎ ও ডিজিটাল অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করবে, যা টেলিযোগাযোগ খাতে বৈশ্বিক মানদণ্ড প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে।
বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও মালয়েশিয়ার হেড অব এরিকসন ডেভিড হেগারব্রো বলেন, সম্মিলিত উদ্যোগ টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থাপনায় চলমান সহযোগিতার অনন্য উদাহরণ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) পরিচালিত উন্নত ওএসএস/বিএসএস প্রযুক্তি ও ম্যানেজড পরিষেবার মাধ্যমে অপারেটরের চাহিদা ও গ্রাহককে আগামী ছয় বছর প্রত্যাশিত পরিষেবা নিশ্চিত করা হবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দেবীগঞ্জে দেয়ালে দেয়ালে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে লেখা হয়েছে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল থেকে পৌরসভার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে এই লেখা সাধারণ মানুষের নজরে আসে। তবে, কারা এই স্লোগান লিখেছেন, তা কেউ দেখেননি।
পৌরসভার শহীদ আব্দুল মান্নান সড়ক সংলগ্ন উপজেলা পরিষদ চত্বর, নৃপেন্দ্র নারায়ণ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের দেয়ালে লাল, কালো ও নীল রঙের কালি দিয়ে ‘জয় বাংলা’, ‘জয় শেখ হাসিনা’ এবং ‘শেখ হাসিনা তুমি আস্থা’- এমন স্লোগান লেখা হয়েছে।
এদিকে, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের অফিসিয়াল পেজ থেকে আজ দুপুর ১টায় দেবীগঞ্জের বিভিন্ন দেয়ালে লেখা স্লোগানের ছবি ও ভিডিও শেয়ার করা হয়। এ বিষয়ে জানতে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
দেবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান সুমন বলেন, ‘নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রশাসনকে জানানো হলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। রাতের আঁধারে দেয়ালে দেয়ালে ‘জয় বাংলা’ লিখছে তারা। উপজেলা ছাত্রদলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা সজাগ রয়েছে।"
প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পঞ্চগড় জেলা সমন্বয়ক ফজলে রাব্বী বলেন, “গত ৫ আগস্টের পর শুধু দেবীগঞ্জ নয়, পুরো পঞ্চগড়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। দেবীগঞ্জ, বোদা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে এসব দেওয়াল লিখন লক্ষ্য করা গেলেও প্রশাসনের তেমন কোনো তৎপরতা নেই। এসব লেখা ’২৪ বিপ্লবের চেতনাকে ম্লান করার চেষ্টা করছে। যা রুখতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। প্রশাসনের প্রতি আহ্বান- তাদের (ছাত্রলীগ নেতাকর্মী) দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক। তাদের অপতৎপরতা রুখে দিতে পঞ্চগড় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।”
দেবীগঞ্জ থানার ওসি সোয়েল রানা মোবাইলে বলেন, “বিষয়টি আমাদের নজরে আসছে। এখনি কোনো মন্তব্য করতে পারছি না। বিষয়টি দেখছি আমরা।”
ঢাকা/নাঈম/মাসুদ